মাংস বিক্রি
কম দামে মাংস বিক্রির জেরে কসাইকে খুনের অভিযোগ
রাজশাহীর বাঘায় কম দামে গরুর মাংস বিক্রি নিয়ে বিতর্কের জেরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে মামুন হোসেন নামে এক মাংস ব্যবসায়ীকে (কসাই) হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আড়ানী হাটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন হোসেন আড়ানী পৌরসভার পিয়াদাপাড়া গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দুর্বৃত্তের ছোঁড়া পেট্রোলবোমায় আহত ২
স্থানীয়রা জানান, মামুন হোসেন আড়ানী হাটে গরু জবাই করে কেজিতে ৬৫০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করছিলেন। এ সময় একই গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে খোকন হোসেনও পাশে প্রতি কেজি ৭০০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করছিলেন। দুইজনের মধ্যে মাংস বিক্রি নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে খোকনের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মামুনকে কুপিয়ে জখম করেন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে খোকন পলাতক।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ ভ্যানচালক নিহত
খোকনের সহকারী আবদুস সালাম ও রফিকুল ইসলাম বলেন, মামুন ও খোকন পরস্পর মামাতো-ফুফাতো ভাই। একসঙ্গে তারা মাংসের ব্যবসা করতেন। কিছু দিন আগে থেকে তারা ব্যবসা আলাদা করেছেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার তারা দুইজন পাশাপাশি মাংস বিক্রি করছিলেন। খোকন ৭০০ টাকা এবং মামুন ৬৫০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে মাংস বিক্রি করছিলেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১০ মাস আগে
সিলেটে মৃত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীর জেল-জরিমানা
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের চতুল-ঈদগাহ বাজারে মৃত গরুর মাংস বিক্রি করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ২ মাসের কারাদণ্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন। মাংস ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম স্থানীয় মুক্তাপুর গ্রামের ফকির আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএসটিআইয়ের অভিযানে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানান, বৃহস্পতিবার ফখরুল ইসলাম ও তার আরও ২ সহযোগীকে নিয়ে বাজারে গরুর মাংস বিক্রি করতে থাকেন। অনেক ক্রেতা মাংস ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে গেলে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি তাৎক্ষণিক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল আম্বিয়াসহ নেতাদের জানান।
পরে সমিতির নেতারা বাজারে গিয়ে দেখতে পান মাংস থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এসময় ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম মাংসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় রায়পুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে নাজিম উদ্দিন তাকেসহ আব্দুল বাছিত ও আব্দুল হামিদকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মৃত গরুর মাংস বিক্রি করতে বলেছে।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ জানতে উপজেলা ফুড ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাণি-সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনকে নিয়ে চতুল ঈদগাহ বাজারে যান।
পরে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাংস পরীক্ষা করে মৃত গরুর পঁচা মাংস হিসেবে শনাক্ত করেন। তখন পঁচা মাংস জব্দ করে বাজারের পাশে মাটির গর্তে পুতে ফেলেন ভূমি কমিশনার ফয়সাল আহমেদ।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, মাংস বিক্রির বিষয়টি ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম স্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে দুই মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাংস ব্যবসায়ীকে থানা পুলিশের মাধ্যমে সিলেট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে সাড়ে ৫ লাখ টাকার চায়না জাল ধ্বংস, ৫ জেলেকে জরিমানা
দক্ষিণ সিটির ৯ স্থাপনাকে লাখ টাকা জরিমানা
১ বছর আগে