শিশু ও নারী
ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানো গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশু ও নারীসহ দগ্ধ হয়েছেন ১১ জন। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
আহতরা হলো- মীম (৫), রাহিম (৭), সোলেমান (৫), ইয়াসিন (৫), মানিক (৯), তরিকুল (৩০), সোহেল (৪৫), কহিনুর (৪০), ইসমাইল ও সালমা (২৫)।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে ১১জন ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জুলহাস উদ্দিন বলেন, চর কালিবাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ভাড়া বাসায় বেলুন বিক্রেতা তরিকুল ও সালমা বসবাস করতেন। ঘরে রাখা ওই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় দু'টি টিনের চালা উড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে এপিসি কারে বিস্ফোরণ, ৫ পুলিশ আহত
যশোরে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
১ বছর আগে
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা) শিশু ও নারীসহ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৮৪ জন রোগী। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮২১ জন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৬৮
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এ নিয়ে ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- শিউলি, সাবিহা, ওয়াসিম ও মো. কাথান।
এর মধ্যে সাবিহাকে রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে মারা যায় শিশুটি।
শিউলি মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ভর্তি হয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে মারা যান। এ ছাড়া ওয়াসিম মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ওইদিন দিবাগত রাত ২টার দিকে এবং মো. কাথান শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৪ জন। এ নিয়ে ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২৭৩ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৪১৪ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৮২১ জন।
এর মধ্যে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৪৫, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ৮৫ জন এবং ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ৬৬ জন।
ফরিদপুরের বাইরে বেশি সংখ্যক রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ওই দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৩ জন করে রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এনামুল হক বলেন, এই অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় এই হাসপাতালে ভর্তি রোগী মারাও যাচ্ছেন বেশি।
তবে স্যালাইনের কোনো সংকট নেই। এখন যে স্যালাইন আছে তা দিয়ে এই সপ্তাহ চলে যাবে। আগামী সপ্তাহের স্যালাইন ঢাকা থেকে আনার জন্য চাহিদাপত্র ও লোক পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে একদিনে ৩ নারীর মৃত্যু
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু
১ বছর আগে