ফিলিং স্টেশনে
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
সিলেট নগরীর মিরাবাজারে বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ আরও দুই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হলো। ৫ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
নিহত দু’জন হলেন- সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে বাদল দাস (৪১)। তারা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মারা যান তারেক। আর সোমবার সকালে মারা যান বাদল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, তারেক ও বাদল উভয়ের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিজ ঘর থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরের মিরাবাজার এলাকার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ওই ফিলিং স্টেশনের সাতজন কর্মচারী ও দু’জন পথচারী দগ্ধ হন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দু’টি ইউনিট ১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, পাম্প বন্ধের সময়েও খোলা ছিল বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফিলিং স্টেশনটির কম্প্রেসার কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কম্প্রেসার মেশিনসহ আশপাশের যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরে যায়।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার বেলাল আহমদ বলেন, ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল। এ কারণে আগুন লাগে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে বলতে হবে।
ফিলিং স্টেশনটির সত্ত্বাধিকারী আফতাব আহমদ লিটন বলেন, সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ওই সময় কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কম্প্রেসার কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণ হয়।
আরও পড়ুন: সিলেট ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ নিহত ২
১ বছর আগে