সুষ্ঠু নির্বাচন
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
বাংলাদেশের সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা পরিহার এবং শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৬ নভেম্বর (স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের বার্তায় অবিচল রয়েছি এবং ভোটের তারিখ ঘোষণার পরও সেই বার্তা একই রয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, তারাও তাই চায়: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
মিলার বলেন, 'আমরা বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। মিলার বলেন, 'আমরা একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে বেশি পছন্দ করি না।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মার্কিন দুই কংগ্রেসম্যানের সাক্ষাৎ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত তাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
মিলার বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো হুমকিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিই। আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের প্রতি সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে লক্ষ্য করে 'হুমকিমূলক বক্তব্য' -এর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।’
মিলার স্মরণ করিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি তারা এই বাধ্যবাধকতাগুলো পালন করবে।’
আরও পড়ুন: বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: মোমেন
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে মনোযোগ মার্কিন পর্যবেক্ষণ মিশনের: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন বিষয়ক পর্যবেক্ষণ মিশনের মূল ফোকাস।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমেরিকার প্রি-অ্যাসেসমেন্ট টিম আমাদের রোল, দায়িত্ব, কর্মকাণ্ড, সরকারের সঙ্গে ইসির (নির্বাচন কমিশন) কো-অর্ডিনেশন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের আমাদের পক্ষ থেকে ইসির রোল, সরকারের রোল, সরকারের সঙ্গে ইসির কো-অর্ডিনেশন সবকিছু সম্পর্কে জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো ঘাটতি হবে না: সিইসি
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি তারা আমাদের কাছে যা যা জানতে চেয়েছেন, আমরা সবকিছু জানিয়েছি। এরপরে তারা কী করবেন আমরা জানি না। তারা হয়তো দেশে ফিরে গিয়ে পর্যালোচনা করে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি পাঠাবে না- এর সিদ্ধান্ত নেবেন।’
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) ৬ সদস্যের যৌথ প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন (পিইএএম) নির্বাচনের প্রস্তুতি রক্ষণাবেক্ষণ ও এর অগ্রগতির একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে শনিবার বাংলাদেশে এসেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আইনত সঠিক হয় কি না তা দেখবে ইসি : সিইসি
১২ অক্টোবর পর্যন্ত তারা সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের সহ-সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন- মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক সহযোগী পরামর্শদাতা জামিল জাফর, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ এবং আইআরআই’র এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও।
দলটি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় সে বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিয়ে তাকে জ্ঞান দেওয়া উচিত নয়। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে তার দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, ‘আমাকে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাতে হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে করেছি এবং সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইউএনজিএ অধিবেশন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার
৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) যোগদানের জন্য তার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের ফলাফল সম্পর্কে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারপর সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পেরেছে বলেই জনগণ আমাদের বারবার ভোট দিয়েছে এবং একটানা (টানা তিন মেয়াদে) ক্ষমতায় আছি বলেই আজকে অর্থনৈতিক উন্নতিটা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখন এত প্রশ্ন কেন?
তিনি বলেন, ‘একটি দেশ এত দ্রুত এগিয়ে যাওয়া কি সবার জন্য মাথাব্যথার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে? আমার তো সন্দেহ হচ্ছে কীভাবে এটা (এই অগ্রগতি) ধ্বংস করা যায়, তাই এমন প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে?’
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলেছেন যে বাংলাদেশে একসময় সেনাবাহিনীর জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত জেনারেলদের সরকার ছিল। এটি এখন পরিবর্তিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কেন সবাই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আমার সন্দেহ হচ্ছে। আসলে এটা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা।’
তিনি বলেন, যারা জানে নির্বাচনে তারা ভোট পাবে না তারা এখন সর্বত্র (বিদেশিদের সঙ্গে) তোষামোদি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে যারা আছেন, তারা আসল বাস্তবতা বোঝেন কি না জানি না, তবে তারা বারবার এক কথা বলছেন এবং ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন।’
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঞ্চে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি বর্জ্য ফেরত নেবে রাশিয়া: প্রধানমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশে 'অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচনকে উৎসাহিত করছে।
রবিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও তার দলের সদস্যদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক শেষে ব্রিটিশ হাইকমিশনার কুক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
কুক বলেন, ‘আমাদের আলোচনার শুরুটা খুব গঠনমূলক ছিল।’
তিনি বলেন, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, তারা নির্বাচনের সময় স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সিইসি
নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বিজেপি মনে করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মনে করে বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ৫ সদস্য ৬-৯ আগস্ট দিল্লি সফর শেষে বুধবার ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের (বিজেপি) একবাক্যে অভিমত হচ্ছে- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে দেশের অগ্রগতি অভাবনীয়।’
নির্বাচনের চার মাস আগে বিজেপি'র আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিজেপি'র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠকগুলোতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসমুক্ত ভূখণ্ডনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ৩ দিনের ভারত সফরে যাচ্ছে
তিনি আরও বলেন, ‘নিজ দেশের এক ইঞ্চি ভূমিও প্রতিবেশি দেশে অস্থিতিশীলতার কাজে যেন ব্যবহৃত না হয়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপ ও তার কার্যকারিতায় আন্তরিক সন্তোষ জানান নেতারা।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদেরকে জানিয়েছি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ।’
প্রতিনিধি দলের নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের বক্তব্য দিয়ে শুরু হওয়া এ ব্রিফিংয়ে প্রতিনিধিদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আরমা দত্ত, মেরিনা জাহান কবিতা, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের দলটি এ সফরে ৭ আগস্ট ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি’র প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা, জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ে এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয় শঙ্করের সঙ্গে এবং ৮ আগস্ট ভারতের পার্লামেন্টের লিডার অব দি আপার হাউজ ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং ভারতে জি-২০ সম্মেলনের কো-অর্ডিনেটর রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করুন’ মন্ত্রণালয় ও ইসিকে যুবলীগের স্মারকলিপি পেশ
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ‘দৃঢ় অঙ্গীকার’ করেছে: আজরা জেয়া
বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য মন্ত্রীদের কাছ থেকে ‘দৃঢ় প্রতিশ্রুতি’ পেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আজরা জেয়া বলেন, ‘একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্ভর করে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং নির্বাচনে বাংলাদেশিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং তাদের দেশের শাসনব্যবস্থার উপর।’
আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, যেখানে সব নাগরিক উন্নতি করতে পারে- এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাবে জরুরি সেবার আহ্বান জানিয়েছে এমএসএফ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় বাংলাদেশের।
আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৈশ্বিক মানবাধিকার নীতির অংশ হিসেবে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনকে সমর্থন করে। তারা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে সেটি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে তাদের ভূমিকা পালন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গঠনমূলক, ফলপ্রসূ ও কার্যকর আলোচনা হয়েছে। আমি বলব গতকাল আমরা বড় বড় রাজনৈতিক সমাবেশ দেখেছি। সেগুলো সহিংসতামুক্ত ছিল।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা, প্রতিশোধ বা ভয়ভীতি ছাড়াই সাংবাদিকদের রিপোর্ট করার ক্ষমতা, মানব পাচার প্রতিরোধে সহযোগিতা, মত প্রকাশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান বৃদ্ধিতে সুশীল সমাজ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সিনিয়র এই মার্কিন কূটনীতিক আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্বের গুরুত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে এই অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার জন্য তিনি এসেছেন। এটি আরও সহনশীল, সংযুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ।
মিয়ানমারের উপর চাপ বজায় রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চলমান সংকটের সমাধানের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উপর চাপ অব্যাহত রেখেছে তারা। একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি করতে বলা হয়েছে।আর সেটিই হবে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, সুসংগঠিত ও টেকসই পদ্ধতি।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা মানবিক সহায়তা থেকে জেন্ডার সমতা ইস্যুতে সমন্বয়সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্মিত একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার কথা বলেছেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস মনে করে, সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শ্রম অধিকারসহ মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রসারে সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের পর আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া টুইটে লেখেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করি এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করি।’
আন্ডার সেক্রেটারি এবং প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশের উদার আতিথেয়তা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থনের অব্যাহত প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও আলোচনা করেন।
তিনি আরও লেখেন, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশের ওই অঞ্চলের জনগণকে সহায়তা করতে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি দিতে পেরে গর্বিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্ডার সেক্রেটারি আরও লিখেছেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে চলমান সংকট মোকাবিলায় ৭৪ মিলিয়নেরও বেশি সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং স্থানীয়দের সহায়তার জন্য ৬১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। একই সঙ্গে অন্য দাতা ও সম্ভাব্য দাতাদের অব্যাহত সমর্থনের আহ্বান জানান তিনি।
দাতাদের সহায়তা হ্রাস এবং শিবিরের নিরাপত্তাহীনতার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জীবিকার সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করেছে।
পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন এবং আগামী নির্বাচন ও রাজনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিএনপির পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে তাদের (ইইউ দূত) বলেছি যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
বৈঠকের কারণ সম্পর্কে ফখরুল বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে ইইউ’র একটি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসবে।
তিনি বলেন, ইইউ বিশেষজ্ঞ দলের সেই বৈঠকের বিষয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, ইইউ দীর্ঘদিন ধরেই বারবার বলে আসছে যে তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের সুযোগ আছে কিনা তা দেখতে তাদের দল এখানে আসবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের বৈঠকে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি।
ফখরুল বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না এবং বর্তমান সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব কিনা তা জানতে চেয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ ইইউ’র দুই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে আবারও মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের ধারণা যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনের নির্ভুলতা নষ্ট করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে দলের সাংস্কৃতিক শাখা 'জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি'র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা নেই: জিএম কাদের
সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন এজেন্সি মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়ায় এবং ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপিও করা হয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় তাদের ভীতি প্রদর্শন করছে।
দলীয় চেয়ারম্যান তাদের জানান, তারা শুধু ক্ষমতা ও সামর্থ্যের মূল্যায়ন করতেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে দেশে কিভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থা বিদ্যমান এবং ভোটাররা এখন বলতে পারেন যে তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে এবং নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ সত্ত্বেও তাদের ভোট দিতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
জবাবদিহিমূলক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, তিনি দেশ ও জাতির চাহিদা মেটাতে রাজনীতি করছেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করা যায়।
সাংস্কৃতিক শাখার সভাপতি ও সংসদ সদস্য শেরফা কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শোভ রায়, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান পদ্ধতির পরিবর্তন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। কী পদ্ধতি হয় সেটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
রবিবার (১১ জুন) দুপুরে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সচিব- ০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার হবে বলে আমরা জানি না। আমাদের শাসন পদ্ধতিতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় কে থাকলো না থাকলো অথবা সংসদে কতজন সদস্য আছে বা নেই তাতে কিছু আসে যায় না। প্রধানমন্ত্রীকে তার জায়গায় রেখে কোনো পরিবর্তনকে আমরা পরিবর্তন মনে করি না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনগুলোতে কোনো দলেরই সকল আসনে যোগ্য প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই কোনো না কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে হয়।
তিনি বলেন, প্রধান দুই দলের নেতৃত্বে শেষ পর্যন্ত দুটি জোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এক পর্যায়ে সব দল নিজস্বতা হারিয়ে দুটি দলে বিলীন হয়।
তিনি বলেন, এ প্রেক্ষিতে আমরা তিনশ’ আসনের নির্বাচনের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি। দলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। তবে নির্বাচনের সময়ে নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা নেই: জিএম কাদের
রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ কেন্দ্রিক নতুন ভিসা নীতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন নীতি ঘোষণার পরপরই ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে সাংবাদিকদের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নীতিটি এই প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার জন্য জারি করা হয়েছে, যাতে তারা তাদের নেতা বেঁছে নিতে নির্বাচন করতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা সব জায়গায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।
বার্তাটিতে প্রতিক্রিয়াসহ প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীর একটি সেটও ছিল। যার মাধ্যমে এটি কিছু নির্দিষ্ট বিষয় স্পষ্ট করে, যা সম্ভবত মানুষের মনে উত্থাপিত হতে পারে।
শুরুতে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলেছে যে তারা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনী গণতন্ত্রকে দুর্বল করার কারণ ব্যতীত এই নীতিটি অন্য কারও পক্ষে পরিচালিত হবে না।
দূতাবাস থেকে আরও বলা হয়, ‘এই নতুন নীতির অধীনে বিধিনিষেধগুলো শুধুমাত্রা তাদের ক্ষেত্রেই, যারা সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে।’
এতে আরও আশ্বস্ত করা হয় যে যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে তাদের জানানো একটি সাধারণ অনুশীলন।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের 'নিবিড় সহযোগিতার' কথা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে এই নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
আরও পড়ুন: মার্কিন সরকারের নতুন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশ সরকার বিচলিত নয়: শাহরিয়ার আলম