আকৃষ্ট
‘হুব্বা’ দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে: মোশাররফ করিম
আগামী ১৯ জানুয়ারি কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশেও মুক্তি পাচ্ছে মোশাররফ করিম অভিনীত সিনেমা ‘হুব্বা’। কলকাতার প্রযোজনার এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন ব্রাত্য বসু।
হুব্বা শ্যামল পশ্চিমবঙ্গের ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ হিসেবে পরিচিত। আর এই চরিত্রেই দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমে নির্মাতা ব্রাত্য বসু জানান, সুপ্রতিম সরকারের একটি বই পড়ে তার এই চরিত্রটা ভালো লেগেছিল। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এখানে সিনেমা তৈরির অনেকগুলো উপাদান আছে।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
সিনেমাটিতে পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এছাড়াও অভিনয় করেছেন পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ।
‘হুব্বা’ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে মোশাররফ করিম বলেন, ‘দর্শকের প্রত্যাশা আরও বাড়বে। পূর্ণতা না পাওয়ার কারণই নেই। কারণ চরিত্রটিই অসাধারণ। এই চরিত্রের অনেক স্তর, তারপর মানসিক দিকগুলোতে অভিনয়, পরিশেষে সেই চরিত্রটি হয়ে ওঠা এবং গল্পটি যেভাবে বলা হয়েছে এসব কারণেই মনে হচ্ছে দর্শক নিরাশ হবেন না। গল্পটা যেভাবে বলা হয়েছে সেটা পূর্ণতা পাবেই।’
মোশাররফ আরও বলেন, ‘হুব্বা দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে। তারা সিনেমাটি দেখে মজা পাবেন। আর নিজের কাজ নিয়ে আমি সব সময়ই আত্মবিশ্বাসী। কারণ ওই কাজটির সঙ্গে আমার সততা, শ্রম ও প্রত্যাশা মিশে থাকে।’
উল্লেখ্য, সাফটা চুক্তির অধীনে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘হুব্বা’। এটি আমদানি করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
আরও পড়ুন: সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
১০ মাস আগে
কক্সবাজারে বড় পরিসরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন
ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত একটি চোখ ধাঁধানো রেলস্টেশন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে, যা বিনোদনের গন্তব্যে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল রেললাইন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দরনগরীকে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত করার লক্ষ্যে শনিবার এই স্টেশনটির উদ্বোধন করেন।
কক্সবাজার শহরের নিকটবর্তী ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর রেলস্টেশনটি নির্মাণ করা হয়।
১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুটের রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে, যেখানে একটি ৬তলা ভবন এবং একটি বড় ঝিনুক আকৃতির ঝর্ণা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার যাত্রী আইকনিক স্টেশনটি ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্টেশনটিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৩টি বড় জায়গা রয়েছে। স্টেশনটিতে যে সব আধুনিক সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে- টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, শপিং মল, রেস্তোঁরা, লাগেজ লকার, শিশু যত্ন কেন্দ্র, মসজিদ, এসকেলেটর, এটিএম বুথ, আবাসিক হোটেল, পোস্ট অফিস এবং পর্যটন তথ্য বুথ।
পর্যটন শহরে লাগেজ লকার একটি আকর্ষণীয় সেবা, কারণ যে কেউ স্টেশনে পণ্য রেখে একদিনের জন্য সমুদ্র সৈকত বা অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন।
এছাড়াও, স্টেশনটি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ। ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের প্রথম রেলপথের সংযোগ স্থাপনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
১ বছর আগে