অভয়ারণ্য
পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে মাছ ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (১ মার্চ) থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার জাটকা রক্ষা ও অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ।
জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত এ ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।
সরকারি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন ৪৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে।
জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে।
সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলায় টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলে পাড়াগুলোতে জেলেদের অংশগ্রহণে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে মাছ আহরণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
জেলা মৎস্য অফিসার মো. গোলাম মেহেদী হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে মাথাপিছু ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জেলে পাড়া আনন্দ বাজার এলাকায় জেলেদের সঙ্গে এই সংবাদদাতার কথা হয়। জালাল দেওয়ান ও হৃদয় হোসেনসহ অন্যরা জানান, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তাতে তাদের সংসার চলে না। সব দ্রব্যের দাম ডাবল। এরপর তাদের ঋণ থাকে। এই সময় বেকার হয়ে পড়ায় তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
তারা সরকারি সহযোগিতা দ্বিগুণ বাড়ানোর দাবি জানান।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নৌপুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে নদীতে কোনো অনিয়ম দেখলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্য করে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাটকা রক্ষায় টাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
৮ মাস আগে
ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু
বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সারা দেশে ২২ দিনের ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।
পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে বাংলাদেশের জাতীয় এই মাছের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
২ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চর ভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে জেলেরা মাছ ধরতে পারবে না।
ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় স্থানীয় প্রশাসন প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দিয়েছে এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
স্থানীয় প্রশাসন জেলার উপকূলীয় এলাকায় একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচিও পরিচালনা করেছে।
জেলেদের অলস সময় কাটাতে এবং কয়েকজনকে তাদের জাল মেরামত করতে দেখা গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নিবন্ধিত ৪৩ হাজার ৭৭২ জন জেলের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম এক-দুই দিনের মধ্যে শেষ হবে।
এ সময় টাস্কফোর্স নিষেধাজ্ঞা অমান্য রোধে সার্বক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত এর পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করবেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ কর্মসূচির বাস্তবায়ন ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, টাস্কফোর্স কমিটি কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং জেলার মতলব উত্তর, সদর ও হাইমচর উপজেলায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলে চাহিদা বাড়ছে নোনা ইলিশের
মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: মৎস্যমন্ত্রী
১ বছর আগে