মাথাভাঙা
মাথাভাঙা নদীতে একজনের লাশ উদ্ধার
দর্শনা নাস্তিপুর সীমান্তের মাথাভাঙা নদীতে কোমরে বেল্টবাধা অবস্থায় ডুবে যাওয়া এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।
রবিবার বিকালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তসংলগ্ন মাথাভাঙা নদী থেকে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মিরাজ আলি দর্শনা থানার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলির ছেলে।
আরও পড়ুন: ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের ‘উদ্ভট প্রস্তাবের’ নিন্দা
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, মিরাজ বিকালের দিকে সহকর্মীদের নিয়ে নাস্তিপুর নফীর ঘাটের কাছে অপেক্ষা করতে থাকেন। সুযোগ বুঝে মেরাজ তার কোমরে সেট করা মালামাল (স্বর্ণের বার) নিয়ে সীমান্তের ওপারে যাওয়ার উদ্দেশে নদীতে লাফ দেন।
গ্রামবাসীরা জানান, ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সি ছেলে মালামালের (স্বর্ণের বার) বেশি ওজনের কারণে আর উঠতে না পেরে নিখোঁজ হন। পরে তার সহকর্মীরা বাড়িতে খবর দিলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গ্রামের ঘাট মোড়ে লাশ ভেসে উঠে। লাশ ডাঙায় তোলার পরপরই স্থানীয় ক্যাম্পের বিজিবি-ও দর্শনা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পরে তার কোমরে বিশেষ ব্যবস্থায় বাধা স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তদন্তকারি কর্মকর্তা দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার ৮টি বড় ও ২টি ছোট সাইজের স্বর্ণেরবার উদ্ধার করা করে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, স্বর্ণ পাওয়া গেছে, ওজন না করে সঠিকভাবে বলা যাবে না। দর্শনা পুলিশ সন্ধ্যা ৬টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত সংলগ্ন মাথাভাঙা নদী থেকে কোমরে বেল্ট বাধা অবস্থায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আরও জেনেছি, রবিবার দুপুর থেকে মিরাজকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বিকালে নদী থেকে লাশ উদ্ধার হলো।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
১ বছর আগে