মাস্টার
মাস্টার মীর আবু তাহেরের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের বাবা মাস্টার মীর আবু তাহেরের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর)।
এ উপলক্ষে নিজ গ্রাম দাউদপুর ও নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
মরহুম মাস্টার মীর আবু তাহের কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বরেণ্য শিক্ষক ও সমাজ সংস্কারক।
আরও পড়ুন: রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
উপজেলার শাকতলী হাইস্কুল, ময়ূরা হাইস্কুল এবং নাঙ্গলকোট হাই স্কুলসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ধাতীশ্বর হাইস্কুল প্রতিষ্ঠাসহ বহু শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন এই শিক্ষক।
মাস্টার আবু তাহের এই এলাকায় বহু সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি তিনি ছিলেন নাঙ্গলকোট থানা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, লাকসাম সমবায় সমিতির সভাপতি, নাঙ্গলকোট জিন্নাহ মেমোরিয়াল ক্লাবের সেক্রেটারি, নাঙ্গলকোট জনকল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি, সুইড বাংলাদেশ, নাঙ্গলকোট বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সমিতির সহ-সভাপতি, পাটোয়ার সিনিয়র মাদরাসার দীর্ঘ পঁচিশ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে, নাঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদ ও রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন।
মাস্টারের ছেলে শামসুদ্দিন দিদার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে বাবার ১০ম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে দাউদপুর আমাদের গ্রামের বাড়িতে মিলাদ ও দেয়া মাহফিলের আয়োজনসহ পর্যায়ক্রমে নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দাউদপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ইন্তেকাল করেন মাস্টার মীর আবু তাহের।
আরও পড়ুন: সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
জাতীয় কবি নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
১ বছর আগে
নৌপথে দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ মাস্টার-চালক তৈরির আহ্বান ১৫ বিশিষ্ট নাগরিকের
নৌযানের দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ মাস্টার ও চালকদের গ্রুমিং ও নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে তারা অভ্যন্তরীণ মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার, বিদ্যমান পরীক্ষা বোর্ডগুলো অবিলম্বে বাতিল এবং দুটি নতুন বোর্ড গঠন করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি পৃথক পরীক্ষা বোর্ড গঠন এবং নতুন বোর্ডে ‘বিতর্কিত কর্মকর্তাদের’ অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানানো হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা অযোগ্য চালকদের কারণে ঘটছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষার বর্তমান ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য নয়।
মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ উভয়ের জন্য মাত্র ২০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ২০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে, যার উত্তর প্রশ্নপত্রে টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় একজন নৌকার মাঝির দক্ষতা ও যোগ্যতা নির্ণয় করা মোটেও সম্ভব নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা বোর্ডের দুই চেয়ারম্যান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
দুই বোর্ডের অন্য সদস্যরাও একই প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছেন। তারাই প্রশ্নপত্র তৈরি করে, লিখিত পরীক্ষা নেয় এবং উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
এছাড়া বোর্ড সদস্যরা মৌখিক পরীক্ষা পরিচালনা করে সনদ দেন। এ কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে, ১৫ জন খ্যাতিমান নাগরিক অভিযোগ করেছেন, ডিওএস-এর একক কর্তৃত্বের কারণে পরীক্ষায় ‘প্রচুর অনিয়ম ও দুর্নীতি’ হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রার্থীরা প্রতিটি পরীক্ষার আগে দালালদের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেন করছে। এর ফলে বেশিরভাগ প্রার্থীই অযোগ্য।’
বিবৃতিতে সইকারীরা হলেন- কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন; মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম; পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট পরিবেশবিদ প্রকৌশলী এম. ইনামুল হক; নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন; সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুনুর রশীদ; উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে; নৌপরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া; নীরপদ নৌপথ বাস্তোবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল; সিনিয়র মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল হামিদ; বিশিষ্ট শিশু সংগঠক তাহমিন সুলতানা স্বাতী; দীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম; পোভার্টি ইমিউনিজেশন অ্যাসিসটেন্স সেন্টার ফর এভরিহয়্যার (পিস) -এর নির্বাহী পরিচালক ইফমা হোসেন; আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ; পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন এবং জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম সুজন।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
১ বছর আগে