বিশ্ব পর্যটন দিবস
কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী বিচ কার্নিভাল ও পর্যটন মেলা শুরু আজ
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জমকালো আয়োজনে কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী উৎসব।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এই উৎসবের উদ্বোধনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এরই মধ্যে তারকামানের হোটেলগুলোর শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে। চাঙাভাব ফিরবে পর্যটন ব্যবসায়।
পর্যটন মেলা ভালো ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কক্সবাজারের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, বিশ্ব পর্যটন দিবসের সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে সার্কাস প্রদর্শনী, বিচ বাইক র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, আতশবাজি, রোড শো, সেমিনার, ঘুড়ি উৎসব, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, ফানুস উৎসব, সার্ফিং প্রদর্শনী, বিচ ম্যারাথন, বিচ ভলিবল, কনসার্ট থাকছে।
আর কার্নিভালে দর্শক মাতাবে দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল চিরকুট, আভাস, সুনামগঞ্জের শাহ আবদুল করিমের দল, কুষ্টিয়ার লালন গীতির দল, সিলেট, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহের পালা গানের দলসহ জনপ্রিয় ব্যান্ড ও সংগীত শিল্পীরা।
নৃত্য পরিবেশন করবেন তিন পার্বত্য জেলা-বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা।
ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের প্রধান ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, প্রতি বছর হাজারো বিদেশি পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন। তবে এখনো এই শহরের পর্যটন ব্যবস্থা আশানুরূপ ভাবে উন্নতি হয়নি, সংশ্লিষ্ট সকলে চেষ্টা করছেন বিদেশিদের কাছে এই শহরকে আকর্ষনীয় ভাবে তুলে ধরতে, যাতে তারা এই শহরের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
বালুকাবেলায় নোনাজলের ফেনিল ছাপ এখন স্পষ্ট। সমুদ্রের গর্জন ধেয়ে আসে কিনারে। আছড়ে পড়ে ঢেউ। বালুকাবেলার গর্ত থেকে বেরিয়ে ছোটাছুটিতে ব্যস্ত লাল কাঁকড়ার দল।
একে অপরের সঙ্গে মেতেছে খুনসুঁটিতে। প্রকৃতিও বলে দিচ্ছে শীত আসছে, নিজের মতো করে নতুন সাজে সাজছে সৈকতের চারপাশ। এরমধ্যে পর্যটনি মেলা উপলক্ষে সৈকত নগরীও সেজেছে ছে নতুন সাজে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বউ-শাশুড়ি মেলা!
লাবণী মঞ্চের সামনে সড়কের দুপাশে তৈরি হয়েছে স্টল। হোটেল কল্লোলের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষেও দোকানপাট বসানো হচ্ছে। তিন রাস্তার মুখে বসানো নৌকা থেকে কিছু দূরে নির্মিত হয়েছে মঞ্চ।
১ বছর আগে
পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও উন্নতির জন্য পর্যটন একটি জোরালো শক্তি। কিন্তু এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে হলে পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে এবং আরও উন্নত করতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের এই বিশ্ব পর্যটন দিবসে, আসুন আমরা জনমানুষ ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন খাত গড়ে তুলতে সবুজ বিনিয়োগ ব্যবস্থার শুরু করি।
আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বর্তমানে জলবায়ু জরুরি অবস্থা অনেক পর্যটন এলাকার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল সমাজ ও অর্থনীতির জন্যও হুমকি হয়ে উঠেছে এই পরিস্থিতি। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে অনেক উন্নত দেশেই পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অব্যাহত ধারা হুমকিতে পড়েছে; জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে এই সংকট আরও ঘণীভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ-শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার পথ হলো শিক্ষা: জাতিসংঘ মহাসচিব
তিনি বলেন, সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই এমনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে টেকসই ও পুনরুদ্ধারমূলক পর্যটন খাত গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বেসরকারি খাতকে অবশ্যই শূন্য নিঃসরণ কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সর্বত্র জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থানগত ভারসাম্য রক্ষায় সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
গুতেরেস বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে পর্যটনখাতে বিনিয়োগ করলে তা কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসা ও শিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, এছাড়া এ ধরনের বিনিয়োগ পরিবেশের ওপর পর্যটনের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সমাজের ক্ষমতায়নে, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে সবার সামনে তুলতে ধরতে এবং সামাজিক সুরক্ষা দিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে।
তিনি আরও্ বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে টেকসই পর্যটনের পূর্ণ সম্ভাবনাকে সম্পুরণ করি। কারণ, টেকসই পর্যটনে বিনিয়োগ মানেই সবার জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে বিনিয়োগ।
আরও পড়ুন: বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়াতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
১ বছর আগে