কপ২৮
কপ২৮-এ বিশুদ্ধ জ্বালানির বিষয়ে অগ্রগতি আনতে হবে: যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য জলবায়ু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে কপ২৮-এর জন্যও তাদের বেশকিছু অভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির লক্ষ্যমাত্রাকে সমুন্নত রাখবে কপ২৮। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে বিশুদ্ধ জ্বালানি (ক্লিন এনার্জি) ব্যবহারের ব্যাপারে অগ্রগতি করবে এবং জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতিগুলোর উপর আস্থা পুনঃনির্মাণ করবে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জলবায়ু আলোচনায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা একটি জলবায়ু চুক্তি সই করেন। যেখানে উভয় দেশ জলবায়ু কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে এবং কপ২৬ ও কপ২৭-এর ফলাফল আনার জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনারের বাসভবনে বিভিন্ন অংশীজন নিয়ে জলবায়ু আলোচনার আয়োজন করে ব্রিটিশ হাইকমিশন।
‘টুয়ার্ডস কপ২৮: বিল্ডিং মোমেন্টাম ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন’-শীর্ষক আলোচনায় নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, তরুণ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের একত্র করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল কপ-২৮ সম্মেলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে: পরিবেশমন্ত্রী
এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল কপ২৮-এ যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণ সম্পর্কে বিভিন্ন অংশীজনের প্রত্যাশা ও মতামত বোঝা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় জলবায়ু অংশীদারিত্বকে নির্দেশনা দেওয়া।
ইভেন্টে দুটি প্যানেল আলোচনা ছিল: জলবায়ু কর্মকাণ্ডে তরুণদের ভূমিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ। এরপর অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
প্যানেলিস্টরা বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন, কপ২৮ হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাবগুলো এড়াতে পারস্পরিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হয়ে কথা বলার জন্য অনন্য সুযোগ।
আলোচনায় জলবায়ু কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে নীতি-নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব নেতৃত্বের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়।
প্যানেলিস্টরা জলবায়ু কর্মকাণ্ড করার সময় তরুণরা প্রায়ই যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয় সেগুলোও উত্থাপন করেন।
বেসরকারি খাতের প্যানেল আলোচনায় সেসব প্রণোদনার কথা বলা হয়, যা বেসরকারি খাতকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমনে আরও সক্রিয় করতে পারে।
আলোচকরা বাংলাদেশের কার্বন বাজার, ডিজিটাল বিপ্লব, এনজিও-প্রাইভেট সেক্টর অংশীদারিত্ব এবং বাংলাদেশে আরএমজি সেক্টরে জাস্ট ট্রানজিশনের সুবিধাগুলো কীভাবে কাজে লাগাতে পারে তার উপরও জোর দেন।
শুক্রবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন বলেছে, যুক্তরাজ্যের অগ্রাধিকার হলো কপ২৮ এমন একটি ফলাফল বয়ে আনবে, যা বিশ্বকে জলবায়ু কর্মকাণ্ডে সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করবে।
যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা এবং প্রচেষ্টা বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করা ছাড়াও কপ২৮ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক আলোচনা ও শীর্ষ সম্মেলনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: কপ২৮: দুবাইয়ে পিটার হাসের সঙ্গে সাবের হোসেনের সাক্ষাৎ
কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
১ বছর আগে
কপ২৮: দুবাইয়ে পিটার হাসের সঙ্গে সাবের হোসেনের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সোমবার প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
যোগাযোগ করা হলে মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র ইউএনবিকে জানান, ‘তারা জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাণবন্ত ও বিস্তৃত সম্পর্ক বিদ্যমান।
আরও পড়ুন: ইউএনওপিএসের নির্বাহী পরিচালক রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে কেন্দ্র করে এই অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ ও গভীর করার উপায় নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২৩ ইউনাইটেড ন্যাশনস ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স অথবা কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস অব দ্য ইউএনএফসিসিসি, যা সাধারণত কপ২৮ নামে পরিচিত। দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি হবে ২৮ তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
১ বছর আগে