২ নভেম্বর
৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর ২০ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবা
কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (এসইএ-এমই-ডব্লিউই ৪) আপগ্রেডের কারণে ৩১ অক্টোবর রাত ২টা থেকে ২ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ২০ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ধীর গতির সংযোগ বা বিঘ্নের সম্মুখীন হতে পারেন।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির মহাপরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩১ অক্টোবর রাত ২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা এবং ২ নভেম্বর রাত ২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরও ১০ ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা ধীর গতিতে বা বিঘ্নিত হবে।
আরও পড়ুন: বিরোধী দল দমনে সরকারের ডিজিটাল অস্ত্র ‘ইন্টারনেট বন্ধ’: ফখরুল
দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, আপগ্রেডেশনের পর এসইএ-এমই-ডব্লিউই ৪ ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
১ বছর আগে
১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারাদেশে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চালানো হবে।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হালদায় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদই শুধু নয়, এটি জিআই সনদপ্রাপ্ত একটি সম্পদ যা বিশ্বপরিমণ্ডলে আমাদের আলাদা পরিচয় বহন করে। অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, বিভিন্ন সময়ে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখা, জাটকা নিধন বন্ধ করা, আহরণ বন্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়লে মৎস্যজীবীরাই সে ইলিশ আহরণ করবে। তারাই লাভবান হবেন। সরকার শুধু ইলিশ উৎপাদনের পরিসর বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ যাতে কোনোভাবে বিপন্ন না হয় সেক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। ইলিশ সারাদেশের সম্পদ। এজন্য এ মাছ রক্ষায় সবাই মিলে আন্তরিকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।
ইলিশ সংক্রান্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের সভা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা এবং জেলেদের জন্য বরাদ্দ করা খাবার ও অর্থ বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ইলিশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দরিদ্র-অসহায় মৎস্যজীবীদের ব্যবহার করে এক শ্রেণির মুনাফা লোভী দুর্বৃত্ত। তারা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে নদীতে-সমুদ্রে মাছ ধরতে জেলেদের নামায়। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সম্পদ রক্ষায় রাষ্ট্র চেষ্টা করছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন। এর ব্যত্যয় ঘটালে, যতই প্রভাবশালী হোক ব্যবস্থা নিতে হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত এলাকায় এ সময় প্রয়োজনে বরফ কল বন্ধ করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ইলিশের চাহিদা পূরণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
১ বছর আগে