প্রতিবেদন প্রকাশ
বাংলাদেশের প্রথম ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’ প্রতিবেদন প্রকাশ
পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) খাতের সামগ্রিক ব্যয়ের গতিপ্রকৃতি ট্র্যাকিং-এর উদ্দেশে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস ২০২০’ প্রতিবেদন -এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস ২০২০’ প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অতিথি হিসেবে যোগ দেন ওয়াটারএইড দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম এবং হাসিন জাহান, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ।
ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস প্রণয়ন কার্যক্রমের ফোকাল পয়েন্ট ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’ প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
এ সময় এম. এ. মান্নান সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের অবসান, সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য, জেন্ডার সমতা, জলবায়ু, পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শোভন কর্মসংস্থান এবং গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি এসডিজি-৬ অর্জনে সকলের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ি সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের প্রাপ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) খাতে অগ্রগতি অর্জনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের অংশ হিসেবে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে তথ্য-প্রমাণভিত্তিক পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণের পাশাপাশি ওয়াশ খাতে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নিয়মিতভাবে ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’ হালনাগাদ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’- এর বর্তমান প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘২০২০-এ ওয়াশ-খাতের ব্যয় মোট জিডিপি’র ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। বাংলাদেশে খানাপ্রতি গড় বার্ষিক ওয়াশ বাবদ ১১ হাজার ৫৭৪ টাকা (পানি বাবদ ১ হাজার ৫০২ টাকা; স্যানিটেশন বাবদ ১ হাজার ৯৮৫ টাকা; এবং স্বাস্থ্যবিধি বাবদ ৮ হাজার ৮৭ টাকা) খরচ করে। যা তাদের বার্ষিক খানার আয়ের ৪ হাজার ৩ শতাংশ।
আয়ের পরিমাণ অনুসারে খানার ওয়াশ ব্যয়ের বিভাজন থেকে দেখা যায় যে, শহর ও পল্লী উভয় ক্ষেত্রেই দরিদ্র এবং দরিদ্রতম আয়ের খানাসমূহ তাদের আয়ের বড় অংশ ওয়াশ-এ ব্যয় করে।
এ সকল তথ্যাদি বিবেচনায় নিয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলে আগামীতে শহর ও গ্রামীণ এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের নিরাপদ পানি নিশ্চিতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও অর্থায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
১ বছর আগে