ঢাদসিক মেয়র
যেন দখল না হয় সেভাবেই উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে: ঢাদসিক মেয়র
ভবিষ্যতে যেন আর কেউ দখল করতে না পারে সেভাবেই পর্যায়ক্রমে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে সায়েদাবাদ থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মেয়র হানিফ উড়ালসেতু সেতুর নিচের অংশে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের জায়গাগুলো বিভিন্নভাবে দখল হয়ে গেছে। ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই উড়ালসেতুর নিচের পুরো অংশকে আমরা আট ভাগে ভাগ করেছি। এই অংশগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনে আমরা পরামর্শক নিয়োগ করেছি। কোন অংশে কী চাহিদা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কী হতে পারে, কোথায় পথচারী পারাপার দরকার, কীভাবে ল্যান্ডস্কেপিং করা হলে সৌন্দর্যবর্ধন হবে, সবকিছু বিশ্লেষণ করে সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে যাতে আবার এখানে কেউ দখল করতে না পারে, সেভাবেই আমরা মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশে পর্যায়ক্রমে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
ইতোমধ্যে চার ভাগের পরিকল্পনা শেষ হয়েছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ‘আটটি ভাগে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে আমরা প্রত্যেকটির আলাদাভাবে নকশা করছি। ইতোমধ্যে চানখারপুল হতে চারটি অংশের নকশা প্রায় সম্পন্ন। আমরা দরপত্রে যাব। আজকে আমরা বাকি চারটি অংশ পরিদর্শনে এসেছি। এটা শেষ করে আমরা এই অংশগুলোরও নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ করব। এভাবে আমরা পর্যায়ক্রমে একেকটি অংশের সৌন্দর্যবর্ধন সম্পন্ন ও কার্যকর করব।’
জনগণের চাহিদা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনই তা রক্ষণাবেক্ষণ করবে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়াও ল্যান্ডস্কেপিং এ মৌসুমি ফুল গাছের প্রাধান্য থাকবে বলেও জানান ঢাদসিক মেয়র।
পরে ঢাদসিক মেয়র পুরানা মোগলটুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের চলমান ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
আজকের পরিদর্শন কার্যক্রমে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টির পরেও জাতীয় ঈদগাহে নির্বিঘ্নে জামাত আদায় হয়েছে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
কামরাঙ্গীরচরকে আধুনিক ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ঢাদসিক মেয়র
কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত 'বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণি'র নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে ঢাদসিক মেয়র গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরে অপরিকল্পিত নগরায়ন হয়েছে। আমরা ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য, পরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তর করার যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছি, সেই পরিপ্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। উন্নত দেশে আমরা দেখি, একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক বা ফিনান্সিয়াল হাব থাকে। সেভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।’
ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘আমরা আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন করছি। আদি বুড়িগঙ্গা তার রূপ আবার ফিরে পাচ্ছে। এর পাশ দিয়েই আমরা নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। এই লোহারপুল সেতুর জায়গায় আমরা ছয় সারি বিশিষ্ট একটা আধুনিক সেতু নির্মাণ করব। এর উত্তরদিকে যে এলাকা রয়েছে আমরা সেখানে আধুনিক মানের একটি ফাইভ স্টার হোটেল, কনভেনশন হল, ৫০তলা বিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করব।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ দিকে সুন্দরভাবে আবাসন গড়ে তুলব। এ ছাড়াও বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় দিয়ে নিজামবাগ থেকে ঝাউচর পর্যন্ত আরও ৪ সারি সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আজ এই নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের উপর যে আস্থা রেখেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি এখানে যেসব সরকারি জমি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন যেসব জমির প্রয়োজন হবে, আমরা তাদের পূর্ণরূপে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করব। কেউ বঞ্চিত হবে না। যথাসময়ের পূর্বে আপনারা ক্ষতিপূরণে অর্থ পেয়ে যাবেন।’
আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার আধুনিক প্রাণকেন্দ্র হবে কামরাঙ্গীরচর। দুই পাশে নদী পরিবেষ্টিত এই ধরনের নান্দনিক পরিবেশ শুধু ঢাকা শহরই নয়, সারা বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে না। সেভাবেই আমরা কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তুলছি। ইনশাল্লাহ আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই কামরাঙ্গীরচরের চেহারা পাল্টে যাবে। পরিকল্পিত নগরায়নের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা কামরাঙ্গীরচরবাসী পাবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, অগ্রগতি হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাকে আমরা যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এই অর্জনগুলোকে আমরা যাতে রক্ষা করতে পারি, কোনো হায়েনার দল যেন এই অর্জনগুলোকে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধ থাকব।’
এ সময় আইনজীবী কামরুল ইসলাম কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়নে বিশেষ নজর রাখায় ঢাদসিক মেয়রকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পরে সিদ্দিক বাজার আধুনিক নগর বিপনী বিতানের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।
উল্লেখ্য যে, ঢাদসিকের নিজস্ব অর্থায়নে এই সড়কটি নির্মাণ করা হবে। ২ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৪ ফুট গড় প্রশস্ততার এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৯ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ৩ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরে আলম, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ এবং সংরক্ষিত আসনের শেফালী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টির পরেও জাতীয় ঈদগাহে নির্বিঘ্নে জামাত আদায় হয়েছে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে