ব্রিটিশ হাইকমিশনার
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তারা।
এসময় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন এবং যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ ও তাবিথ আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে আমীর খসরু সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে কত তাড়াতাড়ি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকারের কত দ্রুত ক্ষমতায় আসা সম্ভব, সে বিষয়টি তারা (যুক্তরাজ্য) জানতে চেয়েছেন।’
দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পাচার হওয়া অর্থের বিপুল পরিমাণ যুক্তরাজ্যে পাচার হয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি নেতারা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে হতাহতের পাশাপাশি গত ১৫ থেকে ১৬ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চালানো নির্যাতন-হয়রানি এবং এ সময়ে দায়ের করা মিথ্যা মামলা সম্পর্কে ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে অবহিত করেন।
আমীর খসরু বলেন, এ সময় বিচারের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। তারা (যুক্তরাজ্য) দেশের ন্যায়বিচারের বিষয়টি জানতে চেয়েছে।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক বার্তায় জানিয়েছে, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এতে বলা হয়, তারা জাতীয় সমঝোতা এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের শান্তিপূর্ণ পথ তৈরি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
৩ মাস আগে
ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ও অন্য ইন্দো প্যাসিফিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার (৯ অক্টোবর) বলেছেন, তারা একটি মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিককে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেখানে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হয় এবং দেশগুলো জবরদস্তি, বিভ্রান্তি ও হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থেকে পছন্দের পথ বেছে নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বহাল রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য। আমরা সেই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ এবং আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্যের লক্ষ্য হলো একটি মুক্ত ও অবাধ ইন্দো প্যাসিফিক; এমন একটি অঞ্চল যা নিরাপদ ও স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক এবং বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় ‘ডিফাইনিং কম্পিটিশন ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’- শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুরও বক্তৃতা করেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ কপ২৬ এর আগে বিশ্বব্যাপী উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়াতে অংশীদারিত্বে কাজ করেছে।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা চলতি বছরের মার্চ মাসে সই হওয়া যুক্তরাজ্য/বাংলাদেশ জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতিগুলোকে কাজে পরিণত করার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের অভিযোজন, প্রশমন ও জলবায়ু অর্থায়নের পাশাপাশি লস অ্যান্ড ড্যামেজে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়।’
জলবায়ু-সংক্রান্ত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চালানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ভূমিকা স্থিতিশীল, দীর্ঘমেয়াদি ও আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত হবে। যেমন আসিয়ান কেন্দ্রীয়তা।
তিনি বলেন, ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও কার্যকর অংশীদারিত্ব আমাদের লক্ষ্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি। আমরা ইন্দো প্যাসিফিকের আঞ্চলিক অংশীদার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এবং তাদের মাধ্যমে কাজের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
উদাহরণস্বরূপ- ২৫ বছরে আসিয়ানের প্রথম নতুন সংলাপ অংশীদার আমরা এবং সিপিপিপিপি-তে আমাদের সদস্য পদ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘একইভাবে আমরা আইআরএ এবং বিমসটেক-এর মতো অন্যান্য আঞ্চলিক উদ্যোগগুলোকে বঙ্গোপসাগরে বাস্তব পরিবর্তন আনতে সাহায্য করতে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব অনন্য ও মূল্যবান সম্পর্ক। এ সম্পর্ক দুই দেশের প্রবাসী, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে সুসংহত।
সারাহ কুক বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছি। জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য থেকে শুরু করে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, নিয়ম ও কানুনের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা পর্যন্ত।’
তিনি তিনটি মূল ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন; নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার (আরবিআইএস) গুরুত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
১৯৭১ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য এই সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হতে পেরে গর্বিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে উন্মুখ, যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং অর্থনীতিকে টেকসই করতে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সংস্কার ও রপ্তানি বহুমুখীকরণকে সমর্থন করে।’
যুক্তরাজ্যের নতুন ডেভেলপিং কান্ট্রিস ট্রেডিং স্কিম ২০২৯ সাল পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়া সব কিছুতেই যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেবে এবং তারপরে ৯৮ শতাংশ পণ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের বাজারের প্রবেশাধিকার দেবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ডিসিটিএস হলো সবচেয়ে উদার বৈশ্বিক বাণিজ্য অগ্রাধিকার প্রকল্প এবং বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী।’
কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত না করে এবং এগিয়ে না নিয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও সমৃদ্ধি গড়ে তোলা অসম্ভব হবে।
হাইকমিশনার বলেন, ভারতের সঙ্গে একত্রে যুক্তরাজ্য বঙ্গোপসাগরের জন্য একটি রিজিওনাল মেরিটাইম সেন্টার অব এক্সিলেন্স তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ সমগ্র অঞ্চলের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে অপরাধ মোকাবিলা থেকে শুরু করে ঝড়ের আগাম সতর্কতা প্রদান প্রভৃতির মাধ্যমে কেন্দ্র উপসাগরের স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌ সহযোগিতার দীর্ঘ ঐতিহ্য আমাদের স্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।
সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
ইহসানুল বলেন, তারা উভয়েই চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ব্রিটেন বিশেষ করে বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
নতুন হাইকমিশনার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। যাতে প্রত্যাবাসনের পর তাদের কাজে লাগানো যায়।
কুক বলেন, তারা চান বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দীর্ঘ ২১ বছর (১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬) সংগ্রাম করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিজয়ের পর, তারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিজয় উদযাপন করেছে, শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে এবং সারা দেশের বিভিন্ন গ্রাম লুট করেছে।
তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আমরাই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছি এবং গণমাধ্যমকে বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করেছি।’
তিনি বলেন, এক সময় একটি মাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, কিন্তু এখন দেশে ৪০টির বেশি বেসরকারি চ্যানেল চলছে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক স্পটলাইটে থাকলে তাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে।
রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের ক্ষেত্রে কক্সবাজার অঞ্চলে সামাজিক সমস্যা আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ চলতি বছরের মার্চ মাসে একটি জলবায়ু চুক্তি সই করেছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
১ বছর আগে
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট সি. ডিকসন বলেছেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য (এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন) বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটে ইউকেভিত্তিক ওয়েলকাম স্কিলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটির উদ্বোধনকালে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা: প্রার্থীদের সতর্কভাবে আবেদনের পরামর্শ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের
ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্র অনেক এগিয়েছে, কিন্তু স্কিলড নির্ভর শিক্ষায় বাংলাদেশকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে বৃটিশ অনেক কোম্পানি বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও দিবে। দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে ওয়েলকাম স্কিল প্রতিষ্ঠানটিও বাংলাদেশে একটি অনন্য সংযোজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিইও কুলসুম হোসেন, হেড অব ট্রেনিং গ্যারি ফ্যায়েরেলি, হেড অব রিক্রুটমেন্ট ফাইজাল হোসেন, ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন স্কুল এক্সিকিউটিভ প্যাট্রন প্রফেসর ডেভিড ফ্রসকিট ও ডেভিড রাসেল।
কুলসুম হোসিন বলেন, ওয়েলকাম স্কিলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটি যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা হসপিটালিটি এবং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞ। হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম শিল্পে যারা প্রবেশ করতে চাইছেন এমন ব্যক্তি কিংবা এই সেক্টরে কর্মরত কর্মীরা যারা তাদের দক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করতে চান তাদের জন্য আদর্শ কোর্স ডিজাইন করেছে ওয়েলকাম স্কিলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
জলবায়ু কার্যক্রম যুক্তরাজ্যের জন্য অগ্রাধিকার: ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে মিয়ানমার সরকারের ওপর বিভিন্ন দেশের চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর পৌরসভায় শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিকসন বলেন, ‘আজ রোহিঙ্গা ট্রাজেডির পঞ্চম বর্ষপূর্তি। রোহিঙ্গারা অনেক ভাগ্যবান, যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল, তখন এদেশের সরকারের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সহযোগিতা পেয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক জীবনের অপেক্ষায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা
তিনি বলেন, ‘এটি খুব সহজ নয় যে এত তাড়াতাড়ি বিষয়টি সমাধান হবে। এজন্য আমাদের সঙ্গে অন্যান্য দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। রোহিঙ্গারা যদি চায়, তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে দিতে চাই। এছাড়া আমরা যখনই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো, তখনই তাদের দেশে ফিরে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যদি এদেশেই থাকতে চায় তাহলে স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে ক্যাম্পে অবশ্যই তাদের স্বাভাবিক জীবনমান, রোহিঙ্গা শিশুদের লেখাপড়া ও সার্বিক বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
এর আগে তিনি দুই দিনের সফরে চাঁদপুরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প এর বাস্তবায়কৃত কাজ মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করেন।
এসময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, ইউএনডিপির ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি বেন গুয়েন, এলজিডির যুগ্ম সচিব মো. মাসুম পাটওয়ারীসহ চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
২ বছর আগে
জলবায়ু কার্যক্রম যুক্তরাজ্যের জন্য অগ্রাধিকার: ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার
স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তনে তরুণদের মূল অংশীজন হওয়ার ক্ষমতা দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু কার্যক্রম যুক্তরাজ্যের অগ্রাধিকার এবং আমি আনন্দিত যে আমরা এই বছরের ন্যাশনাল আর্থ অলিম্পিয়াডকে সমর্থন করেছি, বাংলাদেশে পরবর্তী প্রজন্মের জলবায়ু স্টুয়ার্ডদের প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছি।’
শনিবার বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্থ অলিম্পিয়াড ২০২২ এর ফাইনালিস্টদের স্বীকৃতি দিতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসীদের ব্যাপারে অপর্যাপ্ত পদক্ষেপ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে: ঢাকা
২ বছর আগে
কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা: প্রার্থীদের সতর্কভাবে আবেদনের পরামর্শ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের
জেনে-বুঝে প্রার্থীদের সতর্কভাবে কেয়ার ওয়ার্কার ভিসার জন্য আবেদনের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনে স্বাস্থ্যখাতে কর্মী সংকট রয়েছে। কেয়ার ওয়ার্কার ভিসার ক্ষেত্রে কারা আবেদন করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ব্রিটিশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে রয়েছে। এজন্য জেনে বুঝে এ ভিসার জন্য আবেদন করা প্রয়োজন। কোনো এজেন্সি যাতে এ ভিসা নিয়ে প্রতারণা করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে প্রার্থীকেই।’
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিলেট স্টেশন ক্লাব লিমিটেডে সিলেটের বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময় সভায় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ব্রিটেন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে দু‘দেশের সরকারি ও বেসরকারি তরফে গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সিলেটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ ব্রিটিশ বাংলাদেশি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, যার ৯০ ভাগেরই আদি নিবাস সিলেট। সিলেট-ই বাংলাদেশের একমাত্র শহর যার সাথে আকাশ পথে সরাসরি ব্রিটেনের যোগাযোগ রয়েছে।’
দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের অবদানের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্যে প্রবাসীরা অনেক পরিশ্রম করেন। সেখানকার খাদ্য সেক্টরে তাদের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রেও বিপুল সাফল্য অর্জন করছে।
বাংলাদেশিদের সাফল্যের বর্ণনা দিতে দিয়ে তিনি ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সে চারজন বাংলাদেশি এমপি’র প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষাদান পদ্ধতি বিশ্বমানের। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।
রবার্ট ডিকসন বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। এই ৫০ বছরে ব্রিটেন ও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। দুই দেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কে জড়িয়ে আছে, যা দিনে দিনে আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশত বর্ষপূর্তি এবং ব্রিটেন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীকে স্মরণীয় করতে ‘বৃট-বাংলা বন্ধন’নামে বছরব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে ৮ শতাংশ। পরিবার পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শিশু মৃত্যুরোধ, পুষ্টিখাতসহ সকল খাতেই বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। ২০২৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তিনি জানান, ব্রিটেনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল আছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের তৃতীয় বৃহৎ বাজার হচ্ছে ব্রিটেন। ব্রিটেনের ভোক্তারা এর সুবিধা ভোগ করছেন। ব্রিটেনও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী এবং তৃতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগ কর পরিশোধকারী।
আরও পড়ুন: এটি বাংলাদেশের জন্য বড় এক বছর: ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন
রোহিঙ্গা ইস্যুকে ‘একটি ট্রাজিক ইস্যু’ উল্লেখ করে হাইকশিনার বলেন, তাদেরকে নিরাপদে, সম্মানজনক উপায়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।
১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্থান দেয়া বাংলাদেশের একটি বিশাল উদারতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বিশ্ব জনমত গঠনে তারা কাজ করছেন। বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পর্যন্ত গড়িয়েছে।’
হাইকমিশনার বলেন, আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে এই সমস্যা সমাধানের পক্ষে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করা গেলে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে।
সভায় ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশনের গর্ভানেন্স পলিটিক্যাল টিমের প্রধান টম বুর্গ, প্রেস এন্ড কমিউনিকেশন্স অফিসার নারায়ন দেবনাথ, ক্যাম্পেইন অ্যান্ড পার্টনারশীপ অফিসার আহসান সাজিদ, সিলেট কনস্যুলেট অফিসার রাহিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর: ব্রিট বাংলা বন্ধনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা
২ বছর আগে
ব্যাটনের আগমন বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক: ডিকসন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী ও কমনওয়েলথের মাধ্যমে আমাদের বন্ধনের সাথে সাথে বাংলাদেশে কুইন্স ব্যাটন রীলের আগমন ব্রিট বাংলা বাঁধনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
তিনি বলেন, ‘কুইন্স ব্যাটন রীলে ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কমনওয়েলথ গেমসের একটি অপরিহার্য অংশ যা এই গেমস চলাকালীন পর্যন্ত সমগ্র কমনওয়েলথ উদযাপন করে৷ এটি আশা, সংহতি ও সহযোগিতার ভাবনা জাগিয়ে তোলে। একই সাথে, অনন্য সংস্কৃতি গ্রহণকারী বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করে ও পরবর্তী প্রজন্মের ক্রীড়া তারকাদের অনুপ্রাণিত করে।’
কুইন্স ব্যাটন রীলের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ হাইকমিশন আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিকসন এসব কথা বলেন।
এর আগে সন্ধ্যায় খ্যাতিমান বাংলাদেশি ক্রীড়া শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও শাকিল আহমেদ কুইন্স ব্যাটন ব্রিটিশ হাইকমিশনে বহন করে নিয়ে আসেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনে ব্যাটনটিকে স্বাগত জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বিওএ সভাপতি বলেন, ‘ব্যাটনটি বাংলাদেশে আসায় আমরা সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশ যদি ভালো সংখ্যক পদক নিয়ে আসতে পারে আমি খুব খুশি হবো।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংস্থা, যুব সংস্থা, ব্রিটিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন কমনওয়েলথ দেশগুলোর মিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে আগমণের পর ব্যাটনটি জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) সফর করবে। ১০ জানুয়ারি ভারত সফরের আগ পর্যন্ত পর্যন্ত ব্যাটনটি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ সফর করবে। এই সফরগুলোতে বিভিন্ন বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাটন বহনকারীরা, ক্রীড়াবিদ এবং অন্যান্যরা তাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের আনার গল্প আলোচনা করবে।
আরও পড়ুন: সিইসির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিএনপি নেতার দাবি নাকচ মার্কিন দূতাবাসের
২ বছর আগে
বাংলাদেশে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
বাংলাদেশ ব্রিটেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, একবার ব্যবহার্য বর্জ্য ও চিকিৎসা বর্জ্যসহ সার্বিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং কারিগরি ও গবেষণা ক্ষেত্রে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।’
বুধবার (২৫ আগস্ট) ব্রিটিশ হাইকমিশনারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সাথে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাক্ষাতকালে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
এ সময় পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে জানান, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারিবিলিটি ফোরাম এবং ভালনারেবল-২০ এর সভাপতি হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার আরও ৪০ অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সামগ্রিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ন্যাশনালী ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান (এনডিসি) চূড়ান্ত করে ৩১ আগস্টের আগে ইউএনএফসিসিতে জমা দেবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্লান (এনএএফ) প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী ব্রিটেনের আয়োজনে আগামী নভেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দরিদ্র দেশগুলোতে ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানসহ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যান্য বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ঐক্যমতে পৌঁছাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ভারত ফেরত যাত্রীদের জন্য শর্ত শিথিল করল সরকার
ওআইসির বৈঠকে আফগান শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান বাংলাদেশের
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন , অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, যুগ্ম-সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ প্রোগ্রামের প্রধান জন ওয়ারবার্টনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
এটি বাংলাদেশের জন্য বড় এক বছর: ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, চলতি বছরটি বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের জন্য বড় এক বছর এবং বাংলাদেশের ‘অসাধারণ সাফল্য’ উদযাপনে বছরজুড়ে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন তারা।
৩ বছর আগে