উৎসবমুখর
উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত: আইজিপি
ঢাকাসহ সারাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং দু-একটি ঘটনা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রবিবার(৭ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার কবি নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারাদেশে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনি এলাকায় পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।
ভোট দানকে জনগণের নাগরিক দায়িত্ব আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পরে সার্বিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ যেকোনো নাশকতা বা সহিংস পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, তারা কেন্দ্রগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন- গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রসহ সর্বত্র পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে লক্ষ টাকা পুরস্কার: আইজিপি
রাতে নৌকায় ব্যালট বাক্স সিল ভর্তি করার বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, 'আজ সকালে ব্যালট পেপারগুলো ভোটকেন্দ্রে গেছে। এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) সামনে। ব্যালট কখন ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল তা আপনারা বলতে পারেন। এই অভিযোগ কতটা সত্য তা আপনারাই বিচার করতে পারেন। যে কেউ এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলবে।’
কবি নজরুল কেন্দ্রে বহিরাগতদের (ভুয়া ভোটার) উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ভুয়া ভোটারদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরামর্শ দেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) একেএম হাফিজ আক্তার, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডিএমপির উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এবং মেট্রোপলিটন ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
১১ মাস আগে
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উপকূলীয় শহর কক্সবাজারের প্রধান প্রধান পয়েন্ট এবং রাস্তার দুই পাশ এখন ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে সজ্জিত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এদিন দুপুর আড়াইটায় মহেশখালীর মাতারবাড়িতে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ঝিনুক আকৃতির এই রেলস্টেশন উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ দিন প্রধানমন্ত্রী রেলওয়েসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এই ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৯টি বড় প্রকল্প এবং ৬টি ছোট প্রকল্প।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল, বাকখালী নদীর ওপর সেতু, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা, উখিয়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, রামু উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চকরিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ, মহেশখালীর কুতুবদিয়া থান্ডা চৌকিদার পাড়া আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, মহেশখালীর গোরকঘাটা-শাপলাপুর জনতাবাজার সড়ক, বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি ভরাট, বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প, ঈদগাঁও জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালী ইউনুসখালী উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া রত্না এবং মরিচিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন।
এছাড়া মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলের ১ম টার্মিনাল, টেকনাফ বহুমুখী দুর্যোগ সহনশীল আশ্রয় কেন্দ্র ও আইসোলেশন সেন্টার, রামুর নন্দখালী সড়কে আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ এবং জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
এ আয়োজন সফল করতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগও সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান জানান, এই জনসভায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে। পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীন ইমরান কক্সবাজারে সব ধরনের বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে ভাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার প্রধান সড়কটি ব্যানার, ফেস্টুন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ মঙ্গলবার উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দুপুর ২টায় ভাঙ্গা উপজেলা সদরের কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: মহামারি শেষে উৎসবমুখর ঈদ
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুরের কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামসহ পুরো এলাকায় দুই লাখ মানুষের সমাগমের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠান সামনে রেখে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরে চার হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমদাত হোসেন বলেন, সমাবেশস্থল ও রেলওয়ে জংশন এলাকায় কৌশলগতভাবে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
পুলিশ ও বিশেষ সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল দেবে র্যাবের টিম। এ ছাড়া রেলজংশন এলাকা, সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত পুরো এলাকা উজ্জ্বল রঙিন করে সাজানো হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগের উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়কগুলো ব্যানার ও সাজসজ্জায় ঢেকে রাখা হয়েছে।
নেতাদের মুখ ও উন্নয়নের ছবি সম্বলিত বড় ব্যানার টানানো হয়েছে। বিভিন্ন মোড়, দেয়াল এমনকি গাছেও পোস্টার সাঁটানো রয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার সফলতা নিশ্চিত করতে আমরা দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য জনসভা স্থল এবং আশেপাশের এলাকায় দুই লক্ষেরও বেশি লোককে জড়ো করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর শহরের রাজেন্দ্র কলেজে এক জনসভায় ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর পরিবেশ রংপুরে
বরিশাল ও খুলনা সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে: ইসি হাবিব
১ বছর আগে