রাইস কুকার
শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশজুড়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। পেট্রোবাংলার তথ্য মতে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন মাত্রায় পৌঁছেছে গ্যাস সরবরাহ। বর্তমানে যেখানে গ্যাসের প্রয়োজন ৩ হাজার ৮০০ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড ঘনফুট পার ডে), সেখানে সরবরাহ রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডি। প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে অনেকেই ঝুঁকে পড়ছেন এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) বা সিলিন্ডার গ্যাসের দিকে। কিন্তু এগুলোর দামের অসঙ্গতি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে জনজীবন শিকার হচ্ছে নানা বিড়ম্বনার। গ্রামাঞ্চলের অধিবাসীরা লাকড়ি বা মাটির চুলা ব্যবহার করতে পারলেও শহরের বাসাবাড়িতে গ্যাস ছাড়া রান্না করা দুরূহ। এমতাবস্থায় জরুরি হয়ে পড়েছে রান্নার জন্য গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থা। তাই চলুন, গ্রাম বা শহরে বাসা-বাড়িতে গ্যাস ছাড়া রান্নার করার উপযুক্ত কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গ্যাস ছাড়া রান্নার জন্য কয়েকটি আধুনিক চুলা
ইন্ডাকশন চুলা
তাড়িৎ চৌম্বক শক্তিকে ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তাপশক্তির যোগান দেয় ইন্ডাকশন চুলা। এর কাঁচ-সিরামিক প্লেটের নিচে থাকে তামার কয়েল, যেটি তাড়িৎ চৌম্বক শক্তির যোগান দেয়। প্লেটের উপর নির্দিষ্ট দাগাঙ্কিত স্থানে রাখা হয় রান্নার পাত্র।
বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকা অবস্থায় চৌম্বক পদার্থের তৈজসপত্র রাখা হলে চুলাটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কাজ শেষে পাত্র সরিয়ে ফেলা হলে চুলা সঙ্গে সঙ্গেই তাপ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এই পাত্রগুলোর মধ্যে অধিকাংশ স্টেইনলেস-স্টিল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও রয়েছে কাস্ট আয়রন এবং এনামেল্ড ঢালাই লোহা।
আরও পড়ুন: তীব্র গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী
এই চুলাগুলো সহজে পরিষ্কারযোগ্য এবং অল্প তাপেই গ্যাস ও অন্যান্য সাধারণ বৈদ্যুতিক চুলার থেকে দ্রুত রান্না করতে পারে। ইন্ডাকশন চুলা বিভিন্ন পাওয়ার রেটিংয়ের ভিত্তিতে ৩ থেকে ৯ হাজার টাকার হয়ে থাকে। বাজারে সাধারণত ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ২০০ ওয়াটের চুলাগুলো বেশি পাওয়া যায়। ৪ থেকে ৫ সদস্যের পরিবারের জন্য যাবতীয় রান্নার কাজ এই চুলা দিনে সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টায় সম্পন্ন করতে পারে। ফলে আবাসিক এলাকার সর্বোচ্চ ইউনিট রেট হিসেবে মাসে বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে ৯০০ থেকে ৯৬০ টাকা।
ইনফ্রারেড চুলা
বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে আভ্যন্তরীণ তামার কয়েলকে উত্তপ্ত করে রান্নার জন্য তাপ উৎপন্ন করে ইনফ্রারেড চুলা। এগুলো মূলত হ্যালোজেন লাইট (যা ইন্ডাকশন লাইট নামেও পরিচিত) ব্যবহার ইনফ্রারেড বিকিরণ প্রক্রিয়ায় পাত্র গরম করে। এগুলোতে ইন্ডাকশন চুলার মতো নির্দিষ্ট কোনো তৈজসপত্র ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা নেই। তবে চুলার পৃষ্ঠের সঙ্গে সমতলে থাকা অর্থাৎ ফ্ল্যাট পাত্রগুলোতে গরম করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়।
৯ মাস আগে
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আবারও রাইস কুকার থেকে স্বর্ণ উদ্ধার
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত রাইস কুকার থেকে আবারো পৌনে ২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত দল শনিবার গণমাধ্যমকে জানায়, ওমান এয়ারেওয়েজে আসা ২টি মালিকবিহীন ব্যাগ স্ক্যানিং করে রাইস কুকারে লুকানো ৩টি স্বর্ণের পিণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এক কেজি সোনা জব্দ, আটক ১
বিমানবন্দর ও কাস্টমস সূত্র জানা যায়, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ওমান এয়ারের একটি ফ্লাইটে কোনো যাত্রী ব্যাগ দুটি নিয়ে আসেন। কিন্তু যাত্রীদের লাগেজ যে বেল্টে দেওয়া হয়, সেখানে এই ব্যাগ দুটি দীর্ঘসময় পড়ে ছিল।
শনিবার বিকাল পর্যন্ত কোনো যাত্রী ব্যাগগুলো নিতে না আসায় সন্দেহ হয়। পরে মালিকবিহীন ব্যাগ দুটি স্ক্যানিং করে রাইস কুকারে লুকানো ৩টি স্বর্ণের পিণ্ড উদ্ধার করা হয়।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশীর আহমেদ জানান, পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে ৩টি স্বর্ণপিণ্ড উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ১ কেজি ৮৫০ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা।
স্বর্ণ পিণ্ডগুলো কাস্টম হাউস চট্টগ্রামে জমা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এর আগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ২৪ মিনিটে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে আসা মোহাম্মদ আলী নামের এক যাত্রীর রাইস কুকারে লুকানো ১ কেজি ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করেছিল কাস্টমস।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্বর্ণ জব্দ, দুবাইফেরত যুবক আটক
১ বছর আগে
শাহ আমানতে প্রবাসীর রাইস কুকার থেকে ১.৫০ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরত এক যাত্রীর রাইস কুকার থেকে ১ কেজি ৭০০ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় তল্লাশি চালিয়ে বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দারা এসব স্বর্ণ জব্দ ও মোহাম্মদ আলী নামে ওই যাত্রীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
আটক বিমান যাত্রী মোহাম্মদ আলী জেলার হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকার মোহাম্মদ মুসার ছেলে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ জানান, শুক্রবার সকাল ৭টা ২৪ মিনিটে শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়ার-জি৯৫২৬ নম্বরের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামে আসেন মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, তাকে সন্দেহ হলে তার মালামাল তল্লাশি করা হয়। তার ব্যাগেজ কেটে একটি রাইস কুকার পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে বিশেষ কৌশলে রাখা ১ কেজি ৭০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে আধা কেজি স্বর্ণ জব্দ, প্রবাসী আটক
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
১ বছর আগে