নারীর অধিকার
কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
২৬ এপ্রিল বিশ্ব নন্দিত ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে প্রিমিয়ার হলো কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ চলচ্চিত্র। এর আগে ১ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়ে গেছে হিন্দি ভাষার ছবিটি নিয়ে। প্রথম সারির কোনো অভিনয়শিল্পী না থাকলেও সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্বনামধন্য বলিউড তারকারা। মিডিয়াপাড়াজুড়ে এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে কেন এত আলোচনা, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
‘লাপাতা লেডিস’ চলচ্চিত্রের কলাকুশলী
পরিচালক কিরণ রাওয়ের শুরুটা ছিল ২০১০ সালে রোমান্টিক সিনেমা ‘ধোবি ঘাট’ দিয়ে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে এবার তিনি ফিরলেন স্যাটায়ার নিয়ে।
প্রযোজনা কমিটিতে তার সঙ্গে রয়েছেন জ্যোতি দেশপান্ডে এবং প্রাক্তন স্বামী বলিউডের তারকা অভিনেতা আমির খান। বিপ্লব গোস্বামীর গল্প নিয়ে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য ও সংলাপ নির্মাণ করেছেন স্নেহা দেশাই।
সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা হলেন নিতানশি গোয়েল, প্রতিভা রান্তা, স্পর্শ শ্রীবাস্তাব, ছায়া কদম, অভয় ডুবে, রবি কিষাণ, দুর্গেশ কুমার, এবং গীতা আগারওয়াল।
আরও পড়ুন: 'প্রিয় মালতী' হতে যাচ্ছে মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা
ছবিটির সংগীত আয়োজন করেছেন রাম সম্পাথ এবং গানের কথায় ছিলেন দিব্যনিধি শর্মা, প্রশান্ত পান্ডে এবং স্বানন্দ কিরকিরে। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন বিকাশ নওলাখা এবং সম্পাদনায় জাবীন মার্চেন্ট।
ছবিটি সর্বপ্রথম ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর টিআইএফএফ (টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) এ প্রদর্শিত হয়েছিল।
৭ মাস আগে
‘ওয়েমেন ইন ইসলাম’ সম্মেলন: মুসলিম নারীদের অধিকার রক্ষায় ওআইসি প্রধানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা বলেছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ওআইসি মুসলিম নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করে আসছে।
তিনি বলেন, এই অঙ্গীকারটি ওআইসি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব উইমেন (ওপিএএডব্লিউ) কর্তৃক গৃহীত হয়েছে, যা মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে একটি রোডম্যাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
সোমবার জেদ্দায় 'ওয়েমেন ইন ইসলাম: স্ট্যাটাস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের মুসলিম নারী প্রতিনিধি দল এবং ইসলামী বিশ্বের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মহানবীর (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
সৌদি আরবের আমন্ত্রণে দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় ওআইসি সাধারণ সচিবালয় তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
হিসেইন ব্রাহিম তাহা বলেন, এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ফিলিস্তিনিরা নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখোমুখি হচ্ছে এবং নারীরা, বিশেষ করে গাজার নারীরা, পাশাপাশি শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং অন্যান্য নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকরা বোমা হামলার শিকার হয়েছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজার পরিস্থিতি সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা সম্মেলনের আলোচনাতেও বর্তায় এবং ইসরায়েলি বর্বরতা উন্মোচন ও ফিলিস্তিনি নারী, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং আশীর্বাদপ্রাপ্ত আল-আকসা মসজিদের অধিকার রক্ষার জন্য তীব্র প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানান, যেখানে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের ভয়াবহ বাস্তবতা থেকে ভূমি বা ভূমি থেকে জনগণকে পৃথক করা অসম্ভব।
মহাসচিব আফগান নারীদের ক্ষমতায়ন ও সকল স্তরে শিক্ষা গ্রহণ এবং জনজীবনে অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করতে গঠনমূলক সংলাপ অব্যাহত রাখার ওআইসির দৃঢ় সংকল্পের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ইসলামে নারীবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে মদিনা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি ইঙ্গিত দেন, এই সম্মেলন ইসলামে নারীর অধিকার প্রচার ও নিশ্চিতকরণের জন্য ওআইসি ও অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর ইতিহাসে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে এবং এই সম্মেলন ইসলামে নারীদের অধিকার সম্পর্কিত জেদ্দা ডকুমেন্ট গ্রহণ করবে।
ওআইসি প্রধান সম্মেলনের আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অংশগ্রহণকারী সকল নারী ব্যক্তিত্বকে ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নারী ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী এবং নারী অংশগ্রহণকারী ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ওআইসি প্রতিবেশিদের সংলাপের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে