পরিবেশ সচিব
বর্ষায় ৮ কোটি ৩৩ লাখ চারা রোপন করা হবে: পরিবেশ সচিব
ঢাকা, ৪ জুন (ইউএনবি)- চলতি বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার চারা রোপন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সচিবালয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ সচিব
পরিবেশ সচিব বলেন, ‘এ বছর বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে। দেশের বৃক্ষের পরিমাণ ও বন খাতে কার্বনের পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য এ বছর জাতীয় বন জরিপ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের উপকূল, বাঁধ এবং পোল্ডারে বনায়নের মাধ্যমে উপকূল জুড়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সবুজ বেষ্টনি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮৯ হাজার ৮৫৩ হেক্টর উপকূলীয় করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের বন, জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত মোট ভূমির ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনাচ্ছাদনের পরিমাণ ১৪ দশমিক ১ শতাংশ হতে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার ও টেকসই বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
তিনি জানান, ২০০৯-২০১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ২ লাখ ১৭ হাজার ৪০২ হেক্টর ব্লক এবং ৩০ হাজার ২৫২ কিলোমিটার সিডলিং স্ট্রিপ বাগান সৃষ্টি এবং ১১ কোটি ২১ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সামাজিক বনায়নে সম্পৃক্ত ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৯ জন উপকারভোগীর মধ্যে লাভ হিসেবে ৩২৬ কোটি ৯৫ লাখ ৪৬ হাজার ১১৪ টাকা দেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, ‘বনভূমি দখলমুক্ত করার জন্য সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার একর বনভূমি দখলমুক্ত করে বনায়ন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পরিপূর্ণ ডেটাবেইস প্রস্তুতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ সচিব
৫ মাস আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ সচিব
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ন্যাপ এক্সপোর তৃতীয় দিনে 'ইমপ্লিমেন্টেশন ন্যাশনাল গাইডলাইন্স ইন আরবান লোকাল গভর্মেন্ট কনটেক্সট উইথ ইফেক্টিভ পার্টিসিপেশন: লার্নিং ফ্রম প্রাকটিসেস' শীর্ষক কারিগরি অধিবেশনে প্রধান প্যানেলিস্টের বক্তব্য দেন সচিব ফারহিনা।
অভিযোজন সক্ষমতায় বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশ সচিব আরও বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছে বাংলাদেশ।
ড. ফারহিনা আরও বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রাজনিত পরিস্থিতি সামাল দিতে নগর ও শহরে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সরকার প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগাচ্ছে। জনগণকেও প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। রাজধানীতে মাটি ও পানির জলাশয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
পরিবেশ সচিব বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন। এটি হ্রাসের লক্ষ্যে হালনাগাদ হওয়া এনডিসির লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমিয়ে আনা। আন্তর্জাতিক সহায়তায় ২০৩০ সালের মধ্যে এই হ্রাসের পরিমাণ আরও ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ হতে পারে।
জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ড. সারোয়ার বারী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জিআই লয়েডের জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই নগর উন্নয়ন ক্লাস্টারের ক্লাস্টার সমন্বয়কারী ডানা দে লা ফন্টেইন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এম. মেহেদী আহসান।
৬ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পরিপূর্ণ ডেটাবেইস প্রস্তুতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ সচিব
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ২০১৫ অনুযায়ী বাংলাদেশের জ্বালানি, কৃষি, বন, শিল্প প্রভৃতি সেক্টরের জন্য জাতীয় পর্যায়ে নিয়মিত ভিত্তিতে একটি পরিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও যাচাইযোগ্য ডেটাবেইস প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে আরও টেকসই এবং উক্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জাতীয় প্রতিবেদন আকারে নির্ভুলভাবে ইউএনএফসিসি-তে দাখিল করার লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হলো।
আরও পড়ুন: ব্লক ইট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে সরকার: পরিবেশ সচিব
সোমবার (৮ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি ফর এনভায়রনমেন্টাল এমিশন আন্ডার দ্য প্যারিস এগ্রিমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের কাজ আরও সহজ, ব্যয় সাশ্রয়ী ও যাচাইযোগ্য করার লক্ষে এই প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে একটি ওয়েবভিত্তিক বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ এমআরভি সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে যেখানে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা সরাসরি তাদের তথ্য-উপাত্ত ইনপুট দিতে পারবেন এবং প্রদান করা তথ্য-উপাত্তের আলোকে তৈরি বিশ্লেষণসমূহ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু রোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
১ বছর আগে
ব্লক ইট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে সরকার: পরিবেশ সচিব
সরকার ব্লক ইট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
তিনি বলেন, পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইটে রূপান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি এন্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরে বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষিজমি সংরক্ষণে সরকারি নির্মাণ কাজে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ব্লক ইটে রূপান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। ব্লক ইটে রূপান্তর সহজ করার জন্য, সকল প্রকারে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য সরকার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের মানোন্নয়নসহ সকল প্রকার উন্নয়ন টেকসই করতে প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশ সচিব বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বায়ুমানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা হবে। নাগরিকদের সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ কমানো সংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়ে অংশীজনদের সকল সুচিন্তিত পরামর্শ স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষি জমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন নির্মাণে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্দেশ্য সফল করতে বেসরকারি নির্মাণেও ব্লকের ইটের ব্যবহার বাড়াতে আমাদের সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, এডিমন গিন্টিং, কান্ট্রি ডিরেক্টর, এডিবি, বাংলাদেশ অফিস এবং মো. মিজানুর রহমান, এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী।
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, বেসরকারি সংস্থা, সমিতি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু রোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
১ বছর আগে