মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আশা করে- যে কোনো দেশের সরকার তাদের কর্মকর্তা ও স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশন ও এর অধীনে বিদ্যমান কূটনৈতিক কনভেনশনগুলোর অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ শোকজ নোটিশ দেবে এবং মুজিবুল হক চৌধুরীকে সতর্ক করবে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন ও কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক, তাদের কর্মকর্তা এবং তাদের স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সমস্ত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরী তার এক জনসভায় 'মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে মারধরের' হুমকি দেন।
আরাফাত বলেন, ‘ইউনিয়ন হলো দলের সর্বনিম্ন স্তর এবং সেই স্তরের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক কথা বলে যাতে আমরা খুব বেশি মনোযোগ দিই না। আওয়ামী লীগও কোনো রেজিমেন্টেড দল নয়; অতএব, তৃণমূল নেতারা বাকস্বাধীনতা ভোগ করেন।’
আরও পড়ুন: ভুয়া প্রোফাইল থেকে সাবধান: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এই বিশেষ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের এই নেতার আপত্তিকর বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি। আমি আওয়ামী লীগের সকল তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের সাবধানতা অবলম্বন এবং কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা, আমাদের আকাঙ্ক্ষা এবং সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অংশীজনদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আমরা যে দিকে কাজ করে যাচ্ছি তা হলো- এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
১ বছর আগে