দায়
স্বামীর অপকর্মের দায় স্ত্রী এড়াতে পারেন না: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার স্বামীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন এবং তিনি কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।
রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবি প্রধান জানান, মিল্টনের স্ত্রীর দাবি ফাউন্ডেশনের জন্য সংগৃহীত অর্থ ও ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মিল্টন তথাকথিত মানবতার সেবার নামে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি প্রবীণদের কোনো সেবা দেননি বা চিকিৎসার জন্য কোনো চিকিৎসকের কাছেও পাঠাননি।’
আরও পড়ুন: আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
মিল্টনের স্ত্রী নিজেকে ফাউন্ডেশনের নার্স পরিচয় দিয়েছেন জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, ‘তিনি কেন প্রতিবাদ করেননি বা পুলিশকে জানাননি। মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মনে হয়েছে, তিনি এর দায় এড়াতে পারছেন না।’
শেল্টার হোমে বৃদ্ধদের ওপর মিল্টনের নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে মিঠু ডিবিকে বলেন, এটা ঠিক হয়নি।
মিল্টনের ব্যাংক হিসাবের ২ কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে জানেন কি না- জিজ্ঞেস করলে মিঠু বলেন, তিনি সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় তার স্বামী তাকে এ কাজে যুক্ত করেননি।
মিল্টনের বিরুদ্ধে ৯০০ মানুষকে কবর দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মিল্টনের স্ত্রী বলেন, সঠিক সংখ্যা ১৩৫। মানুষের সহানুভূতি বা অর্থ পাওয়ার জন্য তিনি সংখ্যা বাড়াতেন কিন্তু মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র রাখতেন না।
চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর মিল্টন কোনো হাসপাতাল, থানা বা নিহতের স্বজনদের কিছু জানাতেন না বলে জানান ডিবি প্রধান।
তিনি আরও জানান, মিল্টনকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
পরে শনিবার মিল্টনের স্ত্রী মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়।
আরও পড়ুন: এবার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ ডিবির
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দায় সরকারকে নিতে হবে: সংসদে চুন্নু ও রেজাউল
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
শনিবার (২ মার্চ) পার্লামেন্টে পয়েন্ট অব অর্ডারে অংশ নিয়ে চুন্নু নগরীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যমন্ত্রী রেজাউল করিম।
চুন্নু বলেন, সরকার চালাতে কর দেয় দেশের মানুষ। নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, ভবন নির্মাণে সরকারের ছয়টি সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার পর ভবনগুলোতে কোনো নজরদারি থাকে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, একটি ভবন এক উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হলেও তা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে যারা মারা গেছেন তাদের দায় কে নেবে?’ এটা সরকার ও সরকারি অফিসের দায়িত্ব।
মুজিবুল হক বলেন, এ ধরনের ঘটনার পর সরকার বলছে তদন্ত করা হবে, একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ‘কিন্তু এরপর আর কোনো ফলোআপ হয় না। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সরকারকে দায় নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে উত্থাপন, একদিনের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
এদিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম সংসদকে জানান, ধানমন্ডির সাত মসজিদ এলাকায় একটি ভবনে ১৫টি রেস্তোরাঁ রয়েছে, যদিও তাদের অনুমতি নেই।
তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কের পাশের ভবনগুলোতে শত শত রেস্টুরেন্ট থাকলেও তাদের কোনো অনুমতি নেই। খিলগাঁওয়ের তালতলায় বিভিন্ন বহুতল ভবনেও একই অবস্থা।’
সরকার এ বিষয়ে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রেজাউল।
তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে জানতে চাই এসবের দায়ভার কে নেবে, রাজউক হোক, ফায়ার ব্রিগেড হোক, পরিবেশ হোক, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা করুন।’
আরও পড়ুন: বিকালে শপথ নেবেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা
ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ ধরনের প্রাণঘাতী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী থাকাকালে বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'আমরা তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্য, একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। অভিযোগ পত্র দেওয়ার সময় অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’
রেজাউল করিম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দোষীদের বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের দাবি জানান।
এর আগে অধিবেশনের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সংসদ।
আরও পড়ুন: দ্রুত বিচার আইন সংসদে উত্থাপন
৮ মাস আগে
সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না।
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হবে।
তিনি বলেন, যারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে প্রবেশ করেছে, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, হাসপাতালে হামলা করেছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে- তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার জানা মতে প্রায় শ’খানেক পুলিশ আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেত্রীদের ওপরও হামলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় কেউ মামলা করতে চাইলে সেগুলো নেওয়া হবে।
বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন সহিংসতা চলছিল তখন দলের সিনিয়র নেতারা মিটিং করছিলেন। তাদের ডিএমপি কমিশনার বার বার জিজ্ঞেস করছিলেন, তাদের মহাসমাবেশের সীমানা কতদূর হবে। তারা জনিয়েছিলেন, নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘যে সহিংসতা হয়েছে সেটির দায় কি বিএনপি নেতারা এড়াতে পারবেন?’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে ঢাকার সড়ক ফাঁকা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
১ বছর আগে