উত্তরণ
ধৈর্য ধরুন, রাতারাতি এই পর্বতসম পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কঠিন: অধ্যাপক ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এখনই সবকিছুর দাবিতে শক্তি দেখানোর পরিবর্তে পর্বতসম চ্যালেঞ্জগুলো ধীরে ধীরে মোকাবিলায় জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিভিন্ন মহল দাবি আদায়ে কী করছে এবং অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় কী ঘটছে তা উল্লেখ করে টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্র' অর্জনে সরকারের প্রচেষ্টা সমর্থন করে জাতিসংঘ: অধ্যাপক ইউনূসকে গুতেরেস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি শুধু বলব, আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। এখনই সব দাবি পূরণ করার জন্য জোর করা, প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যক্তিবিশেষকে হুমকির মধ্যে ফেলা, মামলা গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা এবং বিচারের জন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে হামলা করে আগেই এক ধরনের বিচার করে ফেলার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
এসব কারণে নতুন বাংলাদেশ গড়ার গৌরব ও সম্ভাবনা ম্লান হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারবিজয়ী।
আরও পড়ুন: বন্যা সংকটে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন জনগণই সব ক্ষমতার উৎস হয়।’
তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষার্থী ও জনতার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে রাষ্ট্র সংস্কারে সফল হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশ সফর শুরু হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের
২ মাস আগে
টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে টেলিকম খাতের সব লোকসানি কোম্পানিকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
তিনি বলেন, টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের ছয়টি আই (ইনটিগ্রিটি, ইনক্রিয়েস এফিশিয়েন্সি, ইমপ্রুভ প্রসেস অ্যান্ড পারফরমেন্স, ইনট্রেক উইথ রেগুলেটর্স, ইনভেস্টমেন্ট অ্যাট্রাকশন এবং আইটি অ্যান্ড আইটিস এক্সপোর্ট প্রমোশন) মেনে চলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন চারটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি। গত মেয়াদে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা তৈরি করেছি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী পলক
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায় ৪০টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছি যেগুলো আমাদের যাত্রা শুরু করার জন্য বাস্তবায়ন করা দরকার। এই মেয়াদে আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো আমরা দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে চারটি স্তম্ভের অধীনে সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম তা নিশ্চিত করা।
শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো, সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং আইসিটি সেক্টরের বিকাশের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ডাকসেবা অপরিহার্য: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, সততা, সাহস ও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে, চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরে প্রতিমন্ত্রী এমটব, বাক্কো, আইএসপিএবির নেতা ও মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের সিইও সহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
১০ মাস আগে
বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণে ইইউ’র কাছে জিএসপি+ চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে জিএসপি+ দেবে।
তিনি বলেন, 'আমি আশা করি, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর আমাদের উন্নয়নে সহায়তা করতে ইইউ বাংলাদেশকে জিএসপি+ দেবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সদর দপ্তরে দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এ কথা বলেন।
এ বছর বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারিত্বের ৫০তম বার্ষিকী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা আনন্দিত যে ইইউ এখন বাংলাদেশের বড় বাণিজ্য অংশীদার।
তিনি বলেন, ইইউ'র এভরিথিং-বাট-আর্মস স্কিম বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। তিনি ২০০০ সালে তার প্রথম মেয়াদে এই ব্যবস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে করার কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বেলজিয়াম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে ঢাকার সই করা সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর আর্থিক চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পদক্ষেপ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ইইউ'র সঙ্গে অংশীদারিত্বে ইইউ'র আগ্রহের প্রশংসা করে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গার মানবিক সহায়তার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের মধ্যে নিহিত। সংকটের দ্রুত টেকসই সমাধানের জন্য আমি ইইউকে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, শ্রমিকদের অধিকারের পাশাপাশি নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসনের বিষয়ে তারা অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের কিছু স্থানীয় চ্যালেঞ্জের সমাধান খুঁজতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে অংশীদারিত্বের আগ্রহ প্রকাশ করেছি আমি। আমরা কৌশলগত উপাদানগুলোতে আরও মনোনিবেশ করে ইইউর সঙ্গে ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বের পরিকল্পনা করছি।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ-ইইউ'র ৪০০ কোটি ইউরোর চুক্তি সই
তিনি বলেন, তারা খুব শিগগিরই একটি অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন তার বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এত বছর ধরে আমরা একটি দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছি এবং এখন আমরা এটিকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ঋণ ও অনুদান প্যাকেজ প্রসঙ্গে ইসি বলেন, ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি বিনিয়োগ প্যাকেজ জলবায়ুর জন্য ভালো এবং স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যও ভালো।
আরও পড়ুন: উন্নত ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ-অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে