সমাজকল্যাণ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহত শিক্ষার্থী ও জনতার তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুতের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের একমাস পূর্তিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে গৃহীত ব্যবস্থাদি ও স্বল্পমেয়াদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী-জনতার জন্য তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে যাচাই করে চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
এছাড়াও আগামী মাসে মৃতের সংখ্যা ও তাদের পরিবার নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেন শারমীন এস মুরশিদ।
উপদেষ্টা আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও সম্ভাবনাময় তারুণ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে নিবেদিত ফিজিওথেরাপি সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয় এবং উপজেলা রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ১ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী-জনতাকে মোট ৭৫ লাখ ৩ হাজার ৬২০ টাকার সেবা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১ হাজার জনকে মানসিক সেবা দেওয়া হয়েছে।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, গুরুতর আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। খুব শিগগিরই ইন্টার্নশিপ নীতিমালা ২০২৩-এর আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন অনুবিভাগ/অধিশাখা/শাখা এবং অধীনস্থ দপ্তরে চার মাস মেয়াদে ১২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার হয়ে কাজ করতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
তিনি আরও বলেন, বিগত আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-জনতার মধ্যে বিনামূল্যে হইল চেয়ার ও হিয়ারিং এইড দেওয়া হবে। আহত শিক্ষার্থী-জনতার মধ্যে যারা নড়াচড়া কম করতে পারে, তাদের জন্য মোবাইল ভ্যান দিয়ে বাড়ির দোরগোড়ায় সেবা দেওয়া হবে।
এছাড়া জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের ৬৪ জেলায় বিশিষ্ট সমাজকর্মী হিসেবে তারুণ্যের প্রতিনিধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিগগিরই তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় ও তারুণ্যকে দেশের সেবায় কাজে লাগাতে অ্যাকশন রিসার্চ করা হবে। পরে সবার সামনে এর ফলাফল জানানো হবে।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান শারমীন এস মুরশিদ।
১ মাস আগে
১৫ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেটের আকার বেড়েছে ১২ গুণ: মন্ত্রী
গত ১৫ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত জনকল্যাণমূলক সেবাখাতে বাজেটের আকার ১২ গুণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বিগত পনেরো বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত জনকল্যাণমূলক সেবাখাতগুলোর বাজেটের আকার ১২ গুণ বাড়ানো হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট ছিল ১ হাজার ১৩ কোটি ৩১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট ১২ হাজার ২১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি, অর্জন ও কার্যক্রম অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আট বিভাগে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২০ লাখ প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি টাকা। জনপ্রতি ৬০০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৮ লাখ প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বার্ষিক বাজেট উন্নীত হয়েছে ৪ হাজার ২০৫ কোটি টাকায়।
মন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের দরিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলাকে শতভাগ বয়ষ্কভাতা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও ১৫০টি উপজেলাকে শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ২৬টি উপজেলায় ভাতা পাওয়ার উপযোগী শতভাগ লোক ভাতার আওতায় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত সময়ে প্রতিটি কর্মসূচিতে বাজেট, উপকারভোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে বলেও জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ৯ লাখ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৭০ কোটি টাকা। তা মাথাপিছু মাসিক ৫৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জনের জন্য বাজেট বরাদ্দ ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা। বর্তমানে মাথাপিছু ভাতা মাসিক ৮৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ লাখ জনের জন্য বাজেট ২ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষা-উপবৃত্তিখাতে ১৩ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ১১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: মৎস্যমন্ত্রী
১ বছর আগে