ইসরায়েলি বিমান হামলা
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪৪, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোরকে হত্যা
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের ছোড়া বিরল রকেট হামলার পর এই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ইসরায়েলি হামলায় এসব হতাহত হয় বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।
অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিত তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ১৪ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০, আহত ১৬২
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড রবিবার সকালে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে রকেট হামলা চালানোর পর সহিংসতা বেড়ে যায়। রকেট হামলাকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি 'গণহত্যার' প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করেছে হাসাস।
রকেট নিক্ষেপকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে নিন্দা জানিয়ে 'কঠোর জবাব' দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের ছোড়া রকেটের বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে একটি রকেট আশকেলন শহরে আঘাত হানলে তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন। এর জবাবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দেইর আল-বালাহসহ মধ্য গাজার সন্দেহভাজন রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতভর লাগাতার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় বড় আকারের বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে।
এর আগে রবিবার গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, নতুন করে চালানো এসব হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩ হাজার ২৯৭ জন আহত হয়েছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার তুরমাস আইয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ১৪ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোর ওমর মোহাম্মদ রাবেয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
আইডিএফ দাবি করেছে, সৈন্যরা ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে লড়াই করার সময় বেসামরিক নাগরিকরা পাথর নিক্ষেপ করেছিল, যার ফলে একজন নিহত এবং দু'জন আহত হন।
তবে বিনা উসকানিতে এই গুলিবর্ষণের নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। তুরমাস আইয়ার মেয়র একজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীকে সহিংসতায় উসকানিদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় চিকিৎসাকর্মী হত্যার ঘটনায় ভুল স্বীকার ইসরায়েলের
১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরে জানুয়ারি থেকে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে আইডিএফ। এসব অভিযানকে ইসরায়েল সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান হিসেবে বর্ণনা করছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি নেতা ও বাসিন্দারা ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধির অভিযোগ এনেছে—যা ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে।
২৮ দিন আগে
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
অধিকৃত পশ্চিম তীরের তাম্মুন শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে তুবাসের দক্ষিণ-পূর্বের তাম্মুন শহরে ইসরাইলি হামলায় এসব হতাহতে ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার পর ১০ জনের লাশ ও বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে তুবাস সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলার সময় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুথি
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা পশ্চিম তীরে 'সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মীদের' একটি সেলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে এ পর্যন্ত আট শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিমান হামলার পর ইয়েমেন ছেড়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
৯৫ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১১
লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।
স্থানীয় সময় শনিবার এ হামলা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ)।
এনএনএ জানায়, নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ছয়জন। পূর্বাঞ্চলীয় বালবেক-হারমেল গভর্নরেটের খ্রাইবেহ গ্রামের একটি বাড়িতে ওই হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় আরও ১১ জন আহত হন।
এছাড়া নাবাতিয়েহ পৌরসভার একটি গুদামে ইসরায়েলি অভিযানে পাঁচ কর্মী নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ১২ জন উদ্ধারকর্মী এবং সিরিয়ায় ১৫ জন নিহত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামরিক সূত্রগুলো জানায়, শনিবার লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের গ্রাম ও শহরগুলোতে প্রায় ৯০টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন। একই সঙ্গে প্রায় ১৬টি গ্রাম ও শহরে ৭৫টি শেলসহ বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি কামান।
এদিকে শনিবার পৃথক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, তারা দক্ষিণ লেবাননের চামা গ্রামে একটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছে। এতে ক্রুরা হতাহত হয়েছেন।
গোষ্ঠীটি আরও জানায়, তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইসরায়েলি সেনাদের সমাবেশ এবং দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত এলাকার শহরগুলোতে অনুপ্রবেশকারী যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের আকরে, হাইফা, সাফেদ ও কিরিয়াত শমোনা শহরসহ বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি স্থাপনায় রকেট হামলা চালানো হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়ে লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। অক্টোবরের শুরুতে ইসরায়েল তার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননের ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬৪ জন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬, লেবাননে ৩৩ জন নিহত
১৬৯ দিন আগে
পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬০
পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত ৬০ জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের এই হামলায় উপত্যকার ১২টি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই বালবেক অঞ্চলের।
এই হামলাকে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় চালানো 'সবচেয়ে সহিংস' হামলা বলে অভিহিত করেছেন বালবেকের গভর্নর বাছির খোদর।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননের উত্তর সীমান্তে স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৪৩ হাজার ২০ জন নিহত ও ১ লাখ ১ হাজার ১১০ জন আহত হয়েছে।
এই যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন জানিয়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরোধিতা শুরুর পর থেকে লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে ইসরায়েল।
১৮৮ দিন আগে
পূর্ব ও দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৮, আহত ৩০
লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার ভোরে চালানো হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে।
রবিবার সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
পূর্ব লেবাননের বালবেক, হারমেল ও পশ্চিম বেকা এলাকায় প্রায় ৩০ জায়গায় বিমান হামলায় ছয়জনের মৃত্যু ও ১৪ জনকে আহত হয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ লেবাননের আরকুব, মারজেয়ুন, বিনতে জাবেইল, সিডন, টায়ার, নাবাতিয়েহ ও জেজিন এলাকায়ও প্রায় ৩৬ জায়গায় হামলায় ১২ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত
সিনহুয়ার সূত্র জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর স্থাপনা ছাড়াও আবাসিক ভবন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্লিনিক লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের সীমান্ত অঞ্চল এবং পশ্চিম বেকার গ্রামগুলোতে চালানো এই হামলায় ৪৫টিরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। অধিকাংশ এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েল গাজা উপত্যকা থেকে তাদের সামরিক অভিযানের লক্ষ্য উত্তরাঞ্চলের দিকে সরিয়ে নেওয়ায় হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে।
গত বছরের ৮ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করলে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। গত কয়দিন ধরে দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলা বেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলটিতে যুদ্ধ শুরুর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বৈরুতের ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ
২১৭ দিন আগে
গাজার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নিরাপত্তা সূত্রগুলোর বরাতে সিনহুয়া জানায়, খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা শহরে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষের আবাসস্থল আল-আওদা স্কুলের গেট লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান মিসাইল হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম এখন বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফিলিস্তিনি অ্যাক্টিভিস্টদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, রক্তাক্ত অনেক লাশ মাটিতে পড়ে আছে।
এছাড়াও মেডিকেল সূত্রগুলো জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত ও আহত হয়েছে অর্ধশত মানুষ।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ওই এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলা যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য হুমকিস্বরূপ: হামাস
২৯৮ দিন আগে
সিরিয়ার আলেপ্পোতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪২
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতে শুক্রবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় ‘বেশ কয়েকজন’ হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী।
বিরোধীপক্ষের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এসব হামলায় ৪২ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই সিরীয় সেনা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পোর দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর জিবরিনে লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ডিপোতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আরও জানিয়েছে, ৩৬ জন সিরীয় সেনা এবং ৬ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত ও কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এটিকে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশটিতে ইরানি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় শত শত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু খুব কমই হামলার কথাই স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিমান হামলার কথা জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এতে বলা হয়, দুই বেসামরিক লোক আহত হয়েছে।
সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র উপস্থিতি রয়েছে।
সিরিয়ার বৃহত্তম শহর ও একসময়ের বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলেপ্পোতে অতীতেও এ ধরনের হামলা করা হয়েছিল। যার ফলে এর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। তবে শুক্রবারের হামলায় বিমানবন্দরে কোনো প্রভাব পড়েনি।
গাজায় যুদ্ধ এবং লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে গত পাঁচ মাস ধরে এই হামলা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫, বেঁচে গেল ৮ বছরের শিশু
হাসপাতাল পরিদর্শন করে 'অকল্পনীয়' পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো
৪০১ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
অবরুদ্ধ উপকূলীয় গাজার বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
সিনহুয়াকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ, রাফাহ ও খান ইউনিস শহর এবং উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলাটি চালিয়েছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
এতে আরও বলা হয়, গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হাতে অন্তত ৩ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল, হামাস ও সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ কমেছে।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
৫৬৪ দিন আগে
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের শরণার্থীদের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি।
মঙ্গলবার (১৭অক্টোবর) হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। ইসরায়েলের উচ্ছেদের আদেশের পর গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি বাড়িটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮০৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ হাজার ৮৫০ জন আহত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের নারী ও শিশু হত্যার নিন্দা ঢাকার
মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দ্বারা ধ্বংস হওয়া তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে এক হাজর ২০০ বেশি ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছে এবং ফিলিস্তিনি উপকূলীয় অবরুদ্ধ এলাকাটিতে ২০০ বেশি শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
হামাসের সদস্যরা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করে ও শহরগুলোতে আকস্মিক অভিযান চালায়। এর জবাবে গাজায় ব্যাপক ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
৫৬৫ দিন আগে