ড. মুহাম্মদ আলমগীর
টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
উচ্চতর গবেষণা ছাড়া কোনো দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে শিক্ষকদের বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রাজুয়েটের সংখ্যা না বাড়িয়ে গুণগত মানসম্পন্ন ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ষষ্ঠ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ইআইসিটি ২০২৩)’- শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন আয়োজন করে।
শুক্রবার রাতে কুয়েটের টিচার্স ক্লাবে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসি’র
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আলমগীর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে ফিজিক্যাল, বায়োলজিক্যাল ও সাইবার বিষয়গুলো একীভূত করে বর্তমান যুগের সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের যুগের চাহিদা অনুাযায়ী গ্রাজুয়েট ও পেশাজীবী তৈরি করতে হবে।
ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। গবেষণা পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা নিতে পারেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ইইই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুয়েটের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মনির হোসেন বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে ৪৭২টি টেকনিক্যাল পেপার থেকে বাছাই করা ১৩৮টি টেকনিক্যাল পেপার ২৭টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া কনফারেন্সে ৮টি কি-নোট সেশন ও একটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে আমেরিকা, বেলজিয়াম, ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৩০০ গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদসহ অন্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
১ বছর আগে
উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) বাস্তবায়ন করতে হলে জাতীয় বাজেটে উচ্চশিক্ষা খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
দেশের উচ্চশিক্ষার সংকট সমাধানে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ৬ শতাংশ বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) 'পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন'- শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগ শনিবার দিনব্যাপী এই কর্মশালা আয়োজন করে।
ইউজিসি’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রেজাউল করিম হাওলাদার স্বাগত বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সে অনুপাতে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ইউজিসি প্রণীত ‘অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা’-সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিকখাতে শৃঙ্ক্ষলা নিশ্চিত করতে ইউজিসি ইতোমধ্যে এ নীতিমলিা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি আর্থিক খাতে ‘আমব্রেলা নীতিমালা' হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম বন্ধ হবে এবং অডিট আপত্তির খড়গ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর আবু তাহের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ ব্যয়ে সরকারি বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রতিপালনের জন্য হিসাব পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
তিনি বলেন, সরকারি বিধি-বিধান না মানলে অডিট আপত্তি বাড়তে থাকবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসরণ এবং যথাযথ যোগ্যতা ব্যতিত নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন না দেওয়ার পরামর্শ দেন।
এছাড়া, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা (অডিট আপত্তিযোগ্য) দেখিয়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের অবৈধ সুবিধা না দেওয়ার আহ্বান জানান। এই অতিরিক্ত সুবিধার অডিট আপত্তি হলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এর দায়ভার বহন করতে হবে বলে তিনি জনান।
প্রফেসর আবু তাহের তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সরকারি অর্থের সদ্ব্যব্যবহার এবং আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সকল লেনদেন ইএফটির মাধ্যমে করার পরামর্শ দেন।
এছাড়া, ইউজিসি প্রতিবছর আর্থিক বিষয়ে যে সব পরিপত্র জারি করে সেগুলো যথাযথ বাস্ববায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
এছাড়া, সরকারি রাজস্ব বাজেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এনডাউমেন্ট ফান্ড গঠনের পরামর্শ দেন।
ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহামান- এর উপস্থাপনায় কর্মশালায় দেশের ৫৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান এবং বাজেট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মোট ১০৫ জন কর্মকর্তার অংশ নেন।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সেশন পরিচালনা করেন অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রেজাউল করিম হাওলাদার, উপপরিচালক (বাজেট) মো. এমদাদুল হক ও মো. হাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: জবির ৩ শিক্ষার্থী পেলেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি
ইএমকে সেন্টারে শিক্ষা মেলার আয়োজন করেছে এডুকেশন ইউএসএ বাংলাদেশ
১ বছর আগে
র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের অভাবে এ বছর বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান অর্জন করতে পারেনি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিটি ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালেয়র (বাকৃবি) ২২টি গবেষণা ও উদ্ভাবন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে দিনব্যাপী এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ অবস্থা মূলত বিগত বছরগুলোতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিক ফল।র্যাংকিংয়ে সম্মানজনক স্থান পেতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, পিএইচডি প্রোগামে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি, সম্মানজনক বৃত্তির ব্যবস্থা, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সহযোগিতা বৃদ্ধি, সাইটেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলে দেওয়ার দাবি জানান।আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো ছাড়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী মেধাবী ও তরুণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ পাচ্ছেন না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা একটি পে-স্কেলে প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া, বিদেশে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে তিনি নবীন শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণার বিশাল সুযোগ রয়েছে। এজন্য, গবেষণার জন্য বিদেশে যাওয়া এবং সেখানে ডিগ্রি শেষে থেকে যাওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়।
উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে যাওয়ার কারণ প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পর্যাপ্ত সাইটেশন না করা। যথাযথ সাইটেশন করা হলে বাকৃবি বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করতো বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে দেশীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা এবং স্নাতকদের বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে তাদের ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্ৰহণের আহ্বান জানান।
এছাড়া, সিটি ব্যাংকের সহায়তায় ২২টি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড় এলাকার মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর ও সিটি ব্যাংকের কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ গণি।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলমান বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন বাউরেসের সহযোগী অধ্যাপক চয়ন গোস্বামী।
আরও পড়ুন: ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি’র গণবিজ্ঞপ্তি জারি
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
১ বছর আগে