বিনয়ী
আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে তারা শিগগিরই তাদের এক দফা আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন সামনে, তারা (আ.লীগ) তাদের রং বদলাচ্ছে এবং ভদ্রলোক হওয়ার ভান করছে... কিন্তু তাদের একমাত্র লক্ষ্য যে কোনো উপায়ে, এমনকি ক্ষমতা ব্যবহার করেও নির্বাচনকে নিজেদের পক্ষে আনা। তারা এই লক্ষ্যে একটি নীলনকশা তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
ফখরুল অভিযোগ করেন, বিএনপি যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের সময় যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা না যায় এবং বিরোধী দলকে দল হিসেবে অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা যায় সেজন্য সরকার কাজ করছে। ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার পথ তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের আহ্বান ফখরুলের
বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিরোধীদলীয় নেতাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করায় হাইকোর্টের বিচারপতিরাও এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তাকে আবারও জেলগেটে আটক করে নতুন মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে। আমাদের রাজশাহীর নেতা মিলন জামিন পেলেও নতুন মামলায় তাকে আবারও জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা কি ধরনের রাষ্ট্র? এ কেমন প্রশাসন ও শাসনব্যবস্থা এখানে? যেখানে শুধুমাত্র বিরোধী দলের রাজনীতিতে জড়িত থাকার অপরাধে মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে এবং গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হচ্ছে... হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েও তারা মুক্তি পাচ্ছেন না।’
বিএনপির এই নেতা আক্ষেপ করে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের কিছু বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে চলেছেন। ‘তারা কীভাবে এই কার্যকলাপগুলোকে সমর্থন দিতে পারে? এটা দিনে দিনে স্পষ্ট এবং সত্য যে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। তারা সাধারণ মানুষের অধিকার পুরোপুরি কেড়ে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
১ বছর আগে