স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নববর্ষের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ফানুস-আতশবাজি এবং ভুভুজেলা বাঁশি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে দেওয়া দিক-নির্দেশনাগুলো হলো-
১. অনুষ্ঠানগুলোতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
আরও পড়ুন: নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী
২. রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগস্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।
৩. বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
৪. বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলা একাডেমি ও বিসিক আয়োজিত নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
৫. রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যে সব অনুষ্ঠান হবে তা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
৬. বর্ষবরণ অনুষ্ঠানগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আয়োজকদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি এবং ইতিহাস
৭. নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।
৮. নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগর ও সারাদেশের অনুষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে ও মেডিকেল টিম থাকবে।
৯. বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
১০. বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘কোচ’ সম্প্রদায়ের নববর্ষ উৎসব ‘বিহু’
১১. নববর্ষে দেশের কারাগারগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে।
১২. কোনো ধরনের ফানুস ওড়ানো বা আতশবাজি ফোটানো যাবে না।
১৩. বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষ কিভাবে উদযাপন করবেন? কোথায় ঘুরতে যাবেন?
আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দি ছাড়া গণহারে বন্দি আসামিদের ডাণ্ডাবেড়ি না পরাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ডাণ্ডাবেড়ি পরানো সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
মন্ত্রণালয়ের ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে।
আইনজীবী বলেন, এই পরিপত্র অনুসরণ করতে বলেছেন আদালত। এর বাইরে কোনো বন্দি বা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।
একইসঙ্গে বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার বৈধতা নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
গত ১৬ জানুয়ারি দেশের ৬৪ কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ চেয়ে রিট করা হয়। ওই রিটের উপর ২৯ জানুয়ারি শুনানি হয়।
এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা।
সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ায় নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও পায়ের ডান্ডাবেড়ি পরানো ছিল।
মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৫০ কর্মকর্তার পদায়ন
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৫০ জন কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনে গত এক দশকের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে বড় রদবদল।
পুলিশ সদরদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতির কারণে সম্প্রতি ২৫ জন পুলিশ সুপারকে (এসপি) বদলি করা হয়েছে।
আরও ২৫ জন এসপিকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, নিয়মিত রদবদলের অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ সেকশন-১ এর সংক্রান্ত স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়।
পড়ুন: অনলাইনে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলির কার্যক্রম শুরু
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারকে শোকজ, ৫ জনের বদলি
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোন আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে জেল কোডের ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কনডেম সেলে থাকা আসামিদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শককে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই কনডেমড সেলে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, আইজি প্রিজন্স, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ১০ বছর পর হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানিতে উঠছে
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে কয়েকটি আবশ্যকীয় আইনগত ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমত, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। একইসঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে। দ্বিতীয়ত, হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সাংবিধানিক অধিকার বলে আপিল বিভাগে সরাসরি আপিল করতে পারেন। তৃতীয়ত, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৫ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের আইনগত সুযোগ রয়েছে।
‘সর্বোপরি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯-এর অধীন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি উক্ত ক্ষমার আবেদন না মঞ্জুর করলে তখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আইনগত বৈধতা লাভ করে। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বন্দি রাখা হয়।’
আরও পড়ুন: হিজাব পরা ইসলামে অপরিহার্য নয়: কর্নাটক হাইকোর্ট
তিনি আরও বলেন, জেল কোডের ৯৮০ বিধি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের পৃথকভাবে কনডেম সেলে রাখা হবে। আজকে জেল কোডের ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত। মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে একজন ব্যক্তিকে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি এক অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। আদেশে কনডেম সেলে থাকা আসামিদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হওয়া এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে আটক রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন বন্দি। তারা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেমড সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারের কনডেমড সেলে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেমড সেলে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এসব আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বিচারিক আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর তা অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টের কাছে পাঠানো হয় এবং হাইকোর্ট থেকে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত তার সাজা কার্যকর করা যায় না।
সীমিত পরিসরে বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
করোনা মহামারির কারণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) ও খ্রিস্টীয় বর্ষের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট নানা দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে পালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে মুসলমান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত সীমিত করে পালিত হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন ও খ্রিস্টীয় বর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে “থার্টি ফার্স্ট নাইট” উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করার পরামর্শ দেয়া হয়।
১৪ ডিসেম্বর জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে এ চিঠি দেয়া হয়।
এছাড়া বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড়দিন: রাঙামাটির খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
চট্টগ্রামে বড়দিন ঘিরে নানা আয়োজন, নিরাপত্তা জোরদার
ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে নজরদারি চেয়ে রিট
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক পোস্টের (কনটেন্ট) প্রচার-প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রিট আবেদন করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী তাপস কান্তি বল এই রিটটি দাখিল করেন।
সাংবাদিক সেলিম সামাদ,ড. মাসুম বিল্লাল,অ্যাডভোকেট জর্জ চৌধুরী ও সমাজ সেবক ভিক্টর রায় বাদী হয়ে এই রিট করেন।
রিটে বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক এবং ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিটে কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই দেশে ফেসবুকের অপব্যবহার ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
রিট দায়েরের পর আইনজীবী তাপস কান্তি বল জানান, গত নভেম্বর মাসে বিটিআরসি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলাম। তাতে ফেসবুকসহ অন্যান্য যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে উস্কানিমূলক, বিদ্বেষপূর্ণ ও কুরূচিপূর্ণ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে তাদেরকে; বিশেষ করে ফেসবুককে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে যে জবাব এসেছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নয়। এ কারণে একটি রিট দায়ের করেছি। রিট আবেদনটি সুপ্রিমকোর্টের অবকাশ শেষে আগামী জানুয়ারিতে শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে রিট
এর আগে গত নভেম্বরে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ১৩ অক্টোবর হিন্দুদের মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখা হয়েছে বলে এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়। সেটি ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশের ২৭ জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগেও রামু, নাছিরনগর, শাল্লা, বোরহানউদ্দিন, পাটগ্রাম, দেবহাটায় ফেসবুকের এমন ব্যবহারের এ ধরনের ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে এ ধরনের ঘৃণিত পোস্ট বন্ধে বা নিয়ন্ত্রণে বিবাদীরা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়,‘ডিজিটাল নিরপত্তা আইন অনুযায়ী ভুয়া, অসত্য তথ্য ছড়ানো বন্ধ করা ১ থেকে ৪ নম্বর বিবাদীর দায়িত্ব। কিন্তু এ দায়িত্ব পালনে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন।’
এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দেশের জনগণের জান-মালের যে ক্ষতি হয়েছে সে সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের গাইড লাইন, আন্তর্জাতিক আইন ও দেশীয় আইন পালনে ব্যর্থ হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ফেসবুকে এসব অসত্য তথ্য প্রচার বন্ধে বিবাদীরা ব্যর্থ হয়েছেন।
পরে আইনজীবী তাপস কান্তি বল বলেন,‘ফেসবুক ব্যবহার করে ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক (হেট স্পিচ) পোস্ট ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। হেট স্পিচের মাধ্যমে ছড়ানো সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। সেই দায়িত্ব প্রতিপালনে তারা ব্যার্থ হয়েছে। তাই এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যেখানে সরকারের কাছে ১৪টি সুপারিশ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
চট্টগ্রামে নালায় পড়ে মৃত্যু: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত: চিকিৎসক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত মেডিকেল টিমের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিক।
রবিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ম্যাডামের পরিবারকে জানিয়েছি যে তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডা. এফ এম সিদ্দিক বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে আরও রক্তপাত হলে যে কোনো সময় তার অবস্থার অবনতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার দ্রুত বিদেশে যাওয়া দরকার: ফখরুল
তিনি বলেন, রক্তপাত এখন বন্ধ হয়েছে, তবে যে কোনো সময় পুনরায় রক্তপাত শুরু হতে পারে। যদি এটি ঘটে তবে তার জীবন উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।
এম সিদ্দিক বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি না থাকায় তারা খুবই অসহায় বোধ করছেন।
রংপুর ও ফেনীর এসপিসহ ৭ কর্মকর্তাকে বদলি
রংপুর ও ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) সহ পুলিশের সাত কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বদলিকৃত কর্মকর্তারা হলেন- রংপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব কুমার সরকারকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি), পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরীকে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার, ফেনী জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবীকে পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনকে ফেনী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিজয় বসাককে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), সিলেট মহানগরীর উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) সঞ্জয় সরকারকে পুলিশ সুপার চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. সোহেল রানাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
পড়ুন: কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলা: ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তর করতে চাইলে আলোচনায় বসতে হবে: সিইসি
নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম স্থানান্তর করতে চাইলে কমিশনের সাথে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘তারা যদি আমাদের কাছ থেকে এটি স্থানান্তর করে নিতে চায় তবে তারা কীভাবে এটি নেবে সে বিষয়ে তাদের সাথে আমাদের কথা বলতে হবে। তারপর আমরা আমাদের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরব।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে একটি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের কাছে শেখার আছে: সিইসি
এক প্রশ্নের জবাবে কে এম হুদা বলেন, ‘সরকারের উচিত এই বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া। শেষ পর্যন্ত কী হবে বা না হবে তা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়।’
এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরের গেজেট জারির পরও আলোচনার সুযোগ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই সুযোগ রয়েছে, যেহেতু এটি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান, এভাবে স্থানান্তর করা যায় না।’
‘কীভাবে স্থানান্তরিত হবে তা নিয়ে তাদের অবশ্যই আলোচনা করা উচিত। অবশ্যই একটি আলোচনা হতে হবে। এটি কোনও টেবিল বা চেয়ার না যে আলোচনা না করে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম,’ বলেন সিইসি।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনআইডির কার্যক্রম চালু হবে: মন্ত্রী
নুরুল হুদা জানান, ইসি এনআইডি সেবা পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করেছে। যদি পরিষেবাগুলো অন্য কোনও জায়গায় স্থানান্তরিত হয় তবে এর জন্য নতুন জনশক্তি তৈরি করা দরকার।
তিনি বলেন, ‘তাই পরিষেবাগুলো যদি আমাদের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা সরবরাহ করা যায় তবে ভালো হবে।’
আরও পড়ুন: ১৪ বছরের বেশি বয়সীদের স্মার্ট এনআইডি দিতে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন
সরকার ইসি থেকে এনআইডি পরিষেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সুরক্ষা সেবা বিভাগে স্থানান্তর করতে চায়। তবে ইসি এনআইডি কার্যক্রম সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে চায়।
আটকে পড়া বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত
করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ভারতে আটকা পড়া বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বিনামূল্যে বাড়িয়েছে ভারত।
শুক্রবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতির মাধ্যমে একথা জানায়।
আরও পড়ুন: ভারতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, ভবন ধ্বস
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাভাবিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পুনরায় শুরু না হওয়ার, যারা অসহায় অবস্থায় ভারতে আটকা পড়েছিলো তাদের ভিসার মেয়াদ ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো জরিমানা দিতে হবে না।
এছাড়া ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিদেশিদের কোনও আবেদনও করতে হবে না।