আরএসসি
ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
দুর্ঘটনা এড়াতে ৮৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানাকে নজরদারির আওতায় আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে 'পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা: অর্জন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক ব্রিফিংয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
এ সময় ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির অন্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দেশে এখনও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা রয়েছে। ১ হাজার ৮৮৭টি কারখানা আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং ৩৫০টি কারখানাকে নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
তিনি বলেন, ৬৫৯টি কারখানা রিমেডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেলের (আরসিসি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং মোট ২ হাজার ৮৯৬টি কারখানা আরএসসি ও আরসিসি'র তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে মোট কারখানার প্রায় ২৩ শতাংশ বা ৮৫৬টি কারখানা বর্তমানে কোনো পরিদর্শনের আওতায় নেই। এসব কারখানাকে কীভাবে নিরাপত্তার আওতায় আনা যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ৮৫৬টি কারখানা ব্যবসা করছে এবং রপ্তানিও চলছে, কিন্তু সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না।
নজরদারিবিহীন কারখানার এই সংখ্যা বাড়তে পারে এবং অদূর ভবিষ্যতে তা মোট কারখানার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এসব কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় নেবে কে? বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর দায় নেবে না। আমরা চাই সব কারখানাই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাবদিহি করুক।’
২০২৩ সালে রানা প্লাজা ধসের দশম বার্ষিকী। এই দুর্যোগপরবর্তী দশকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি সিপিডির।
বিশেষ করে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠন এবং তাদের পরিচালিত কার্যক্রম কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা তদারকির জন্য জোরালো দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের: সিপিডি
১ বছর আগে