ইতিবাচক পরিবর্তন
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
গত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে তিন+তিন ফরম্যাটে গঠনমূলক আলোচনায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে সফররত পর্যবেক্ষক মিশন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: মজুরি নয়, অধিকারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে সফররত ইইউ প্রতিনিধি দল: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশের শ্রম খাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (ন্যাপ) (২০২১-২০২৬) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৯ সালে ইবিএ (এভরিথিং বাট আর্মস) সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রাপ্তির জন্য আরও অগ্রগতির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে উভয় পক্ষই এ পর্যন্ত অর্জিত অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে সফররত মিশন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম-মানবাধিকার খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান ইইউ প্রতিনিধি দলের
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশের শ্রম খাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (ন্যাপ) (২০২১-২০২৬) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের মধ্যে ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর ব্রাসেলসে একটি নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির (পিসিএ) বিষয়ে যৌথ আলোচনা শুরু হওয়ায় উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে।
উভয় পক্ষ রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে তাদের মতামত বিনিময় করে।
আরও পড়ুন: দুটি মানব নিরাপত্তা প্রকল্পে জাপানের ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অনুদান
১ বছর আগে
জনপ্রতিনিধিরা সমাজে আদর্শ হলে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জনপ্রতিনিধিরা আদর্শবান হলে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যতটা মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পায় তা অন্য কোনো পেশার মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। নির্বাচনের জন্য হোক অথবা মানুষের সেবা করার জন্য হোক, সমাজে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে হয়।
তিনি বলেন, মানুষের অভাব অনটন থেকে শুরু করে দুঃখ-দুর্দশা এবং বিভিন্ন মতবিরোধে বিচার সালিশ করতে হয় জনপ্রতিনিধিদেরই। তাই জনপ্রতিনিধিরা যখন সমাজের সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়, মানুষ তাদের সব সমস্যা নির্দ্বিধায় জনপ্রতিনিধিদের বলতে পারে তখন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
তিনি রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের জন্য আয়োজিত “সিটি কর্পোরেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ” কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অংশীদারদের মতামতের সমন্বয় জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জন্য শুধুমাত্র অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন এ ধারণার বিরোধিতা করে বলেন, সরকারি যেকোনো অর্থ একটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খরচ হয়, সেখানে নিজের খেয়াল খুশি মতো খরচ করার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, অর্থ বরাদ্দের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নের সঙ্গে মানুষের অংশগ্রহণ যাতে সবাই নিজ নিজ সম্ভাবনাকে বিকশিত করার সুযোগ পায়।
মন্ত্রী এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নগরায়ন হলে তার সুবিধা সবাই ভোগ করবে। অপরিকল্পিত নগরায়ন হলে তা টেকসই হয় না বরং মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ একা বেঁচে থাকতে পারে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের টিকে থাকতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আপনি একা সচেতন হলে সামগ্রিকভাবে তা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর হচ্ছে না। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সবাই যখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেবে তখনই ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
একা স্বার্থপরের মতো টিকে থাকার সময় শেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজ এলাকা এবং দেশের উন্নয়নে সবাইকেই সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণ এবং সচেতন হতে হবে।
জনগণকে জাগিয়ে তোলা এবং সচেতন করার ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপনি আপনার এলাকার মানুষের যতটা কাছে যেতে পারবেন তা কোনো সরকারি কর্মকর্তা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর এবং সভাপতিত্ব করেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
আরও পড়ুন: পৌরসভা পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সন্ধ্যার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে