মানবিক সংকট
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহত বেড়ে দেড় সহস্রাধিক, বাড়তে পারে আরও
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৬৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এক বিবৃতিতে দেশটির জান্তা সরকার এমন তথ্য দিয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দিনের মাঝামাঝিতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির মধ্যাঞ্চলের সাগেইং শহরে সাত দশমিক সাত মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে। পরবর্তীকে বেশ কয়েকটি আফটারশক (পরাঘাত) হয়েছে। এরমধ্যে একটি আফটারশকের মাত্রা ছিল ছয় দশমিক সাত মাত্রার।-খবর ডনের।
প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডও কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। দেশটিতে ১০ জনের নিহতের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারের বহু ভবন ও সেতু ভেঙে পড়েছে। রাস্তায় ফাটল ধরে চৌচির হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর মান্দালয়। শহরটিতে এক কোটি ৭০ মানুষ বাস করেন।
জান্তা সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তিন হাজার ৪০৮ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৩৯ জন।
গেল একশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিল্ডিং কোড-মহাপরিকল্পনা অনুসরণ না করলে বিপর্যয় ডেকে আনবে ভূমিকম্প
দেশটিতে কয়েক শত বছরের পুরোনো একটি প্যাগোডা মাটিতে মিশে গেছে। প্যাগোডার পাশেই তল্লাশিচৌকিতে দাঁড়িয়ে থাকা এক সেনা বলেন, ‘হঠাৎ করে কম্পন শুরু হয়েছে। পরে তা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। মঠও ভেঙে গেছে। একজন সন্ন্যাসী নিহত হয়েছেন। কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
দীর্ঘদিন ধরে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধকবলিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ব্যাপক মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে সড়ক ও সেতু ভেঙে পড়ায় চলাচলও কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না।
২০ দিন আগে
জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
বিএনপি অভিযোগ করেছে, কারাগারে তাদের নেতা-কর্মীরা মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন। কারাগারের ওয়ার্ডগুলোতে ইতোমধ্যে ভিড় রয়েছে, যা তাদের স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার চারগুণ বেশি।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির 'শান্তিপূর্ণ' আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে 'অগ্নিসংযোগের গল্প' তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
তিনি বলেন, কারাগারগুলো মানবিক বিপর্যয়ের সাক্ষী। কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো নেতা-কর্মীদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানতে পারছেন না আইনজীবী ও স্বজনরা। কারাগারের অভ্যন্তরে প্রতিটি ভবনের ঘনবসতিপূর্ণ ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের রাখা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন বন্দি রাখা হচ্ছে, যেখানে ১০-১৫ জনের বেশি বন্দি রাখা যাবে না। ‘এমনকি কারাবন্দি বিএনপির নেতা-কর্মীদের দিন বা রাত কোনো সময়ই ওয়ার্ডের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ২৭৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিরোধী দলের ৯৯৫ জন অনুসারীকে আসামি করে আরও নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিদিন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য তাদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য চলমান আন্দোলন দমন করতে সরকার বিএনপিকে দোষারোপ করতে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের খেলা শুরু করেছে। যার অসংখ্য প্রমাণ এখন মানুষের হাতে রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রওনা হওয়া বাসে যারা আগুন দিয়েছে তাদের একটি ভিডিও রয়েছে। তিনি বলেন, 'প্রতিদিনই বিভিন্ন ঘটনায় এ ধরনের দৃশ্য দেখা যায়। শুধু গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই বিএনপির বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের গল্প তৈরি ও প্রচার করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকারপন্থী কিছু টিভি স্টেশনের ক্যামেরাপার্সনরা গাড়ি পোড়ানোর সময় উপস্থিত রয়েছেন। ‘এতে সহজেই বোঝা যায় অগ্নিসংযোগ তাদেরই মাস্টার প্ল্যানের অংশ।’
রিজভী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে কোনো প্ররোচনায় সাড়া না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নামতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
৫২৯ দিন আগে