ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন
ঢাকার উদ্দেশে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ২২-২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট শনিবার দুপুর ২টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) জোহানেসবার্গের ওআর তাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি রবিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
ব্রিকস ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) জোহানেসবার্গে পৌঁছান শেখ হাসিনা। জোটটির সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে- ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: ব্রিকসকে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার দায়িত্ব নিতে হবে: জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা সম্মেলনে যোগ দেন।
২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট' এ প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
একই দিনে আফ্রিকার দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের আয়োজিত 'বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সম্মেলনে' বক্তব্য রাখেন তিনি।
বিকালে হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সন্ধ্যায় তিনি ব্রিকস ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও 'রাষ্ট্রীয় ভোজসভায়' যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ২৪ আগস্ট ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে 'ব্রিকস-ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগ' (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ অ্যান্ড ব্রিকস প্লাস ডায়ালগস) অনুষ্ঠানে 'নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ব্রিকস'-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে বিদেশি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন: মোমেন
একই দিনে স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে শেখ হাসিনা এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে জ্যাকিন্টো নিউসি, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. সাইমা সুল্লুহু ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দিলমা ভানা রুসেফের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকের সময় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকার উদ্দেশে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে মূল আলোচনা শুরু
উন্নয়নশীল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে বুধবার তাদের মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। যদিও এর একদিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এটিকে পশ্চিমা বিরোধী বলে যে আভাস দিয়েছিলেন, কর্মকর্তারা তা এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত উদীয়মান অর্থনীতির গ্রুপ ব্রিকসের সম্প্রসারণ ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। ব্রিকস গঠনের পর পেরিয়ে গেছে এক দশকেরও বেশি সময়।
কর্মকর্তারা বলছেন, ২০টিরও বেশি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্রুপে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে সৌদি আরব সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দেশ।
কোভিড-১৯ মহামারির পর সশরীরে গ্রুপের বৈঠকের জন্য প্রথমবারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ ব্লকের চার নেতা জোহানেসবার্গে রয়েছেন। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।এ কারণে তিনি সশরীরে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না। তবে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকছেন।
মঙ্গলবার শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে প্রচারিত রাশিয়ান নেতার পূর্বে ধারণ করা ১৭ মিনিটের ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের শাস্তি হিসেবে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পশ্চিমাদের তিরস্কার করেন।
তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনকে তার কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে শস্য বহনের অনুমতি দেওয়ার একটি সমালোচনামূলক চুক্তি গত মাসে থামিয়েছিল রাশিয়া। তবে রাশিয়ার শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সেটি পুনঃস্থাপন করা হবে না।
জোহানেসবার্গে তিন দিনের চলমান আলোচনায় ব্রিকস কর্মকর্তারা রাশিয়া ও চীনের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে যেন গ্রুপটি পশ্চিমা বিরোধী না হয় সে পরামর্শ দিয়েছিলেন। পুতিন তার ভাষণে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক বিষয়কে সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিলেন।
চীনের প্রধান নেতা শির বক্তব্য পাঠ করেন দেশটির একজন মন্ত্রী। এতে মার্কিন-চীন অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের দিকে ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে এতে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এজেন্ডাগুলোর অগ্রগতির আশা করছে রাশিয়া ও চীন
কর্মকর্তারা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বুধবার শীর্ষ সম্মেলনের মূল পর্বের আলোচনার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে জোহানেসবার্গের সাবারবানে নৈশভোজে আলোচনা শুরু করেছেন। রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এ ছাড়া পুতিনও সেই নৈশভোজে আলোচনায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
ব্রিকস সম্প্রসারণের পদক্ষেপকে পাঁচজন নেতাই নীতিগতভাবে সমর্থন করেছেন। যদিও নতুন সদস্যদের যোগদানের জন্য কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
ব্রিকস একটি ঐকমত্যের সংস্থা এবং পাঁচটি সদস্য দেশকে যেকোনো সম্প্রসারণের আগে অবশ্যই একমত হতে হবে।
সদস্যদের অসম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রাধিকার এবং চীন ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এই ব্লক কখনো কখনো কোনো নীতিগতভাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
সম্প্রসারণের পাশাপাশি, ব্রিকস সদস্যদের একটি বিস্তৃত অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণের কথাও রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্লক মার্কিন ডলারভিত্তিক বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।
বিশ্বের প্রভাবশালী মুদ্রা থেকে বেরিয়ে আসার যে ঘোষণা গ্রুপটি দিয়েছে, তাতে রাতারাতি ডলারের পতন ঘটাবে না। এ ছাড়া ঘোষণাটি বাস্তবায়নের জন্য এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট চুক্তি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে হাসিনা-মোদির সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ফেডারেল রিজার্ভের গবেষকদের গণনা অনুসারে, ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডলারে বাণিজ্য হয়েছে আমেরিকায় ৯৬ শতাংশ এবং এশিয়ায় ৭৪ শতাংশ এশিয়ায়। ইউরোপের বাইরে অন্য সব জায়গায় ৭৯ শতাংশ বাণিজ্য ডলারে করা হয়, যা ডলারকে বিশ্বের প্রধান মুদ্রার মর্যাদা দেয়।
এখনো প্রভাবশালী এ ডলার উন্নয়নশীল বিশ্বের যন্ত্রণা হয়ে রয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের অনেকের অভিযোগ, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্বার্থ দেখে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও রাশিয়া তাদের নিজস্ব এজেন্ডাগুলোর সুবিধা নিতে পেরে বেশি খুশি। কিন্তু তারা এটাও লক্ষ্য করে যে ২০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশ ব্রিকসে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে এবং অন্তত আরও ২০টি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চায়না গ্লোবাল সাউথ প্রকল্পের কোবাস ভ্যান স্ট্যাডেন বলেন ‘ব্রিকস ব্লকের অর্জন যাই হোক না কেন, এর অস্তিত্ব ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির সারিতে যোগদানের চেষ্টা করা বর্তমান বৈশ্বিক ব্যবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের অসন্তোষকে তুলে ধরে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অসন্তুষ্টি তাদের চীনের চারপাশে জড়ো হওয়ার কারণ হবে কি না তা একটি ভিন্ন বিষয়।‘
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকার দেশটিতে চলতি সপ্তাহে সফরে যাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই নেতা।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে নেতারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ সফর করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তবে কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তা স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন-২০২৩: মডার্ন ডিপ্লোমেসি
এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ ভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে চলতি বছরের জি-২০’র সব কার্যক্রম ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলন ২০২৩: নতুন সদস্য হচ্ছে কোন কোন দেশ সেদিকেই সবার নজর
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য জোহানেসবার্গের চেয়ে নয়াদিল্লি ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।
মোমেন আরও বলেন, আফ্রিকা একটি ‘উদীয়মান রাষ্ট্র’ এবং বাংলাদেশ এ মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটা শক্তিশালী নয়। আমরা সেখানে দু’টি মিশন খুলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দেবেন (বৃহত্তর প্রচেষ্টা করার জন্য)।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সাইডলাইন বৈঠক এখনো নিশ্চিত হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
২০১৯ সালের পর এটিই হবে প্রথম সশরীরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। গ্রুপের গৃহীত উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করার এবং ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার সুযোগ দেবে এই শীর্ষ সম্মেলন ।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পরে আয়োজিত একটি বিশেষ ইভেন্ট ‘ব্রিকস – আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ’-এ অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এতে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত অন্যান্য দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
১ বছর আগে