ব্রিটেন
ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে বিএনপির অভিনন্দন
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (৬ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিনন্দন জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব দেশে গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে সেসব দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভূমিকা রাখবেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি ব্যাপক ব্যবধানে বিজয় অর্জন করেছে। লেবার পার্টির প্রধান স্যার কিয়ার স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই।’
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে টুইটারে কিয়ার স্টারমারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ‘আমি দলের পক্ষ থেকে তাকে আবারও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
বিএনপি মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, 'যুক্তরাজ্যের অভিজ্ঞতা হলো সেখানে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি অনেক দেশের গণতান্ত্রিক ঘাটতি ও সংকট মোকাবিলায় তার (স্টারমার) জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: সরকারের সঙ্গে পেনশন বিরোধে শিক্ষকদের পাশে বিএনপি, আন্দোলনকে 'যৌক্তিক' বললেন রিজভী
তিনি আরও আশা করেন, স্টারমার তার যোগ্য নেতৃত্বে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন।
১৪ বছরের কনজারভেটিভ শাসনের অবসান ঘটিয়ে মধ্য-বামপন্থী বিরোধী দল লেবার পার্টি ব্যাপক বিজয়ের পর যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিয়ার স্টারমার।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় মাসুদ পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, তার নেতৃত্বে ইরান এগিয়ে যাবে।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান।
ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ওপর বছরের পর বছর ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা ও বিক্ষোভের মধ্যে পেজেশকিয়ান পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার এবং ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইনের প্রয়োগ শিথিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে বিএনপি নৈতিক সমর্থন করে: ফখরুল
৪ মাস আগে
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা, নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে স্কাই নিউজ জানায়, পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪৬৭টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে; যার মধ্যে লেবার পার্টি পেয়েছে ৩২৬টি আসন।
এদিকে কোনো সংবাদ মাধ্যমে ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
বিবিসি, আইটিভি ও স্কাই নিউজের বুথফেরত জরিপে ফল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, লেবার পার্টি ৪১০টি আসনে বিশাল জয় পাবে, অন্যদিকে কনজারভেটিভদের আসন সংখ্যা ১৩১টিতে নেমে আসবে।
সুনাক বলেন, 'লেবার পার্টি এই সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে এবং আমি স্যার কেয়ার স্টারমারকে ফোন করে তার জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিটিশ জনগণ আজ রাতে একটি রায় দিয়েছে যা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে... আর হারের দায় আমি নিচ্ছি।’
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর স্টারমারের ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পথ প্রশস্ত করতে সুনাক শিগগিরই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
লেবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হওয়ার পরে সেন্ট্রাল লন্ডনে জনতার উদ্দেশে স্টারমার বলেন, “আমরা পেরেছি। আপনারা এর জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন, এর জন্য লড়াই করেছিলেন- এবং জয় এসেছে। 'পরিবর্তন এখন শুরু।’”
তিনি আরও বলেন, 'ব্রিটিশ জনগণকে পরীক্ষা করে দেখতে হয়েছিল যে আমরা তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারি কি না এবং এটি এখনই থামবে না।’
স্টারমার বলেন, ‘আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না, যে এটি সহজ হবে। কিন্তু যখন চলা কঠিন হয়ে উঠবে, মনে রাখতে হবে আজকে রাতের কথা।’
আরও পড়ুন: পরাজয় মেনে প্রধানমন্ত্রীর শেষ ভাষণ দিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়েছেন সুনাক
৪ মাস আগে
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের বিশেষ আমন্ত্রণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বেলজিয়ামের উদ্দেশ্যে সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
সফরকালে প্রতিমন্ত্রী বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য টনি ব্লেয়ার ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘টেক অ্যাক্সিলেরেটর প্রোগ্রাম ২০২৩’ এ অংশগ্রহণ করবেন।
এই এক্সেলেরেটর প্রোগ্রামে বাংলাদেশ, ব্রিটেন, অ্যাঙ্গোলা, মলদোভা, জাম্বিয়া, সিঙ্গাপুর, মরক্কো, আলবেনিয়া, ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম, তিমুর, বুলগেরিয়া, রিসা, গ্রীস, ইউকে, ম্যাক্রা, রোমানিয়াসহ বিশ্বের ৩১টি দেশ থেকে মন্ত্রী, মেম্বার অব পার্লামেন্ট, সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করবেন।
১ বছর আগে
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্রিটেনের সহযোগিতা চায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার তার সীমিত সম্পদ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রণীত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (ন্যাপ) মোতাবেক ১১৩টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাস্তবায়ন এবং অর্জন করা বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন। তাই আমরা যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশ থেকে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মোট বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাসের শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশের কম নির্গমণ করলেও বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন, মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম এবং লস এন্ড ড্যামেজ এর জন্য তহবিল ব্যবস্থার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্রিটেনের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে।
বাংলাদেশের এনডিসি এবং ন্যাপ এর প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, সদ্যপ্রণীত মুজিব ক্লাইমেট প্রসপ্যারিটি প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ বিশ্বে জলবায়ু কর্মকাণ্ডে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি এসময় বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম বেইজড এডাপটেশনের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু কর্মকাণ্ডে ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ টিমের টিম লিডার এলেক্স হারভেসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
'কমনওয়েলথের অভিভাবক' হিসেবে ব্রিটেনের রাজার গুরুত্ব অপরিসীম: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে আগামী ৪-৮ মে যুক্তরাজ্য সফর করবেন।
তিনি বলেন, আগামী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাজ্য জুড়ে এবং তার বাইরেও লাখ লাখ মানুষ রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি জানান, আগামী ৬ মে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের পূর্বে ৫ মে বিকালে বাকিংহাম প্যালেসে মহামতি রাজা এবং কুইন কনসোর্টের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, একই দিনে মার্লবোরো হাউসে রাজার উপস্থিতিতে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল কর্তৃক আয়োজিত কমনওয়েলথ লিডার্স ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। এসব অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন।
এবার ৭০ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রায় ১৩০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান (কমনওয়েলথভুক্ত অধিকাংশ দেশের সরকার প্রধানসহ) অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা যায়। কমনওয়েলথ এর অভিভাবক হিসেবে ব্রিটেনের রাজার গুরুত্ব অপরিসীম।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমনে বলেন, অন্যদিকে বর্তমানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান। যুক্তরাজ্য এখন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগ উৎস ও রেমিটেন্সের চতুর্থ বৃহত্তম উৎস।
এসবের পাশাপাশি রাজনৈতিক, উন্নয়ন সহযোগিতা, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইতাদি খাতে দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়ে উঠছে। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এসব গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে রাজি হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এ সফরে কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও, যুক্তরাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে পারেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের একটি হোটেলে আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মোমেন বলেন, আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য সফর সফল ও ফলপ্রসূ হবে।
আগামী ৯ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা ঘোষণা
প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফর: প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ ৮টি চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা
১ বছর আগে
‘একাকীত্ব' মোকাবিলায় রাজা চার্লস নিজের সঙ্গে একটি টেডি বিয়ার রাখেন: হ্যারি
ব্রিটেনের বর্তমান রাজা চার্লসের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি তার বহুল আলোচিত বই ‘স্পেয়ারে’ প্রকাশ করেছেন যে তার বাবা সব সময় নিজের সঙ্গে একটি টেডি বিয়ার রাখেন। রাজা চার্লস তার শৈশবের এই টেডি দিয়ে একাকীত্ব মোকাবিলা করেন।
হ্যারি তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘টেডি পা'র সঙ্গে সব জায়গায় যায়। এটার অবস্থা করুণ। এর হাত ভাঙা, সুতো বের হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে গেছে।’
হ্যারি আরও বলেন, ‘টেডি তার (চার্লসের) শৈশবের অপরিহার্য নিঃসঙ্গতা খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।’
ডিএইচ কনসাল্টিং-এর মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল হ্যাগ বলেছেন কিভাবে রাজা চার্লসের স্টাফ খেলনা তার সুস্থতায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের রাজা হলেন তৃতীয় চার্লস
১ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকছেন
ব্রিটেনের রাজ পরিবারকে নিয়ে বিশ্বের মানুষ ও মিডিয়ার যে আগ্রহের শেষ নেই তা আলাদা করে বলতে হয় না। বিশেষ করে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিয়ে। বিশ্ব প্রমাণ পেয়েছে তার মৃত্যুতে। শোক যেমন আছে, শেষযাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে খুঁটিনাটি কী হচ্ছে তাও জানতে নেট দুনিয়ায় ঘুরে আসতে ভুল হচ্ছে না।
সোমবার হচ্ছে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের যানজট এড়াতে তাদের বাসে করে চলাচল করার অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি মানুষের মাঝে বেশ আগ্রহ জাগিয়েছে। একইভাবে এই আয়োজনে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না তা নিয়েও খোঁজখবর শুরু হয়েছে।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে অতিথিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। বরং যারা আয়োজনে অংশ নিবেন তাদেরকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।
আারও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকবেন
শুধু যুক্তরাজ্য নয়, বিশ্বের মানুষ সোমবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় তার গৌরবময় জীবন ও উত্তরাধিকারকে স্মরণ করবে। রানি ৯ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং তখন থেকেই রাজপরিবার ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের মানুষ শোক পালন করছে।
১৯৬৫ সালে উইনস্টন চার্চিলের পর রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াই যুক্তরাজ্যে প্রথম রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। একটি রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মানে যুক্তরাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করে। যা শোক প্রকাশের জন্য করা হয়।
ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। এখানেই প্রিন্স উইলিয়ামস ও কেট মিডলটনের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
আারও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন
রাজপরিবারের সদস্যরা
রানির পরিবারের অধিকাংশই উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থার (এএনআই) মতে, তালিকায় রাজা চার্লস তৃতীয় এবং রানি কনসোর্ট ক্যামিলা পার্কার বোলস, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল, প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটন, রানির কন্যা প্রিন্সেস অ্যানে ও স্যার টিমোথি লরেন্স, প্রিন্সের মতো রানির সবচেয়ে কাছের পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অ্যান্ড্রু ও সারা এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড ও সোফি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য সরকারের সিনিয়র সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
বিশ্ব নেতারা
এএনআই অনুসারে, প্রায় ৫০০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, আইরিশ প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্স, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন।
অন্যান্য দেশের রাজ পরিবার
এএনআই আরও জানায় যে ইউরোপজুড়ে রাজপরিবারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও রানি ম্যাথিল্ড, নেদারল্যান্ডের রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার এবং রানি ম্যাক্সিমা, স্পেনের রাজা ফিলিপ ষষ্ঠ ও রানি লেটিয়া, সুইডেনের রাজা কার্ল গুস্তাফ ও রানি সিলভিয়া এবং মোনাকোর প্রিন্স আলবার্ট ও রাজকুমারী শার্লিন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শেষকৃত্যের জন্য ১৭ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাজ্যে থাকবেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও তার যুক্তরাজ্য সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নেপাল থেকে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ খাডকা সেখানে থাকবেন এবং শ্রীলঙ্কা থেকে রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে শেষকৃত্যে অংশ নিতে যুক্তরাজ্যে যাবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রানির শেষযাত্রায় অন্যান্যদের সঙ্গে অংশ নিবেন।
আারও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকবেন না
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য দেশের রাজনৈতিক প্রধান থেকে শুরু করে রাজপরিবারের স্বতন্ত্র সদস্য এবং বিশ্বজুড়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অনেক অতিথি যুক্তরাজ্যে উপস্থিত হতে শুরু করেছে।
যদিও আনুষ্ঠানিক অতিথির তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তবুও এএনআই একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যারা রানিকে বিদায় জানাতে যুক্তরাজ্যে যাবেন না। এর মধ্যে দেশের তালিকায় যে দেশগুলো থাকছে:
রাশিয়া
বেলারুশ
আফগানিস্তান
মিয়ানমার
সিরিয়া
ভেনেজুয়েলা
আারও পড়ুন: পর্দায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি রাজা চার্লস তৃতীয়কে তার সিংহাসনে আরোহণে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু পুতিনের এই শুভেচ্ছা যুক্তরাজ্যের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বাভাবিকভাবেই পুতিন যুক্তরাজ্যে থাকছেন না।
এখানে এটাও লক্ষণীয় যে উত্তর কোরিয়া, ইরান এবং নিকারাগুয়াকে আমন্ত্রণ পাঠানো হলেও তা শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতদের, ওই দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের নয়।
আরেকটি খবর যা সম্প্রতি ছড়িয়েছে তা হল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত থাকবেন।
তবে এএনআইয়ের মতে, যুক্তরাজ্য সরকার এই গুজবকে বাতিল করেছে। বরং শুধুমাত্র বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।
এএনআই জানিয়েছে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবে।
আারও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন
ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দেশ স্বাধীন হওয়ার ১২ বছর পর ১৯৮৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে আসেন।
ইউপিআইয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির তৎকালীন সামরিক সরকারের রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে অল্প সংখ্যক ব্যক্তির উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্বামী প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে রানি সে রাতে নিজস্ব বিমানে করে বংলাদেশে আসেন।
ধূসর নীল রঙের স্যুট পরিহিত রানি ও তার স্বামীকে মোটর শোভাযাত্রায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যেখানে তারা শেষবার ১৯৬১ সালে এসেছিলেন। তখন বাংলাদেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান।
রাজকীয় এই দম্পতি কমনওয়েলথ সম্মেলন উদ্বোধন করার উদ্দেশ্যে ভারতের নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে বাংলাদেশে ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর অবস্থান করেন।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে তখন বিশ্বের তৃতীয় দরিদ্রতম দেশ বলে অভিহিত করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৎকালীন সামরিক সরকার ঢাকায় রানির সফরের জন্য দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রঙিন পোস্টার, ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’- লেখা ব্যানার এবং ইউনিয়ন জ্যাক পতাকায় বিমানবন্দর থেকে ১৮ মাইল পথ সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
রানির বাংলাদেশ সফরের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে একটি ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন। যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিলেন।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে একটি ‘মডেল ভিলেজ’ পরিদর্শনের জন্য রানি ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন এবং সেখানে দেখেছিলেন কীভাবে চাল থেকে মুড়ি তৈরি হয়, পাশাপাশি হস্তশিল্প, লেপ ও মৃৎপাত্র তৈরির প্রক্রিয়াও দেখেছিলেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ ঢাকার ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং সেখানে সুবিধাভোগীদের সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ফখরুলের শোক
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
ব্রিটেনের দীর্ঘ মেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞী
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০২২ সালে তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্ণ করেছেন। এরমধ্য দিয়ে তিনি ব্রিটিনের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক ও দীর্ঘ মেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞীর খেতাব অর্জন করেছেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তার প্রপিতামহী রানী ভিক্টোরিয়ার রেকর্ড ভঙ্গ করেন, যিনি ৬৩ বছর সাত মাস রাজত্ব করেছিলেন।
২০১৬ সালে, থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের মৃত্যুর পর এলিজাবেথ ছিলেন বিশ্বের দীর্ঘ মেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞী।
২০২২ সালে তিনি ১৭ শতকের ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই এর পরে বিশ্ব ইতিহাসে দ্বিতীয়-দীর্ঘকাল-শাসনকারী সম্রাজ্ঞী হন। চতুর্দশ লুই, মাত্র ৪ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেছিলেন।
এলিজাবেথ ও ভিক্টোরিয়া ছাড়াও ব্রিটিনের ইতিহাসে অন্য চারজন রাজা ৫০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছেন। তারা হলেন- তৃতীয় জর্জ (৬৯ বছর), তৃতীয় হেনরি (৫৬ বছর), এডওয়ার্ড তৃতীয় (৫০ বছর) ও স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ জেমস (৫৮ বছর)।
বাড়িতে শিক্ষাগ্রহণ
তার সময়ের ও আগের অনেক রাজপরিবারের সদস্যদের মতো, এলিজাবেথও কখনই কোনো পাবলিক স্কুলে যাননি। তিনি তার ছোট বোন মার্গারেটের সঙ্গে বাড়িতেই শিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি তার বাবার কাছেও শিক্ষা গ্রহণ করেন। এছাড়া তার শিক্ষকদের মধ্যে ইটন কলেজের একজন সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন ফরাসি ও বেলজিয়ান গভর্নেস তাকে ফরাসি শিখিয়েছিলেন এবং ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ তাকে ধর্ম শিখিয়েছিলেন।
এছাড়াও এলিজাবেথ বাইক চালানো, সাঁতার কাটা, নাচ, ফাইন আর্টস ও সঙ্গীত শেখেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
‘নং ২৩০৮৭৩’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, প্রিন্সেস এলিজাবেথ সংক্ষেপে ‘নং ২৩০৮৭৩’ নামে পরিচিত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের হয়ে কাজ করার জন্য এলিজাবেথকে অক্সিলারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসে একজন সাবল্টার্ন (জুনিয়র অফিসার) করা হয়।
যুদ্ধের কাজে সম্পৃক্ত হতে তার বাবা-মায়ের অনুমতিতে তিনি অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাক চালাতে ও প্রয়োজনে সেগুলো মেরামত করতে শিখেছিলেন।
‘গ্রেট মিমিকার'
এলিজাবেথ প্রায়ই চেহারায় ভারিক্কি অভিব্যক্তি বজায় রাখতেন, তাই অনেকেই তাকে ‘জুজু মুখো’ বলে অভিহিত করতেন। কিন্তু যারা তাকে কাছে থেকে চিনতেন, তারা তাকে একটি দুষ্টু, হাস্যরসিক ও অন্যের অভিব্যক্তি নকল করার অসামান্য প্রতিভাধর বলে বর্ণনা করতেন।
ক্যান্টারবারির সাবেক আর্চবিশপ রোয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, রানি ‘ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত মজা করতে পারে। কেউ তার এ বিষয়টির প্রশংসা করে না যে, তিনি কতটা মজা করতে পারেন।’
রানির পারিবারিক যাজক বিশপ মাইকেল মান একবার বলেছিলেন যে ‘রানির কনকর্ড অবতরণ করাকে অনুকরণ করা আপনাদের দেখা সবচেয়ে মজার কাজগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে।’
এছাড়াও ইয়ান পাইসলি নামের একজন আইরিশ পাদ্রী ও রাজনীতিবিদ বলেছেন, এলিজাবেথ একজন ‘দারুন অনুকরণকার’ ছিলেন।
রাজকীয় করদাতা
তিনি রানি হয়েও ১৯৯২ সালে থেকে ট্যাক্স দিতেন।
১৯৯২ সালে যখন রানির অবকাশ যাপনের বাসভবন উইন্ডসর ক্যাসেল আগুনে পুড়ে যায়, তখন জনসাধারণ মেরামতের জন্য কয়েক লাখ পাউন্ড দেয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (১৯২৬-২০২২) : ইতিহাসের দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞীর বিদায়
তখনন তিনি স্বেচ্ছায় তার ব্যক্তিগত আয়ের ওপর কর দিতে রাজি হয়েছেন।
রানি বলেছিলেন, মেরামত কাজের ব্যয়ের ৭০ শতাংশ তিনি পূরণ করবেন এবং তিনি অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ করতে প্রথমবারের মতো বাকিংহাম প্যালেসে তার বাড়িটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ছোট্ট লিলিবেট
তার মা, মাতামহী ও প্রমাতামহীর সম্মানে রানিকে ইয়র্কের এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু শৈশবে তার পরিবাররের সদস্যদের কাছে তিনি ছোট্ট লিলিবেট নামেই পরিচিত ছিলেন। কারণ তিনি সঠিকভাবে ‘এলিজাবেথ’ নামটি উচ্চারণ করতে পারতেন না।
তার নানী কুইন মেরির কাছে একটি চিঠিতে, তরুণ রাজকুমারী লিখেছেন: ‘প্রিয় ঠাকুরমা। সুন্দর ছোট্ট জার্সির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা আপনার সঙ্গে স্যান্ড্রিংহামে থাকতে পছন্দ করি। আমি গতকাল সকালে সামনের একটি দাঁত হারিয়ে ফেলেছি।’ চিঠিটির শেষে লেখা- ‘লিলিবেটের পক্ষ থেকে ভালবাসা।’
প্রিন্স হ্যারি ও সাসেক্সের ডাচেস মেগান ২০২১ সালে তাদের মেয়ের নাম লিলিবেট ডায়ানা রাখার পরে রানির ডাকনামটি আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠে।
দীর্ঘ দাম্পত্যজীবন
এলিজাবেথ ও তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক উপভোগ করেছেন। তাদের এই বন্ধনের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে তার চার সন্তানের মধ্যে তিনজন দীর্ঘ বৈবাহিক জীবন কাটান। তারা হলেন- চার্লস, অ্যান ও অ্যান্ড্রু।
রানী তাদের ৫০তম বিবাহ বার্ষিকীতে ফিলিপ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘তিনি খুব আন্তরিকভাবে এত বছর ধরে আমার অবলম্বন হয়ে আছেন।’
তাদের গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে, যখন গ্রিসের ১৮ বছর বয়সী সুদর্শন নৌ ক্যাডেট প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী এলিজাবেথের দেখা হয় একদিনের জন্য। এর বেশ কয়েক বছর পরে ফিলিপকে ক্রিসমাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজপরিবারে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এই দম্পতি ১৯৪৭ সালে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে বিয়ে করেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে দেখতে যাচ্ছেন স্বজনরা
তার ছেলে অ্যান্ড্রুর মতে, ফিলিপ যখন ২০২১ সালে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান, তখন এলিজাবেথ তার জীবনে একটি ‘বিশাল শূন্যতা’ তৈরি হওয়ার কথা বলেছিলেন।
একাধিক জন্মদিন
এলিজাবেথ ১৯২৬ সালের ২১শে এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু কবে তার জন্মদিন উদযাপন করা হবে তা জনসাধারণের জন্য কখনও কখনও বিভ্রান্তির বিষয়ে পরিণত হতো। কেননা তার ‘অফিসিয়াল জন্মদিন’ এর জন্য সর্বজনীনভাবে কোনো তারিখ নির্ধারিত ছিল না- এটা জুনের প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শনিবার হতো, তবে কবে উদযাপিত হবে সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিত।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় তার জন্মদিন জুনের দ্বিতীয় সোমবার উদযাপিত হতো।
শুধুমাত্র রানি ও তার কাছের মানুষেরা পারিবারিক পরিসরে তার প্রকৃত জন্মদিন উদযাপন করতেন।
অনেকগুলো কর্গির মালিক
এটি সর্বজনবিদিত যে এলিজাবেথ কর্গি (এক ধরনের ছোট জাতের কুকুর) ভালোবাসতেন। এমনকি প্রিন্সেস ডায়ানা এই কুকুরগুলোকে রানির ‘চলন্ত কার্পেট’ বলে অভিহিত করেছেন, কারণ এগুলো তার সঙ্গে সর্বত্র চলাফেরা করতো।
তিনি অনেক বছর ধরে ৩০ টিরও বেশি কর্গির মালিক ছিলেন। তার দুটি ‘ডরগিস’ ছিল-ড্যাচসুন্ড ও কর্গির ক্রস ব্রিড। যাদের নাম ছিল- ক্যান্ডি ও ভলকান।
এলিজাবেথ ১৯৩৬ সালে ১০ বছর বয়সে একটি কুকুরকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছিলেন এবং তার ১৮ তম জন্মদিনে সুসান নামে তাকে একটি কর্গি দেয়া হয়েছিল।
১৯৩৩ সালে স্থানীয় ক্যানেল থেকে ডুকি নামে একটি পুরুষ কর্গি কেনার মধ্য দিয়ে তার বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ রাজপরিবারের সঙ্গে এই প্রাণীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
রানি হিসেবে তিনি ব্রিটেনের উন্মুক্ত জলাশয়ের কয়েক হাজার রাজহাঁসের মালিক ছিলেন এবং ১৩২৪ সালের একটি আইন অনুসারে তার সমস্ত স্টার্জন, পোর্পোইজ, তিমি ও ডলফিন দাবি করার অধিকার ছিল।
‘এ প্রিটি নাইস গার্ল’
রানী অনিবার্যভাবে পপ গানের বিষয় হয়ে ওঠে।
দ্য বিটলসের পল ম্যাককার্টনির গাওয়া ‘হার ম্যাজেস্টি’ গানটি সেসময় মানুষের মুখে মুখে ফিরেছিল। রানিকে নিয়ে পল গেয়েছিলেন ‘হার ম্যাজেস্টি এ প্রিটি নাইস গার্ল, বাট শি ডাজেন্ট হ্যাভ আ লট টু সে…’। ১৯৬৯ সালে রেকর্ড করা সংক্ষিপ্ত এই গানটি ‘অ্যাবে রোড’ অ্যালবামের শেষে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
তবে তাকে নিয়ে রচিত অন্যান্য গানগুলো অবশ্য এতটা মধুর ছিল না। ১৯৭৭ সালে তার রজত জয়ন্তীর ঠিক আগে প্রকাশিত `দ্য সেক্স পিস্তল’ ব্যান্ডের রাজতন্ত্রবিরোধী ‘গড সেভ দ্য কুইন’ গানটি ব্রিটিশ টেলিভিশনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
২ বছর আগে
ব্রিটেনে আরও ১০৪ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত
ইংল্যান্ডে আরও ১০৪ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭০ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি ব্রিটেনের জনগণকে বলেছে, তাদের যদি ফোস্কার মতো ফুসকুড়ি বের হয় এবং যদি তারা যার মাঙ্কিপক্স আছে বা থাকতে পারে (এমনকি যদি তাদের এখনও পরীক্ষা করা হয়নি) বা পশ্চিম বা মধ্য আফ্রিকায় গেছে এমন কারোর সঙ্গে তিন সপ্তাহ ধরে যৌন যোগাযোগসহ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে থাকে, তার মাঙ্কিপক্স হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, রবিবার পর্যন্ত, ইংল্যান্ডে বর্তমানে ৪৫২ জন, স্কটল্যান্ডে ১২ জন, ওয়েলসে ৪ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে দুই জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।
মাঙ্কিপক্স বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমকামী, উভকামী পুরুষদের মধ্যে সনাক্ত হয়েছে, সংস্থাটি বলেছে।
ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নরউইচ মেডিকেল স্কুলের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক পল হান্টার শনিবার সিনহুয়াকে বলেছেন, সংস্থার আপডেটগুলি এই রোগের বিস্তারের ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, ‘মাঙ্কিপক্স ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রামিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তাই যেসব লোকেদের সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারে , বিশেষ করে যদি তাদের ফুসকুড়ি থাকে, তাদের সঙ্গ এড়িয়ে চলা উচিত।’
হান্টার বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সমর্থন করেছেন, যারা সতর্ক করে বলেছিলেন যে মাস্ক পরা মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ রোধে নগণ্য প্রভাব ফেলবে।
8 জুন, মাঙ্কিপক্সকে আইনত লক্ষণীয় রোগ হিসাবে ঘোষণা করে একটি নতুন আইন ব্রিটেনজুড়ে কার্যকর হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের সমস্ত চিকিৎসককে সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগী পেলে স্থানীয় কাউন্সিল বা স্থানীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা দলকে অবহিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের আতঙ্ক: ভারত ফেরত যুবক যশোর হাসপাতালে ভর্তি
মাঙ্কিপক্স: পোষা প্রাণী থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান
২ বছর আগে