আইকাও
বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত: আইকাও সেক্রেটারি
আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) সেক্রেটারি জেনারেল হুয়ান কার্লোস সালাজার বলেছেন, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও আইকাওয়ের বিভিন্ন আইনগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আওতায় আমরা একটি ফ্রেমওয়ার্ক সিগনেচার করেছি।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ৫৮তম ডিজিসিএ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় হুয়ান কার্লোস সালাজার বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সিভিল এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলো আসলেই অভিভূত হওয়ার মতো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের সক্ষমতার ভিত্তিতে ট্রেনিং, গাইড ও মাস্টারপ্ল্যান জাতীয় বিষয়গুলোতে আমরা পরামর্শে সহযোগিতা করব।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এই খাত সঠিক পথেই যাচ্ছে। এভিয়েশন খাতে সক্ষমতার পাশাপাশি সঠিক শিক্ষা প্রয়োজন। এর সব দিকেই বাংলাদেশ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আশা করছি বাংলাদেশ এই খাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে। আমরা চাই স্থায়ী, দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যা যা মেনে চলার দরকার তার সবগুলোই বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন খাত পরিপূর্ণভাবে মেনে চলবে, তবেই আরও এগিয়ে যেতে পারবে সিভিল এভিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
এর আগে ঢাকায় বিশ্বের ৪৭ দেশের ৫০০ এভিয়েশন কর্তার মিলনমেলা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) থেকে পাঁচ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ মোট ৫০০ জন বিদেশি ডেলিগেট এতে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
এ বছরে সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য ‘প্রোমোটিং আইকাও: জেন্ডার ইকুয়ালিটি প্রোগ্রাম ইন কনজাংশন উইং নেক্সট জেনারেশন অব এভিয়েশন প্রফেশনালস ইনিশিয়েটিভ।’ প্রতিপাদ্যের প্রথম উদ্দেশ্য হলো- জেন্ডার সমতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করা এবং এভিয়েশন সেক্টরে আগামী দিনের জন্য দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল কর্মী গড়ে তোলা।
বেবিচক চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান বলেন, সিভিল এভিয়েশন খাতে কীভাবে আন্তঃসহযোগিতা বাড়ানো যায়, কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপগুলো বাড়ানো যায়, কীভাবে এই খাতকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া যায়, এমন বিভিন্ন আলোচনা, পরামর্শ এই সম্মেলনের মাধ্যমে উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই সম্মেলন শেষ করলাম। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সংশ্লিষ্টরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় একটা বড় আয়োজন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সবার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, এ সম্মেলনটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইকাও’র সদস্যপদ লাভ করে।
এদিকে, এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা প্রসারিত করার আশ্বাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থা (আইকাও)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য যৌথ বিবৃতি সই
এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন
১ বছর আগে