ইসরায়েলি
বৈরুতের কেন্দস্থলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০
যুদ্ধ বিরতির কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যে পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই লেবাননের রাজধানী বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে অব্যাহত ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার(২৩ নভেম্বর) এই হামলা চালানো হয় বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় ৬৬ জন আহত হয়েছেন। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে মধ্য বৈরুতে চতুর্থ হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটল।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে একটি চুক্তির জন্য মার্কিন দূত আমোস হোচস্টেইন ওই অঞ্চল সফর করার পর এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই লড়াইয়ে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ বা লেবাননের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বোমা হামলা ও লড়াইয়ে প্রায় ৯০ জন সৈন্য ও প্রায় ৫০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
আটতলা ভবন ধ্বংস
শনিবার ভোর ৪টার ইসরায়েলি বিমান হামলায় বৈরুতের কেন্দ্রস্থলের একটি আটতলা ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। হিজবুল্লাহর আইনপ্রণেতা আমিন শিরি বলেন, হিজবুল্লাহর কোনো কর্মকর্তা ভেতরে ছিলেন না। হামলায় আশপাশের কয়েকটি ভবনের সম্মুখভাগ ধসে যায় এবং গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
লেবাননের সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা ওয়ালিদ আল-হাশাশ বলেন, 'এলাকাটি আবাসিক, খুব ঘেষাঘেষি ও জনাকীর্ণ ভবন এবং সরু রাস্তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে।’
আরও পড়ুন: লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হতাহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী টায়ারে ড্রোন হামলায় দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
সোর এলাকার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ফাতাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ বিকাই বলেন, নিহতরা নিকটবর্তী আল-রশিদিহ শিবির থেকে আসা ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তারা মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন।
বিকাই বলেন, গত মাসে লেবাননের দক্ষিণ উপকূল এড়িয়ে চলার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সতর্কতা সত্ত্বেও, ‘আপনারা এমন কাউকে বলতে পারেন না যে, খাওয়ার প্রয়োজনেও আপনি মাছ ধরতে পারবেন না।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর শমুস্তারে চার শিশুসহ আটজন, দক্ষিণাঞ্চলীয় রুমিন গ্রামে আরও পাঁচজন এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বুদাই গ্রামে আরও পাঁচজন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতালের পরিচালকসহ নিহত ৬
৪ সপ্তাহ আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬
লেবাননের সরকারি বার্তাসংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বালবেকের কেন্দ্রস্থলের নবী ইনাম এলাকার ওই বাড়িতে একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দল নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে লেবাননের রেড ক্রস।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
এদিকে, সোমবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাবর্ষণের সময় তারা একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবরের পর দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে এটি গোষ্ঠীটির নবম ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা।
পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা সোমবার ইসরায়েলের বেইত হিলেলের মোশাভে ইসরায়েলি আর্টিলারি অবস্থানসহ একাধিক স্থানে রকেট হামলা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সমর্থনে ৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে থাকে হিজবুল্লাহ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমাগত সংঘাত বাড়তে থাকায় ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
২ মাস আগে
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০৬
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৩০৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১০ হাজার ৬৯৮ জন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শুধু শনিবারই ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫১ জন নিহত ও ১৭৪ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে ১৪ জন নিহত ও ৬৩ জন আহত এবং নাবাতিয়েহে ১০ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৩, আহত ৩৬
এছাড়াও বেকায় তিনজন নিহত ও ১১ জন আহত এবং বালবেক-হারমেলে ১৩ জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে মাউন্ট লেবাননে ২২ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত এবং উত্তর লেবাননে দুই জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবাননের সামরিক সূত্র জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দক্ষিণ লেবাননের গভীরে মায়ফাদুন গ্রামের একটি বাড়িতে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যাতে ৭ জন বেসামরিক লোক নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে তীব্র উত্তেজনায় লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধের মধ্যেই লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ এক বৃহত্তর সংঘাতের আশঙ্কা জাগিয়ে তুলছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনে দুই মন্ত্রণালয় কাজ করছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২ মাস আগে
রাফাহতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার পশ্চিমাঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ জুন) ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবু লক্ষ্য করে কামানের গোলা ও গুলি ছোড়ে।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো সিনহুয়াকে জানিয়েছে, ওই এলাকার কাছে ইসরায়েলি ট্যাংক অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার রাতভর গোলাবর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: রাফাহর আরও গভীরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বোমা হামলার ফলে বাস্তুচ্যুত লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি হয়। তারা তাদের তাঁবু ছেড়ে খান ইউনিসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে পালিয়ে যায়।
মেডিকেল সূত্রগুলো সিনহুয়াকে জানিয়েছে, বোমা হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। তাদের সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আল-মাওয়াসি সমুদ্র তীরে একটি বিস্তীর্ণ বালুকাময় এলাকা। এটি গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চল দেইর আল-বালাহ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে পশ্চিম খান ইউনুস হয়ে রাফার পশ্চিমে বিস্তৃত।
এই অঞ্চলে অবকাঠামো, নিকাশী নেটওয়ার্ক, বিদ্যুতের লাইন, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সংযোগের অভাব রয়েছে। সংকটগুলো সেখানে বসবাসকারী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রার কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি আলোচনার মাঝেই রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েলের
৫ মাস আগে
গাজার রাফায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ ও গাজা উপত্যকার আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্যাপক হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এতে নারী ও শিশু সহ আহত হয়েছেন আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোরে রাফাহ এলাকায় প্রায় ৪০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এছাড়া স্থল বাহিনী ব্যাপক গোলাবর্ষণও করেছে ওই এলাকায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সোমবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে 'সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক হামলা’ চালিয়েছে। তবে এর বেশিকিছু বলা হয়নি ওই বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৩ জনের মৃত্যু; রাফাহ অভিযান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনে এবং আহত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৪ জন।
গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা নিরাপত্তার সন্ধানে মিশর সংলগ্ন রাফাহ এলাকায় পালিয়ে গেছে।
সীমান্তবর্তী শহরটি রাফাহ ক্রসিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর কাছ থেকে খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা পেয়ে থাকেন ফিলিস্তিনিরা। বর্তমানে ওই এলাকার খালি কৃষিজমিতে, স্কুলে এবং রাস্তার পাশে তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন ফিলিস্তিনের বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা।
আরও পড়ুন: রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
১০ মাস আগে
রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তবে স্থলভাগে আক্রমণের আগে দক্ষিণ গাজার শহর থেকে কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করার জন্য সামরিক বাহিনীকে বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ঘোষণা দেওয়ায় গাজাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকেরও বেশি এখন রাফায় গাদাগাদি করে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলি উচ্ছেদের নির্দেশে বারবার উচ্ছেদ করায় গাজার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন এই অবস্থায় রয়েছে। এরপর তারা কোথায় যেতে পারবে তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বেসামরিক জনগণের জন্য কোনো পরিকল্পনা ছাড়া রাফাহতে হামলা হলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই রাফাহতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খান ইউনিস শহরে উত্তর দিকের স্থলভাগের যুদ্ধ থেকে বাঁচতে বেসামরিক নাগরিকদের সেখানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল।
শনিবার রাতভর রাফাহ এলাকার বাড়িঘরে তিনটি বিমান হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। প্রতিটি হামলায় অন্তত তিনটি পরিবারের একাধিক সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে মোট ১০টি শিশু ছিল। সবচেয়ে কনিষ্ঠতম শিশুটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের ওই এলাকার সবচেয়ে বড় নাসের হাসপাতালে গুলি চালালে অন্তত একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তীব্র আগুনের কারণে হাসপাতালের ভবনগুলোর মধ্যে চিকিৎসা কর্মীরা আর চলাচল করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ৩০০ চিকিৎসাকর্মী, ৪৫০ জন রোগী এবং ১০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ গাজায় হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক হাজার হামাস সদস্যের সশস্ত্র হামলায় নিহত হয় ১ হাজার ২০০ মানুষ। এসময় আরও ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল অভিযানে প্রায় ২৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজার ২৩ লাখ মানুষের প্রায় ৮০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটি খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার ঘাটতিসহ মানবিক সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
১০ মাস আগে
গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজার ৬৬৭ জন এবং আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অন্যদিকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩০১ ও ৩ হাজার ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে।
দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গাজায় গত ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলের অভিযানে ২১৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক আহত এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
আল-কেদরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে হাসপাতাল ধ্বংস করে তাদের সেবা ব্যাহত করার অভিযোগ করেছে।
তিনি বলেন, এ হামলার ফলে ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে এবং হাজার হাজার আহত, গর্ভবতী নারী, শিশু এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
আল-কেদরা জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ গাজার হাসপাতালগুলো ‘বিপুল আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সামর্থহীন এবং সীমিত ক্লিনিকাল, চিকিৎসা ও মানবিক পরিষেবা দিয়ে রোগীদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় সর্ববৃহৎ যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭৫
গাজায় 'অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের' আহ্বান ইইউ'র
১ বছর আগে
সম্ভাব্য ব্যাপক অনুপ্রবেশের আগে গাজায় স্থল অভিযান ইসরায়েলি সেনাদের
গাজায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিধ্বংসী বিমান হামলার পর স্থলভাগে প্রত্যাশিত ব্যাপক আক্রমণের আগে ‘যুদ্ধক্ষেত্র প্রস্তুত করতে’ ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাংকগুলো বৃহস্পতিবার রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে একটি স্বল্পমাত্রার অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজা উপত্যকায় জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করার পর এই অভিযান চালানো হয়। এতে তারা গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাপক হারে কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
চলতি মাসের শুরুতে (৭ অক্টোবর) দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হামাসের হামলার পর গাজাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম কমে যাওয়ার কারণে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসাকর্মীরা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শ্রমিকরা শহরের ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বের করে আনছে শিশুসহ নিহত ও আহত অনেক বেসামরিক নাগরিকদের।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যা আগের দিন নিহত ৭০৪ জনের চেয়ে বেশি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) স্বাধীনভাবে মৃতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি এবং বেসামরিক ও যোদ্ধাদের আলাদা করে হিসাব করে না মন্ত্রণালয়।
হামাসের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের হামলায় হামাসের সদস্য নিহত হয়েছে এবং হামাসের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে অবিরত রকেট হামলা চালিয়ে আসছে।
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর অভিযানের সময় সৈন্যরা হামাসের যোদ্ধা, সামরিক অবকাঠামো এবং ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েক দশক ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যে গাজায় মৃতের সংখ্যা নজিরবিহীন হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আগের চারটি যুদ্ধে টিকে থাকা হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে ইসরায়েল যদি প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণ শুরু করে, তাহলে আরও বড় সংখ্যায় প্রাণহানি ঘটতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি সরকারের মতে, এই লড়াইয়ে ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হামাসের প্রথম হামলায় নিহত বেসামরিক নাগরিক। হামাস গাজায় প্রায় ২২২ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জ্বালানি সরবরাহ হ্রাসের বিষয়ে সতর্ক করেছে যে মানবিক সংকট দ্রুত আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
গাজার জনগণ খাদ্য, পানি ও ওষুধও সংকটে ভুগছে। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে, যাদের প্রায় অর্ধেকই জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল মিশর থেকে অল্প সংখ্যক ট্রাকে সাহায্য নিয়ে প্রবেশ করতে দিয়েছে, কিন্তু জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
১ বছর আগে
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া বাংলাদেশে
গাজা ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের জন্য শুক্রবার বাংলাদেশ বিশেষ দোয়া করা হয়েছে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলান মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিনের পরিচালনায় মসজিদের দক্ষিণ ও উত্তর গেটে শত শত মুসল্লির অংশগ্রহণে প্রধান নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে গিয়ে অনেক মুসল্লিকে অশ্রু বর্ষণ করতে দেখা যায়।
তারা ইসরায়েলি অভিযানে নিহতদের আত্মার চির শান্তি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
সরকারি নির্দেশে সিলেটে বৃহস্পতিবার হযরত শাহ জালাল (র.) মাজার মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বরিশালে খেলাফত-ই-মজলিশের ব্যানারে নগরীতে বিশেষ মোনাজাত শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
দেশের অন্যান্য স্থানেও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সারাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য জুমার নামাজে বিশেষ মোনাজাত করার কথা বলেন।
মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাতেও ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।
অক্টোবরের শুরু থেকে ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে।
চারদিক থেকে দখলদার ইসরায়েলের হামলার কারণে পুরো ফিলিস্তিনে খাদ্য, পানি ও ওষুধের অভাবসহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন সংকট সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর: প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধ করুন, নারী ও শিশুদের বাঁচান: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
১ বছর আগে
সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’: জাতিসংঘের মুখপাত্র
ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার দুটি বিমানবন্দরকে বিকল করে দিয়েছে। ইসরায়েলের এ ধরনের হামলাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক বলেছেন, আলেপ্পো ও দামেস্ক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বিশেষ করে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সতর্কতা ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
মুখপাত্র বলেছেন, গুতেরেস সিরিয়ায় সমস্ত সহিংসতার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোকে অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে। তা স্মরণ করে সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গাজার উত্তরাঞ্চলের ১ মিলিয়ন মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের
তিনি প্রাত্যাহিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে আছি যেখানে এই উত্তেজনাগুলো আরও বেড়েছে। সেখানে একটা ভুল পদক্ষেপও এরই মধ্যে অস্থিতিশীল হওয়া অঞ্চলকে ব্যাপক সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, যে দুটি বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোতে জাতিসংঘের মানবিক বিমান পরিষেবা সাময়িক স্থগিত থাকবে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে দামেস্ক ও আলেপ্পোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোর উদ্দেশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইসরায়েল
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জিম্মি নিহত: আল-কাসাম ব্রিগেড
১ বছর আগে