সিগনেচার ক্যাম্পেইন
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের দাবিতে সিগনেচার ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী চলতি সংসদ অধিবেশনে পাসের দাবিতে সিগনেচার ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বেসরকারি এনজিও নারী মৈত্রী ও ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালাইডোস্কোপ ক্লাবের যৌথ সহায়তায় দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
এই ক্যাম্পেইন থেকে সংগ্রহ করা স্বাক্ষরের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: শিশু-কিশোরদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এ সময় ক্যাম্পেইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ছয়টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সংশোধনী প্রস্তাবনাগুলো হলো- উন্মুক্ত স্থানে 'ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান' বাতিল ও গণপরিবহনে নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট-কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।
নারী মৈত্রীর প্রকল্প সমম্বয়কারী নাসরিন আক্তার জানান, দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে এবং বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তামাক ব্যবহারকারীর বিবেচনায় অন্যতম।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ মতে, বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (১৫ বছর বা বেশি) তামাক ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ ধূমপান না করেও বিভিন্ন গণপরিবহন ও উন্মুক্ত স্থানে প্রতিনিয়ত পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।
টোব্যাকো এটলাস ২০১৮ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকালে মারা যান।
তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটির সংশোধনী পাস করার দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছে শিক্ষার্থীরা। যত দ্রুত আইন পাস হবে, তত বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে তারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে 'ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) -এর অধিকতর সংশোধনের জন্য এফসিটিসি'র আলোকে একটি খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। যা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য এখন কেবিনেট ডিভিশনে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকের দাম কমবে: প্রজ্ঞা
১ বছর আগে