কুর্দি
ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে সামরিক বিমানবন্দরে হামলায় নিহত ৩
উত্তর ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে একটি সামরিক বিমানবন্দরে বিমান হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে।
সোমবার এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
এক বিবৃতিতে এই অঞ্চলের কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিস বলেছে, সুলেইমানিয়াহ শহরের ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের আরবাত বিমানবন্দরে হামলায় তিনজন কর্মী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিন কুর্দি পেশমারগা বাহিনীর তিন সদস্য।
সম্প্রতি বিমানবন্দরটিতে প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে প্যাট্রিয়টিক ইউনিয়ন অফ কুর্দিস্তানের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটগুলোর পুনর্বাসন করা হয়েছিল। যা এই অঞ্চলের দুটি প্রায়শই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দলগুলোর একটি। যারা সুলেইমানিয়াহ’র নিয়ন্ত্রণে করছে।
কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিস কোনো পক্ষকে হামলার জন্য দায়ী করেনি। তবে সুলায়মানিয়াহ গভর্নরেট একটি বিবৃতিতে ‘এই অঞ্চলের দেশগুলোকে কুর্দিস্তান অঞ্চল এবং ইরাকের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার জন্য’ আহ্বান জানিয়েছে এবং এতে বোঝানো হয়েছে যে এই হামলাটি তুরস্ক চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের হামলায় ৬ তুর্কি সেনা নিহত : আঙ্কারা
এছাড়াও সোমবার, কুর্দিস্তান ন্যাশনাল কংগ্রেস, কুর্দি গোষ্ঠী এবং দলগুলোর একটি সহায়তাপুষ্ট সংগঠন একটি বিবৃতিতে বিশদ বিবরণ না দিয়ে বলেছে , তাদের একজন সদস্যকে ইরবিলে গ্রুপের অফিসের ভিতরে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।
তুরস্ক প্রায়শই সিরিয়া এবং ইরাকের কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি, বা পিকেকে’র লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালায়। তারা বিশ্বাস করে যে একটি কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী দল যেটি ১৯৮০ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে চালিয়ে আসছে, তাদের সঙ্গে এরা যুক্ত।
কুর্দি জঙ্গি কার্যকলাপের কথিত বৃদ্ধির কারণে ফ্লাইটের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় এপ্রিল মাসে সুলেইমানিয়াহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং সেখান থেকে ফ্লাইটের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় তুরস্ক।
আরও পড়ুন: ইরাকে তীর্থযাত্রী বহনকারী বাস উল্টে নিহত ১৮
১ বছর আগে
ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের হামলায় ৬ তুর্কি সেনা নিহত : আঙ্কারা
উত্তর ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের বুধবার রাতের হামলায় অন্তত ছয় তুর্কি সেনা নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হতাহতের কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের শেয়ার করা একটি সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে জানায়, পরে প্রতিশোধমূলক বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে-র চার সদস্যও মারা গেছেন।
একদিকে তুরস্ক এবং তুর্কি সমর্থিত গোষ্ঠী এবং অন্যদিকে ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের মধ্যে মাসব্যাপী উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে সর্বশেষ সহিংসতা এটি।
তুরস্কের মধ্যে এক দশক ধরে বিদ্রোহ চালিয়েছে যাওয়া পিকেকে এবং সিরিয়া ও ইরাকের মিত্র কুর্দি গোষ্ঠীগুলিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে বিবেচনা করে আঙ্কারা। তুরস্ক দাবি করে যে পিকেকে সদস্যরা নিয়মিতভাবে উত্তর ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায়।
বাগদাদে ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, উত্তর ইরাকের কুর্দি অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বুধবার ইরাকের সুলায়মানিয়াহ প্রদেশে পিকেকের গাড়ি লক্ষ্য করে পৃথক দুটি তুর্কি ড্রোন হামলায় দুই বিদ্রোহী নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে।
তুরস্ক ইরাকের একটি সীমান্ত অঞ্চলে সৈন্য মোতায়েন করে এবং সেখানে পিকেকে অবস্থানগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে। গত বছর এটি উত্তর ইরাকে পিকেকে-এর বিরুদ্ধে ‘ক্ল-লক’ নামে একটি স্থল ও বিমান অভিযান শুরু করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, বৃহস্পতিবারের বিমান হামলা দুহোক শহরের উত্তরে অবস্থানে আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন-সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর আইএসের হামলা
তুর্কি কর্নেল জেকি আকতুর্ক নিহত সেনাদের প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের সৈন্যরা শহীদদের রক্ত মাটিতে ছাড়বে না।একজন সন্ত্রাসী অবশিষ্ট না থাকা পর্যন্ত একই দৃঢ়তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তুর্কি বাহিনী তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে।’
১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কে পিকেকে-এর বিদ্রোহীরা কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় হামলায় নিহত ১০, কুর্দি বাহিনীর হাতে ৫২ জঙ্গি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে