বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন
নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদযাপন করা হয়।
স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পূষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। এরপর শেখ রাসেলের জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস
অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপনের এই মুহূর্তে দু’টি অনুভূতি আমাকে তাড়িত করছে। প্রথমত, সেদিন মাত্র ১০ বছর বয়সের শেখ রাসেল, জাতির পিতা, বঙ্গমাতা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, এমন নৃশংসতা সারা পৃথিবীতে বিরল। দ্বিতীয়ত, যে শিশুর বাবার নেতৃত্বে একটি স্বাধীন দেশ জন্মলাভ করেছে, সেখানে আজ সেই শিশুটি নেই, কিন্তু আমরা আছি। এটা আমার মাঝে এক গভীর দুঃখবোধ ও গ্লানির জন্ম দিয়েছে।’
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের কেউ কেউ এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পালিয়ে আছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা এ সকল নৃশংস খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে।
১ বছর আগে