মমেক
পাঁচ দাবিতে মমেক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অন্যথায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেডিকেল কলেজ চত্ত্বরে মমেক ও কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল হাসপাতাল ক্যাম্পাসসহ চরপাড়া এলাকায় সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মেডিকেল কলেজ গেইটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না—বিএমডিসির এই আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সালে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করেছে, তাদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
তারা জানান, ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবি না মানলে আগামীকাল (সোমবার) ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে, তেমনই রোগী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: পাঁচ দফা দাবিতে খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো—
১. এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না—বিএমডিসির এই আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। এছাড়া, ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি ড্রাগ লিস্টের বাইরে ড্রাগ প্রেসকিবেল করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরে কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে—
ক. দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।
খ. প্রতি রবছর ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
গ. ডাক্তারদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. সকল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ইতোমধ্যে এসএসসি পাস করা (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পাঁচ দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চললেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। আমাদের দাবি পূরণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাদের এই উদাসীনতায় আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা মনে করি, তারা আমাদের দাবিগুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমাদের যৌক্তিক পাঁচ দাবি মানা না পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না এবং দাবি শিগগিরই না মানলে কাল থেকে হাসপাতাল ও ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন করতে বাধ্য হব।
৭১ দিন আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেলে র্যাবের অভিযানে ‘দালাল চক্রের’ ৭ সদস্য আটক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন- জুয়েল মিয়া (২৬), আলাল উদ্দিন (৩২), শামসুল আলম (৪১), বিজয় দাস হরিজন (৪৫), তুষার আহমেদ (২৬), রতন মিয়া (৪৭) ও পাভেল (২৩)। আটক ব্যক্তিরা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, র্যাব-১৪ এর উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল ছদ্মবেশে মমেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে দালালদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। পরে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে সেবা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার সময় দালাল চক্রের সাত সদস্যকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক সাতজনের প্রত্যেককে সাতদিন করে কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুল হক।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে রেলক্রসিংয়ে আটকা পড়া ট্রাকের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
আটকরা সবাই মমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের দালাল।
র্যাব-১৪ এর উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, সম্প্রতি মমেক হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। দালালরা সরকারি ওষুধ ও উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল রোগীদের।
হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন খান জানান, রোগীদের ভোগান্তি কমাতে ও দালাল চক্রের হাত থেকে হাসপাতালটিকে রক্ষা করতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পুকুর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
৫৭১ দিন আগে