গণশিক্ষা সচিব
১৫০ উপজেলায় চালু হচ্ছে স্কুল ফিডিং: গণশিক্ষা সচিব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানিয়েছেন, নতুন আঙ্গিকে দেশের ১৫০ উপজেলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি চালু হবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। এটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ভিত রচনা করবে।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের একটি হোটেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট-২০২২’ এর প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, এবারে শিশুদের পুষ্টি সমৃদ্ধ বিস্কুটের পাশাপাশি ভিন্ন রকমের খাবারও পরিবেশন করা হবে। যা হবে শিশুর কাছে আকর্ষণীয়।
তিনি আরও বলেন, এসব খাবার শিশুর চাহিদা পূরণ ও শরীর গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
সচিব বলেন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালুর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধ হবে, স্কুলে আসার সংখ্যা বাড়বে। যা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটাবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তৃতা করেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দিলীপ কুমার বণিক, ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট, ব্রিটিশ হাইকমিশনের শিক্ষা উপদেষ্টা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহীনুর শাহীন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের মধ্যে নতুন বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
পাঠ্যপুস্তক শিশু মনে ভীতির নয়, প্রীতির ভাব জাগাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
১ বছর আগে
নভেম্বরের মধ্যে নতুন বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, নতুন বছরের প্রথম দিন সব শিশুর মাঝে বই পৌঁছাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের মধ্যে আগামী শিক্ষাবর্ষের সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে’।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ইউএস এআইডি'র ‘সবাই মিলে শিখি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় (ভার্চুয়ালি) এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, নতুন বছরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবই পরিমার্জিত পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রণয়ন করা হয়েছে। পরবর্তী বছর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য নতুন পাঠ্য বই প্রণয়ন করা হবে।
গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘সবাই মিলে শিখি’র মূল কথাই হলো কেউ বাদ যাবে না, কিংবা পিছিয়ে পড়বে না, সবাই সমান সুযোগ পাবে, সম্মিলিত প্রয়াসে নিরন্তর এগিয়ে যাবে। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযোগী করে শিশুদের গড়ে তুলতে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন, ইউএস এআইডির পরিচালক অ্যান্ড্রু হল্যান্ড, সোনজাই রেনল্ডস-কুপার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা প্রমুখ।
‘সবাই মিলে শিখি’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগের ৯টি জেলার ১৬টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি আরও ২০টি উপজেলাসহ মোট ৩৬টি উপজেলার ৫ হাজারেরও অধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর।
আরও পড়ুন: নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে