ইলিশ ধরা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯৪ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ৬ দিনে ৯৪ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ১০ লাখ ৬২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ইলিশ ধরায় ২ জেলেকে কারাদণ্ড
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৩ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ৭১১টি অভিযান চালানো হয়েছে। ২৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ২৫৯টি। আর গত দুই দিনের অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৪৯ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ মিটার অবৈধ জাল।
এছাড়া নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে ১ লাখ ২ হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। এসময়ে বরিশাল বিভাগে ১৪১ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১ হাজার ৭০ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ১ হাজার ৯৯১ বার বিভিন্ন আড়ত ও ১ হাজার ১৪৯ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
মৎস্য বিভাগের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ।
প্রসঙ্গত, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৩ হাজার ১৯ হাজার ৮৩০ জন জেলেকে ৭ হাজার ৯৯৬ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
১ মাস আগে
১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ
মা ইলিশ রক্ষায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি নোটিশ
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশে ইলিশ মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈজ্ঞানিকভাবে এ মাছ সংরক্ষণের দিন নির্ধারণ করা হয়। ইলিশ সুরক্ষায় বিজ্ঞানীরা পূর্ণিমা ও অমাবস্যার সঙ্গে মিল রেখে এ দিন নির্ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, আজকের বৈঠকে যে তারিখটা নির্ধারণে সবাই একমত হয়েছি, সেটা হলো ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর।
এই ২২ দিন সব ধরনের ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ
২ মাস আগে
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় পৃথক অভিযানে ৫০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে আটক হয়েছে ২৩ জন এবং হাইমচরে আটক হয়েছে ২৭ জন। এছাড়া এরা চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও পাশের জেলার-উপজেলার বলে জানা গেছে।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৮০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, ৪টি মাছ ধরার নৌকা ও ৪০ কেজি মা-ইলিশ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে এসব জেলেদের আটক করা হয়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
১ বছর আগে
বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশালের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তাদের ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১২ থেকে ২০ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ৯০৩টি অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া ৩৪৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
যেখানে গেল আটদিনে বরিশাল বিভাগে ১১৩ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১ হাজার ৫৮৬ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ২ হাজার ৬৯৮ বার বিভিন্ন আড়ৎ ও ১ হাজার ৭১৪ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
গেল আটদিনের অভিযানে ২ হাজার ৯৫১ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
পাশাপাশি ২ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের ১০ লাখ ৮২ হাজার ৮০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ নিয়ে আটদিনের অভিযানে ২৮৭টি মামলায় ২৬৮ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুই লাখ ৫৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের মূল প্রজনন স্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকছে। এ সময় বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: দিনাজপুর পৌর মেয়রের কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারাদেশে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চালানো হবে।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হালদায় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদই শুধু নয়, এটি জিআই সনদপ্রাপ্ত একটি সম্পদ যা বিশ্বপরিমণ্ডলে আমাদের আলাদা পরিচয় বহন করে। অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, বিভিন্ন সময়ে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখা, জাটকা নিধন বন্ধ করা, আহরণ বন্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়লে মৎস্যজীবীরাই সে ইলিশ আহরণ করবে। তারাই লাভবান হবেন। সরকার শুধু ইলিশ উৎপাদনের পরিসর বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ যাতে কোনোভাবে বিপন্ন না হয় সেক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। ইলিশ সারাদেশের সম্পদ। এজন্য এ মাছ রক্ষায় সবাই মিলে আন্তরিকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।
ইলিশ সংক্রান্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের সভা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা এবং জেলেদের জন্য বরাদ্দ করা খাবার ও অর্থ বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ইলিশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দরিদ্র-অসহায় মৎস্যজীবীদের ব্যবহার করে এক শ্রেণির মুনাফা লোভী দুর্বৃত্ত। তারা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে নদীতে-সমুদ্রে মাছ ধরতে জেলেদের নামায়। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সম্পদ রক্ষায় রাষ্ট্র চেষ্টা করছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন। এর ব্যত্যয় ঘটালে, যতই প্রভাবশালী হোক ব্যবস্থা নিতে হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত এলাকায় এ সময় প্রয়োজনে বরফ কল বন্ধ করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ইলিশের চাহিদা পূরণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
১ বছর আগে