ছোট-বড়
ছোট-বড় যেকোনো দুর্নীতি নির্মূলের চেষ্টা করব: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
ছোট-বড় যেকোনো দুর্নীতি নির্মূল করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ।
রবিবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নিশ্চিয়ই দুর্নীতি চিহ্নিত করতে হবে, সেটি ছোট-বড় যে দুর্নীতিই হোক। যেকোনো দুর্নীতিকে নির্মূল করার চেষ্টা করব।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিভাগের চ্যালেঞ্জ গোটা বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জ। এই বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটা বিরাট স্বপ্ন এবং চ্যালেঞ্জ ছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশকে কীভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভাব অভিযোগ মিটিয়ে মোটামুটি দাঁড় করানো যায় সেটির চেষ্টা করেছিলেন এবং সফলও হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না: শ্রমপ্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজকে বড় দল-ছোট দল-মাঝারি দল …. এটা বড় কথা নয়। বিএনপি নাকি নাগরিক ঐক্য নাকি গণসংহতি আন্দোলন না গণতন্ত্র মঞ্চ… এটা বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ আজকে বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন। এদের অস্তিত্বকে রক্ষা করার আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সরকারকে পদত্যাগের বার্তা দিতে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান এই বিএনপি নেতার।
তিনি বলেন, ‘আসুন গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের রাজপথে নেমে পড়ি। যেখান থেকে আমরা উচ্চারণ করব আর নয়…. এক দফা দাবি … তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ। এখন দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণের একটা রাষ্ট্র, জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের সমাজ তৈরি করবার ব্যবস্থা করে দাও।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব হুঁশিয়ারি দেন, ‘অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবে না… এটা আমি বারবার বলেছি। অতীতে দেখবেন স্বৈরাচারী শাসকেরা কিন্তু পালাবার পথ খুঁজে পায় নাই।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র মঞ্চের অংশীদার গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে চাই তারা আরও বিস্তৃত হোক, তাদের সংগঠন আরও বড় হোক। তারা গণমানুষের মধ্যে চলে যাক এবং মানুষকে তারা জাগিয়ে তুলক। সত্যিকার অর্থে একটা শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলুক।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এখন আর একমূহুর্ত দেরি না করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তাদের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকারের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাও এখন প্রয়োজন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি খুব আনন্দিত। প্রথমবারের মতো আজকে আমরা এখানে যা্রা আছি কিংবা তার বাইরেও যারা আছেন; আমরা সবাই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এই একটি দাবিতে এক হয়েছি।
তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সংসদ পুনর্গঠন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জটিল রোগে ভুগলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার তাকে বিদেশে উন্নত কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, লাখ রাখ মানুষের রক্তের মধ্যদিয়ে এই রাষ্ট্রটা নির্মাণ হয়েছে। সেই রাষ্ট্র আজকে টিকে থাকবে কিনা সেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বর্তমান শাসকরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে তার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের দিক থেকে আজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে আমাদের রাষ্ট্রটাকে একটা দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে এবং একটা নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা শুধু জনগণের অধিকার হরণ করেছে তাই নয়, জনগণের সম্পদ লুট করে এদেশকে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগোষ্ঠির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পুরো রাষ্ট্রকে তার অস্তিত্বের দিক থেকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
১ বছর আগে