মিয়া আরেফি
মিয়া আরেফির বিষয়ে কনস্যুলার অ্যাকসেস চেয়েছে মার্কিন দূতাবাস
‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির বিষয়ে কনস্যুলার অ্যাকসেস চেয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, আটক বিদেশি নাগরিককে কনস্যুলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অধিকার সম্পর্কে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাস আজ পতাকা অর্ধনমিত রাখবে
কথোপকথন, যোগাযোগ করা ও আইনি প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করতে কারাগারে বা হেফাজতে থাকা অথবা আটক কোনো নাগরিকের সঙ্গে দেখা করার অধিকার থাকবে প্রেরণকারী রাষ্ট্রের কনস্যুলার অফিসারদের।
নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ দাবি করা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি ডিবি কর্মকর্তাদের বলেছেন, তিনি শুধু বিএনপি কার্যালয়ে যে নির্দেশনা পেয়েছেন তা অনুসরণ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আরেফি ডিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সহানুভূতি অর্জনের জন্য বিএনপি প্রায়ই কূটনৈতিক মিশন ও তাদের বিদেশি বন্ধুদের বিভ্রান্ত করতে ভুক্তভোগী সাজার অভিনয় করে।
মোমেন সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের বলেছিলেন, “এবার হঠাৎ করেই আমরা দেখলাম একজন তথাকথিত ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন। পরে জানা যায় যে, তিনি একজন প্রতারক এবং তিনি স্বীকার করেছেন যে বিএনপি নেতারা তাকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্ররোচিত করেছিলেন।”
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির গতিবিধির গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’: মুখপাত্র
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সাধারণ পরিষেবা আজ সীমিত থাকবে
১ বছর আগে
বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রবিবার (২৯ অক্টোবর) নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ দুপুরে আরেফি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্টো রোডে ডিবি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার আরেফি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজেকে ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেন।
আরও পড়ুন: 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সঙ্গে বসে আরেফি এমনকি দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্পূর্ণ পক্ষে’।
আরেফি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার প্রতিদিন তার যোগাযোগ হয় বলে দাবি করেন। আরও দাবি করেন, মার্কিন সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিরোধীদের আন্দোলনকে সমর্থন করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দলীয় নেতারা বিএনপি অফিসে বসে থাকা আরেফিকে ঘিরে রেখেছেন।
বিএনপি ও জামায়াতপন্থীরা দাবি করেছেন, সরকার উৎখাতের জন্য ‘বাইডেন এর পক্ষ থেকে’ তাদের সমর্থন জানানোর জন্য বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন আরেফি।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির গতিবিধির গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’: মুখপাত্র
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেছে পুলিশ
১ বছর আগে