যুদ্ধ বন্ধ
ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান শেখ হাসিনার
ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে চলমান সব ধরনের যুদ্ধ বন্ধে বাংলাদেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে চলছে যুদ্ধ। ইউক্রেন যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলিদের হামলায় শিশু ও নারী হত্যা অব্যাহত। আমরা এগুলো কখনোই চাই না।’
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মানুষ ও পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৩০ অক্টোবর) রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
সারাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত ইমামরা জাতীয় ইমাম সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
এই জাতীয় ইমাম সম্মেলন কর্মসূচি থেকে ষষ্ঠ ধাপে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফিলিস্তিনের নারী, শিশু ও জনগণের জন্য ওষুধ, খাবার ও শুকনো খাবার পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানরা তাদের ধর্ম যথাযথভাবে পালন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সবাই শান্তিতে বসবাস করুক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তার সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফরসহ একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে যোগদান করে, সব সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। আমরা জনগণের উন্নয়ন চাই। কারণ আমি জানি যুদ্ধ কতটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে।’
জাতীয় ইমাম সম্মেলনে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের কাছে ইসলামের সত্য বার্তা পৌঁছে দিতে সরকার ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সরকারের অর্জন নিয়ে ১১৩৭ ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ ওজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
এ ছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগে আচার-অনুষ্ঠান ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফ্জখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামি দাওয়াতের জন্য সম্মেলনকক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র এবং দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে।
২০১৭ সালে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও পৌরসভায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
এ ছাড়া এ পর্যন্ত ছয় ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে মোট ৩০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন।
জাতীয় ইমাম সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সৌদি আরবের মদিনার মসজিদের আল-নববীর সৌদি ইমাম শায়খ ডক্টর আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বুয়া'ইজান।
জাতীয় ইমাম সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
১ বছর আগে