বিসিসিআইজে
বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য ও সম্পর্ক জোরদার করবে: বিসিসিআইজে সভাপতি
বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপান (বিসিসিআইজে)- এর সভাপতি বাদল চাকলাদার জানিয়েছেন, জাপানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালুর ফলে দু’দেশের বাণিজ্য ও সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে টোকিওর একটি রেস্টুরেন্টে বিসিসিআইজে-এর আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এছাড়াও বিমানবন্দরে হয়রানি, লাগেজ নষ্ট না হওয়ার, লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, সময়মত লাগেজ পাওয়া ও বিমানের সেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বিসিসিআইজে সভাপতি।
এসময় বিসিসিআইজে সভাপতি সরাসরি ফ্লাইট চালু করায় বাংলাদেশ সরকার ও বিমানকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ১৭ বছরে আগের মত যেন ফ্লাইট আবারও বন্ধ না হয়। আমরা সব সময় চাই জাপানিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুক। কিন্তু সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় বাংলাদেশে একবার গেলে দ্বিতীয়বার যেতে অনেক বিনিয়োগকারী আগ্রহী হতেন না। মালামাল পরিবহনেও খরচ বেশি হয়। আমরা এখন চাইবো এই ফ্লাইট আর যেন বন্ধ না হয়।
তিনি আরও বলেন, জাপানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করার উদ্যোগ নিতে হবে। বিমানের সেবার মানও আরও বাড়াতে হবে। তাহলে দেশি- বিদেশি যাত্রীরা বিমানকেই পছন্দ করে নিবে।
আরও পড়ুন: নারিতার পর বিশ্বের আরও কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ বিমানের
উপস্থিত জাপানে বসবাসকারী ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সরাসরি ফ্লাইট না থাকার কারণে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে যেতে আগ্রহী হন না। বাংলাদেশিদেরও জাপান থেকে দেশে যেতে দীর্ঘ সময় লাগতো। এখন সরাসরি চালু হওয়ায় দু’দেশের জন্য সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ হবে। বাংলাদেশি প্রবাসীদের লাশ বিনা খরচে দেশে নিতেও আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও, বিমানবন্দরে হয়রানি, লাগেজ নষ্ট না হওয়ার, লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, সময়মত লাগেজ পাওয়া ও বিমানের সেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানান ব্যবসীয়া।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ফলে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে। জাপানের সঙ্গে আমাদের ৫০ বছরের সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক আরও অনেক বাড়বে। ১৭ বছরে জাপানের টোকিওতে ফ্লাইট চালু করল বিমান। এতে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনও সহজ হবে। জাপানে ফ্লাইট চালু রাখা বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, জাপান ফ্লাইট চালুর ফলে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসবেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন। বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ।
জাপানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান একটি উন্নত দেশ। আপনারাও যদি তাদের মতো কাজ করেন, তাহলে অনেকদূর এগিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশে জাপানি পর্যটকদের আসার জন্য প্রবাসীদের ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নারিতা রুটে ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চালু করবে বিমান
বিমান সেবার মান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, দীর্ঘদিন পরে ফ্লাইট শুরু করতে পেরেছি। তাই জাপান রুট সফল করতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেবে না।
বিমানের এমডি বলেন, প্রবাসীদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা সহয়তা করুন, বিমানে ভ্রমণ করুন। বিমানের প্রমোট করুন। বিমান আপনাদেরই সম্পত্তি।
বিমান পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল বলেন, জাপানে ফ্লাইট জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। উনার ইচ্ছার ফলে ফ্লাইটটি আবার চালু করা গেছে। এর পিছনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং জাপানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত অনেক পরিশ্রম করেছেন।
বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য।
শুক্রবার রাতে ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ২৪৩ যাত্রী নিয়ে ৬ ঘণ্টায় জাপানে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট।
পরদিন শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ফ্লাইটটি জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উদ্বোধনী এই ফ্লাইটে বাংলাদেশি ছাড়াও নেপাল থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা হয়ে জাপানে গেছেন।
নারিতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটটিকে ‘ওয়াটার ক্যানন’ স্যালুট দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। সেইসঙ্গে ফ্লাইটের যাত্রীদেরও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
১ বছর আগে