জয়িতা টাওয়ার
ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত ১২ তলা জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ার, জামদানি গ্যালারি ও জয়িতা টাওয়ারে স্থাপিত জয়িতা মার্কেটপ্লেসের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে তাদের স্বাগত জানান। তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রী টাওয়ারের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন।
তিনি 'নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জয়িতা টাওয়ারটি অত্যাধুনিক ভৌত অবকাঠামো সুবিধা দিয়ে নির্মিত হয়েছে।
এটি জয়িতা ব্র্যান্ডের অধীনে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
জয়িতা টাওয়ারে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত পণ্য, সাপ্লাই চেইন ও সেবা সার্বজনীন প্রবেশাধিকারসহ বাজারজাত করার সুবিধা রয়েছে।
এই ভবনে জ্ঞান, দক্ষতা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন কৌশলের ভিত্তিতে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
এখানে যথেষ্ট গাড়ি পার্কিং সুবিধা এবং একটি প্রশস্ত লবি রয়েছে।
এছাড়া এতে জয়িতা ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর থাকবে।
জয়িতা আইকনিক টাওয়ারে রয়েছে চাইল্ড ডেকেয়ার সেন্টার, ডিজাইন সেন্টার, বিউটি পার্লার, জিমনেসিয়াম ফর উইমেন, সুইমিং পুল ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, ব্যাংক, ফুড-কোর্ট ও ক্যাফে। চালু হয়েছে ই-জয়িতা অনলাইন মার্কেটপ্লেস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর ১২ তলা জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ (পুরাতন) রোডে এক বিঘা জমির ওপর ১৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর জয়িতা ফাউন্ডেশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ইতিমধ্যে, সরকার ফাউন্ডেশনের জন্য টোকেন মূল্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে এক বিঘা জমি বরাদ্দ করেছে।
জয়িতা প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় কার্যক্রম চালু করে সারা দেশে নারীবান্ধব পৃথক বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড এভিয়েশন নেভিগেশন সার্ভিসের জন্য আইসিএওর সহায়তা কামনা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে