নদী রক্ষা কমিশন
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণে উদ্বেগ প্রকাশ টিআইবির
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অপসারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবি প্রশ্ন করেছে, কমিশনের কাজ কি নদী রক্ষা বিষয়টি বাদ দিয়ে প্রভাবশালী নদী দখলকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা।
বার্লিনভিত্তিক সংস্থাটির বাংলাদেশি শাখার এক বিবৃতিতে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দাবি করেছে, ‘এই পদক্ষেপ নদী রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।’
কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এই ক্ষমতাকে এভাবে ব্যবহার করে সরকার যে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে তা উদ্বেগের কারণ বলে মনে করছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রত্যাখ্যান করেছে টিআইবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হলেও, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে কার্যত অকার্যকর করে রাখা হয়েছে আইন দিয়েই। কমিশন কেবল সরকারকে পরামর্শ দিতে পারে। দখলদার আর দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই।‘
তিনি বলেন, ‘কমিশনের প্রতিবেদন বা পরামর্শ মানার বাধ্যবাধকতাও নেই। অথচ এই ভূখণ্ডের বৈশিষ্ট্য, দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কমিশনকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই।’
গত বুধবার, সরকার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে। যিনি এক মাস আগে চাঁদপুরে মেঘনা নদী দখলের নেপথ্যে একজন নারী রাজনীতিবিদকে দায়ী করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল টিআইবি
প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টিআইবির চিঠি
১ বছর আগে