ঘূর্ণিঝড় হামুন
সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামাতে বলায় চট্টগ্রাম বন্দর ফের চালু
২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতের আশঙ্কায় সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সচল হওয়ার পর জেটিতে জাহাজ প্রবেশের পাশাপাশি পণ্য ওঠানামাও শুরু হয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এ কারণে বহির্নোঙ্গরে পণ্য ওঠানামা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ১০টা থেকে জেটি ও ইয়ার্ডে কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতের আশঙ্কায় মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ জারি করা হয়েছিল। জেটিতে অবস্থানরত সকল জাহাজকে গভীর সাগরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল।
সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের মোট ২২টি জাহাজকে জেটি থেকে চলে যেতে হয়েছিল। এর মধ্যে ১৩টি জাহাজ আবার ফেরত এসেছে। সকাল ১০টা থেকে জোয়ারের মধ্যে পর্যায়ক্রমে জাহাজগুলো ফিরে আসে। বাকি জাহাজগুলো দুপুরের পর জোয়ার শুরু হলে ফিরবে। এ মুহূর্তে বন্দরের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা নেই। জেটি ও ইয়ার্ডে পণ্য পরিবহন, ওঠা-নামা স্বাভাবিকভাবে চলছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' আজ রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। কক্সবাজার এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে রাত ১টার দিকে সেটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।
বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারসহ সকল নৌযানকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ বন্দরের বহির্নোঙ্গরে গভীর সাগরে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (ডব্লিউটিসি)।
লাইটার জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মাহবুব রশীদ বলেন, ‘আউটার থেকে মাদার ভ্যাসেলগুলো গভীর সাগরে নিরাপদে অবস্থান নিয়েছিল। সেগুলো ফিরলেও লাইটার জাহাজ আউটারে পাঠানো যাচ্ছে না। সাগর খুব উত্তাল। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় হামুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামানোর নির্দেশ
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে বুধবার (২৫ অক্টোবর) উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুধবার সকালে ঢাকার বাতাস 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
‘হামুন’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
১ বছর আগে
‘হামুন’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
আবহাওয়ার সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত (২৫ অক্টোবর) ১টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে এবং দুর্বল হয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।
এতে আরও বলা হয়, হামুন স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
এদিকে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় হামুন বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় হামুন: ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন,ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বুধবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে এটি গতি বাড়ালে আগেই অতিক্রম শুরু করতে পারে। সে কারণে আজ (মঙ্গলবার) রাত ৮টার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে।
‘ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব দিকে বরিশাল ও চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে। এর বাতাসের গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া দপ্তর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়েছে বলে জানান এনামুর রহমান ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ও চরিত্রটা বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটি আজকে আজ রাত ১০টা থেকে কাল সকাল ১০টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রাত ৮টার মধ্যে যেন সব ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো আমরা প্রস্তুত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসওডি (দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী) অনুযায়ী ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া আছে। সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মাঠ প্রশাসন ও আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্গত লোকদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু করবে।’
আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক জেলায় ২০ লাখ টাকা, ৫০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। গো ও শিশু খাদ্যের জন্য এক কোটি টাকা করে মোট দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।’
আজকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
হামুনের গতিপথ গত বছরের ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মতো জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য আমরা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছি। গবাদী পশুকেও আমরা সরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছি। মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রয়েছে। বরিশাল থেকে চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে এটি অতিক্রম করবে। এর কেন্দ্র বা চোখ বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে যাবে।’
‘হামুন’ মোকাবিলাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের মতো এটিও আমরা মোকাবিলা করতে পারব।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
সম্ভাব্য প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত করেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। চালু করা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, চট্টগ্রামে সর্বমোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী, কালীন এবং পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
সিভল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, ১৫টি উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নের ২০০টি মেডিকেল টিম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে ৭৫টি টিম, ৯টি আরবান ডিসপেনসারিতে ৯টি মেডিকেল টিম, স্কুল হেলথ ক্লিনিকে ১টি মেডিকেল টিম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫টি মেডিকেল টিমসহ ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বা তথ্য জানার জন্য আমাদের ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুল চালু আছে। যেটা সারা বছর থাকে। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতিতে উপজেলাসহ আমাদের মোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় হামুন: বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রয়েছে ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার। এসব সাইক্লোন শেল্টারে ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রস্তত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার ও ওষুধ। প্রস্তত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, মঙ্গলবার সকালে অনলাইনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ৩টি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জন মানুষ আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
তিনি জানান, কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ আছে তা পরিবর্তন না হলে আপাতত ঘূর্ণিঝড় খুলনা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। তবে ঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাস, ভারী বৃষ্টি ও নদীতে পানির উচ্চতা বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কখনো রোদ, কখনো মেঘাচ্ছন্ন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় হামুন: বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় হামুন: বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসার খবরে বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বলেশ্বর নদী পাড়ে ২৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলাসহ বিভিন্ন নদী পাড়ে ১৮৫ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্ক রয়েছে।
বাগেরহাটে নদ-নদীতে এই মুহূর্তে পানি বৃদ্ধি পায়নি। বাগেরহাটের আকাশে কখনো মেঘলা আবার কখনো হালকা রোদ দেখা যাচ্ছে।
জেলায় ১০টি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্গত এলাকার মানুষদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মোংলা বন্দর সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জুমের মাধ্যমে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড় ধেঁয়ে আসার খবরে মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঝড়ে তাদের কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে পানিতে ভেসে যেতে পারে তাদের সহায় সম্পদ।
বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান, এই মুহূর্তে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস হলে, আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন জানান, জেলায় ১০টি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্গত এলাকার মানুষদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসা ও কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় ত্রাণবাবদ ৬৫০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানান, জেলায় বলেশ্বর নদী পড়ে ২৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ৩ কিলোমিটার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে বালুর বস্তা ফেলে ডাম্পিং করা হচ্ছে। এছাড়া জেলায় ১৮৫ কিলোমিটার এলাকায় নদী পাড়ে বাঁধ না থাকায় বাঁধ নির্মানের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসার খবরে বন্দরে সতর্ক অবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আবহাওয়ার সতর্ক বর্তার ওপর নিভর করে বন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই মুহূর্তে বন্দরে জাহাজে পণ্য উঠানো-নামার কাজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
১ বছর আগে