একতরফা
বাংলাদেশের নির্বাচন ছিল একতরফা ও কৃত্রিম প্রতিযোগিতা: টিআইবি
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক ছিল না বলে একটি প্রতিবেদনে বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত গত ৭ তারিখের ভোটের ফলাফল মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লাভ-ক্ষতিসহ সামগ্রিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশুভ, যা গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
আজ ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এতে বক্তব্য দেন।
টিআইবি তাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের অধীনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ৫০টিতে এই জরিপ পরিচালনা করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক পরস্পরবিরোধী ও অসহিষ্ণু অবস্থানের কারণে নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি।’
এতে বলা হয়,‘এই পরস্পরবিরোধী কর্মসূচি এবং অসহিষ্ণুতা কারণে সংঘাতের কাছে গণতন্ত্রের ভবিষ্যতকে জিম্মি করার অবস্থা আরও তীব্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অব্যাহত থাকা নিশ্চিত করার কর্মসূচি সফলভাবে অর্জিত হয়েছে। যার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা নাও হতে পারে। আর চ্যালেঞ্জ করা হলে টিকে নাও থাকতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক সততা, গণতান্ত্রিক ও নৈতিক মূল্যবোধের দিক থেকে এই সাফল্য চিরদিন বিতর্কের বিষয় হয়ে থাকবে।’
গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ধারণা এবং অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সর্বোপরি অবাধ, উন্মুক্ত ও অবাধ প্রতিযোগিতার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের পূর্বশর্তের মতো জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাল অনুশীলনের মূল উপাদানগুলো পূরণ করা হয়নি বলে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, 'নির্বাচন কমিশন কখনও সাংবিধানিক ও আইনগত বাধ্যবাধকতার নামে এবং কখনও নকশার মাধ্যমে একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে মূল অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনও একই ভূমিকা পালন করেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশে নির্বাচনী রাজনীতির সমান সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। কোনো অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও, যেখানে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে এবং তার নিজস্ব 'স্বতন্ত্র' এবং অন্যান্য অনুসারী দলের বিরুদ্ধে বানোয়াট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হয়েছে। এর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং সহিংস শত্রুতা রয়েছে। যেটির সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ বা জনস্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ হয়: টিআইবি
প্রতিবেদনের শেষ অংশে বলা হয়, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি যেমন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অশুভ অভিজ্ঞতা। তেমনি গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাসম্পন্ন দেশ ও জনগণকে কী করতে হবে এবং এড়ানো উচিত, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি কৌশল ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এটি একটি পাঠ হতে চলেছে।
১১ মাস আগে
‘আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন আ.লীগকে নির্বাসনে পাঠাবে’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি তাদের (আওয়ামী লীগের) উদ্দেশ্য কী। তারা ৭ জানুয়ারি বিভিন্ন স্থানে ব্যালট বাক্স স্থাপন করবে এবং সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করবে। এটা এমন কোনো নির্বাচন নয়, যা আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে মান্না এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে আছে সরকারি সিন্ডিকেট: মান্না
মান্না বলেন, সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন প্রহসনের নির্বাচন না করে ভালো কিছু করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি, দেশের জনগণ এবং বিশ্ব সম্প্রদায় এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি বলছি, ভালো দিন আসছে। কী ঘটতে পারে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করুন। এটা সরকার বা আওয়ামী লীগের নির্বাচন নয়, এটা তাদের নির্বাসনে পাঠাবে। এটি দেখার জন্য অপেক্ষা করুন।’
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নিষ্ক্রিয়তা ও রাজপথে অনুপস্থিত থাকার কারণে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই রবিবার দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে যোগ দেন মান্না। এদিকে অসুস্থ থাকায় জোটের সাম্প্রতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
মান্না বলেন, ‘আমি এখনও অসুস্থ। আমি এখানে এসেছি কারণ আমার অবস্থান সম্পর্কে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। মাহমুদুর রহমান মান্না দালাল নন।’
মান্না বলেন, সরকার যাই বলুক না কেন, জনগণ বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, তারা সরকার ও একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বিভিন্ন দলকে বিভক্ত করে নির্বাচনের জন্য লোক নিয়োগের ‘অশুভ’ প্রচেষ্টার জন্য মান্না সরকারের সমালোচনা করেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব মোকাবিলায় তারা দেশব্যাপী অবরোধ আরোপ করছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য আমরা মাঝে মাঝে বিরতি দিই। তবে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আবার জেগে উঠছে।
এর আগে গণতন্ত্র মঞ্চের শতাধিক নেতা-কর্মী রাজধানীর বিজয়নগর ও তোপখানা রোড এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক মিছিল বের করে।
এদিকে বিজয়নগর, নয়াপল্টন, পুরাতন পল্টন, পান্থপথ ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ এবং সমাবেশ করেছে— গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, ১২ দলীয় জোট, বাম গণতান্ত্রিক জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, লেবার পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না: এম এ মান্নান
প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার
১ বছর আগে
আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আরেকটি 'একতরফা' নির্বাচন অনুষ্ঠানের মরিয়া উদ্যোগ দেশের জনগণ বানচাল করবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এ সময় দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ইঙ্গিতও দেন রিজভী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য পুরো জাতির নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। তারা আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বঞ্চিত ও নিপীড়িত জনগণ তাদের একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার অর্থনীতি ও রাজনীতি ধ্বংস করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় বিরোধী দলের 'শান্তিপূর্ণ' অবরোধ কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার মারাত্মক দমনমূলক নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, 'তারা অনেক বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্যই এই অবরোধ কর্মসূচি। কিন্তু র্যাব-পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে গঠিত পেটোয়া বাহিনী 'জনগণের সঙ্গে সহিংস আচরণ' করছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৩৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে ৯ হাজার ৮৩১ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেপরোয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে জনগণ সড়ক-মহাসড়কে মানববন্ধন করে অবরোধ অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এবং আমাদের এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে।’
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ অবরোধ অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের এমনকি বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে মন্তব্য করে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ রূপ উন্মোচন করছে।
আরও পড়ুন:বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের আবারো গুম করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী: বিএনপি
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা একজন রাষ্ট্রদূতকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দিয়েছেন এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতারা ক্রমাগত কুৎসিত ও ভয়ানক বক্তব্য দিচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যে, তারা জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অসংযত মন্তব্য করছেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে মারাত্মক দমনমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে বাংলাদেশকে একটি 'দুর্বৃত্ত' রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
১ বছর আগে
এবার একতরফা নির্বাচন করা এত সহজ হবে না: সরকারের উদ্দেশে খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এবার একতরফা নির্বাচন করা সহজ হবে না।
তিনি বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শনিবার সকালে বলেছেন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে এবং তারা এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এই নির্বাচন কার?
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের জনগণের নয়, একটি দলের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা মানুষকে বোকা মনে করে। শুধু তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন করা এত সহজ নয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু অভিযোগ করেন, বর্তমান অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার ভয়ে জনরোষের জনগণের কাছে যেতে পারছে না এবং বিএনপির ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, তারা জনগণকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রেখে তাদের ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু জনগণ এবার পিছু হটবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর তারা এখন সবচেয়ে বড় সংগ্রামে নেমেছে এবং তাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার এবং সকল গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নেমেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন অসহনীয় হয়ে পড়ায় জনগণ সরকারে পরিবর্তন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অনেকে দুবেলা খেতে না পারছে না। অনেকে আবার ঋণ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেকেই তাদের পরিবারের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারছেন না। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না।
খসরু বলেন, ক্ষমতাসীনরা মেগা প্রকল্প ও উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। লুটপাট ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে নেওয়ায় ব্যাংকগুলো নিঃশেষ হয়ে গেছে।
গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭-৮ বিলিয়ন ডলার লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যকথায় গত ১৪/১৫ বছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা (সরকার) লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। আমি এর নাম দিয়েছি আওয়ামী অর্থনীতির মডেল। এর মূল কাজ হচ্ছে জনগণের টাকা লুট করা। তারা ঋণ নিয়ে লুটপাট করবে এবং সাধারণ মানুষকে টাকা শোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না: খসরু
দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: আমির খসরু
১ বছর আগে
পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে, সরকার আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শনিবার (১৯ আগস্ট) পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে এক পুলিশ অফিসারের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তার বক্তব্য শুনে বুঝতে পারলাম না তিনি পুলিশ অফিসার নাকি শাহবাগ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
রবিবার (২০ আগস্ট) মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন হাছান মাহমুদ (তথ্যমন্ত্রী) এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের ভাষায় কথা বলেন- তখন আভাস পাওয়া যায় আগামী নির্বাচন কতটা ভয়াবহ হবে।
রিজভী বলেন, জনগণ ও ভোটাররা নির্বাচনে যোগ দিতে পারবেন না, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণের কথা বাদই দিলাম। কারণ সেই নির্বাচন হবে নাটকীয়ভাবে একতরফা।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রবিবার (২০ আগস্ট) সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম রানার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা।
রিজভী আশঙ্কা করেন যে, বর্তমান পুলিশ-প্রশাসন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে এবং যারা নির্বাচনের সময় বিরোধী দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে যাবে তাদের গ্রেপ্তার করবে।
তিনি বলেন, এই হলো পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ প্রশাসন। এভাবেই একতরফা নির্বাচনের বড় নীলনকশা তৈরি করছেন শেখ হাসিনা এবং জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই আবার নির্বাচন করছেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী সরকার সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কারণ এখন মাত্র দু-একটি দেশ এই সরকারের সঙ্গে আছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তারা শুনেছেন যে- বাংলাদেশের বর্তমান ‘অবৈধ’ শাসনের পক্ষে লিখতে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী ভারতের কলকাতার এক সাংবাদিককে দুই টন ইলিশ মাছ পাঠিয়েছেন। এই ঘটনা কতটুকু সত্য আমরা তা জানি না। কিন্তু এমন শোনা কথা যাচ্ছে।
রিজভী বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেখানে অনেক বিবেকবান সাংবাদিক আছেন যারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লিখছেন। হয়তো দু-একজন সাংবাদিককে ইলিশ মাছ দিয়ে কেনা যাবে, কিন্তু সবাইকে নয়।
ঢাকা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনকে নগরীর নাইটিঙ্গেল ক্রসিং থেকে গ্রেপ্তার করায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
ডিবি অফিস এখন ভাতের হোটেল: রিজভী
১ বছর আগে