ইসরায়েলি বিমান হামলা
সিরিয়ার আলেপ্পোতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪২
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতে শুক্রবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় ‘বেশ কয়েকজন’ হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী।
বিরোধীপক্ষের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এসব হামলায় ৪২ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই সিরীয় সেনা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পোর দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর জিবরিনে লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ডিপোতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আরও জানিয়েছে, ৩৬ জন সিরীয় সেনা এবং ৬ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত ও কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এটিকে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশটিতে ইরানি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় শত শত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু খুব কমই হামলার কথাই স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিমান হামলার কথা জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এতে বলা হয়, দুই বেসামরিক লোক আহত হয়েছে।
সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র উপস্থিতি রয়েছে।
সিরিয়ার বৃহত্তম শহর ও একসময়ের বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলেপ্পোতে অতীতেও এ ধরনের হামলা করা হয়েছিল। যার ফলে এর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। তবে শুক্রবারের হামলায় বিমানবন্দরে কোনো প্রভাব পড়েনি।
গাজায় যুদ্ধ এবং লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে গত পাঁচ মাস ধরে এই হামলা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫, বেঁচে গেল ৮ বছরের শিশু
হাসপাতাল পরিদর্শন করে 'অকল্পনীয়' পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
অবরুদ্ধ উপকূলীয় গাজার বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
সিনহুয়াকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ, রাফাহ ও খান ইউনিস শহর এবং উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলাটি চালিয়েছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
এতে আরও বলা হয়, গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হাতে অন্তত ৩ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল, হামাস ও সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ কমেছে।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের শরণার্থীদের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি।
মঙ্গলবার (১৭অক্টোবর) হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। ইসরায়েলের উচ্ছেদের আদেশের পর গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি বাড়িটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮০৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ হাজার ৮৫০ জন আহত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের নারী ও শিশু হত্যার নিন্দা ঢাকার
মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দ্বারা ধ্বংস হওয়া তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে এক হাজর ২০০ বেশি ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছে এবং ফিলিস্তিনি উপকূলীয় অবরুদ্ধ এলাকাটিতে ২০০ বেশি শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
হামাসের সদস্যরা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করে ও শহরগুলোতে আকস্মিক অভিযান চালায়। এর জবাবে গাজায় ব্যাপক ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব