সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ইন্দোনেশিয়াকে এশিয়ার সাগর পাড়ের স্বর্গ নাম দেওয়া হলে মোটেই বাড়িয়ে বলা হবে না। নিদেনপক্ষে রাজা আমপাত রিজেন্সি, বালি, জাভা, সুমাত্রা ঘুরে বেড়ানোর সময় এমনটাই অনুভব করেন প্রতিটি পর্যটক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পরেও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় অভিজাত এই দর্শনীয় স্থানগুলো। তবে এই অবকাশ যাপনের সঙ্গে যে একদমই আপস করা যায় না তা কিন্তু নয়। জায়গা ভেদে প্রতিটি দেশেরই বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক তারতম্য ঘটে। ইন্দোনেশিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। এমনকি জাকার্তার মতো ব্যয়বহুল শহরের কাছেই দারুণ কিছু জায়গা আছে হিসেবি পর্যটকদের জন্য। আজকের নিবন্ধে স্বল্প খরচে শীতের ছুটি কাটানোর মতো ইন্দোনেশিয়ার সেই অপূর্ব দ্বীপাঞ্চলগুলোকে একত্রিত করা হয়েছে।
স্বল্প খরচে ইন্দোনেশিয়ার ১০ মনোরম স্থানে কাটাতে পারেন শীতের ছুটি
গিলি দ্বীপপুঞ্জ
গিলি ট্রাওয়াঞ্জান, গিলি মেনো এবং গিলি এয়ার- ছোট্ট এই তিন দ্বীপ মিলে গিলি দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার লম্বকে। এই তিনটিই বিশ্বমানের ডাইভিং এবং স্নরকেলিংয়ের জন্য বিখ্যাত। দ্বীপগুলোর যে কোনো স্থান থেকে পানিতে নেমেই উপভোগ করা যায় পানির নিচের মন্ত্রমুগ্ধকর জগত।
বাংলাদেশ থেকে লম্বক পর্যন্ত আকাশপথে যাত্রায় মাথাপিছু সর্বনিম্ন বাজেট রাখতে হবে ৩৩৪ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬ হাজার ৬৮৯ দশমিক ৯৭ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা)।
লম্বকে থাকার খরচ জনপ্রতি সাধারণত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৫ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া বা ১ হাজার ২৭ দশমিক ২১ টাকা (১ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া = ০ দশমিক ০০৭ বাংলাদেশি টাকা)। একদিনের খাবারের জন্য বাজেট রাখতে হবে ৪৯ হাজার ৯৯৩ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া যা ৩৪৯ দশমিক ৯৩ টাকার সমতুল্য।
সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
উবুদ
ইন্দোনেশিয়াতে বিশ্ব পরিব্রাজকদের জনপ্রিয় গন্তব্য বালিতে অবস্থিত এই উবুদ। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রয়্যাল প্যালেসে দর্শনার্থীরা বিনামূল্যেই পরিদর্শন করতে পারেন। রাস্তার ঠিক নিচেই রয়েছে মাঙ্কি ফরেস্ট। এছাড়া রয়েছে গোয়া গাজাহর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বেমো রাইড। বেদুলু গ্রামের ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হাতির গুহার মূল আকর্ষণ এর জটিল খোদাইগুলো।
উবুদে থাকার খরচ সাধারণত ২১ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া যা ১৪ হাজার ৯৯৩ দশমিক ৯৪ টাকার সমান। সাশ্রয়ী হোটেলগুলোর মধ্যে আগুং ত্রিস্না বাংলো এবং ইনাং ভিলা সেরা পছন্দ হতে পারে। উবুদে খাওয়া-দাওয়ার জন্য দৈনিক চার্জ প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৫৯ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া (১ হাজার ৩২৯ দশমিক ৬১ টাকা)।
ঢাকা থেকে উবুদের নিকটতম নুগুরা রাই বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সবচেয়ে কম বিমান ভাড়া ২৫২ মার্কিন ডলার (২৭ হাজার ৬৮২ দশমিক ২৫ টাকা)।
‘অরোরা বোরিয়ালিস’ বা ‘উত্তরের আলো’ দেখার সেরা ১০টি দেশ
১ বছর আগে