যাচাই-বাছাই
ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
অতীতের ভুল এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঋণ দেওয়ার আগে ঋণের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করতে ব্যাংক মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'অতীতের মতো যাতে কোনো বিচ্যুতি না হয়, সেজন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে যথাযথ যাচাই-বাছাই করে ঋণ অনুমোদনের জন্য আমি তাদের (বিএবি) অনুরোধ করেছি।’
আরও পড়ুন: ৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত রাখতে এনবিআরের নির্দেশ
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ঋণদানে ব্যাংকগুলোর অগ্রাধিকার দিতে হবে, বিশেষ করে আবাসন, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) জন্য, যারা প্রায়ই ঋণ প্রাপ্তিতে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
ব্যাংকিং কার্যক্রমে শুদ্ধাচার বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বিএবি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আপনাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন।’
সাক্ষাৎকালে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বিএবি প্রতিনিধিদল ব্যাংকিং খাতের চলমান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন। ড. সালেহউদ্দিন স্বীকার করেন, এই খাতটি বর্তমানে ঋণ বিতরণ সমস্যা এবং তারল্য সংকটে ভুগছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’
ভবিষ্যতে ব্যাংকিং খাতের যেকোনো সংস্কার উদ্যোগে তাদের মতামত বিবেচনার অনুরোধ জানান বিএবি নেতারা। জবাবে ড. সালেহউদ্দিন নীতি সংস্কারে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার সরকারের ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, 'আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা করব।’
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
২ মাস আগে
খুলনার ৬ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
খুলনায় আরও ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার তিনটি আসনের ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
তিনি জানান, এই তিন আসনে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং একজনের অপেক্ষামাণ।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে সোমবার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার
তিনি আরও জানান, এ তিনটি আসনে ২০ প্রার্থীর মধ্যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের মনোনয়নপত্র অপেক্ষমাণ। ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, খুলবার ছয়টি আসনে জমা দেওয়া ৫৩ জনের মনোনয়নপত্র দুই দিন যাচাই-বাছাই শেষে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের ফলাফল অপেক্ষমাণ।
তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) (খুলনা- ৪, ৫ ও ৬) তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। ফলে দুই দিনের যাচাই-বাছাইয়ে খুলনার ছয়টি আসনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলো।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-১ আসনের তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাকের পার্টির মো. আজিজুর রহমান; সমর্থনকারীদের জাল সই এবং প্রার্থী হিসেবে ঘোষণাপত্রে সই না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় এবং নিজ আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবেদ আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনা-২ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিদায়েতুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর গণতন্ত্রী পার্টির মো. মতিয়ার রহমানের মনোনয়নপত্রটি অপেক্ষমাণ।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-৩ আসনের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সমর্থনকারীদের জাল সই থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান
জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ
১ বছর আগে
আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেছেন, আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত। আগে এক্সচেঞ্জের ভালো ভূমিকা ছিল, এখন অনেকটাই কম।
তিনি বলেন, বর্তমানে আইপিওসহ সব ধরনের পাবলিক অফারের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা আইন রয়েছে। কোথাও স্টক এক্সচেঞ্জ অনুমোদন দেয় আবার কোথাও রেগুলেটর অনুমোদন দেয়। আমাদের দেশে আগে থেকেই রেগুলেটর আইপিও অনুমোদন দিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিএমজেএফের নিজস্ব কার্যালয়ে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু আলী এটি সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরেক প্রশ্নের উত্তরে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, পুঁজিবাজারের আস্থার উন্নয়নে ফ্লোর প্রাইস কোনো স্থায়ী কোনো সমাধান নয়।
তিনি বলেন, এটা শেয়ার প্রাইস নির্ধারণে সরাসরি হস্তক্ষেপ। রেগুলেটর বা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাইস ফিক্স করা ঠিক না। এটা বিশ্বের কোথাও নেই। স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাইস ডিসকভারের জায়গা।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
প্রশ্ন-উত্তর পর্বে পুঁজিবাজারের ম্যানুপুলেশন বন্ধ, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেন, কৌশলগত বিনিয়োগ ও টেকনিক্যাল সহায়তা, ভালো কোম্পানী পুঁজিবাজারে আনা, বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয় ওঠে আসে।
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
অনুষ্ঠানে ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণে ডি-মিউচ্যুয়ালইজেশন করা হয়। এই আইনে স্বতন্ত্র পরিচালকদের প্রাধ্যান্য দেওয়া হয়েছে। ট্রেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিও রয়েছে। তবে কাজ করতে গিয়ে মনে হচ্ছে, কিছু বিষয় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, সেটা নিয়ে রেগুলেটরের সঙ্গে আলোচনা করবো আমরা।
ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর স্টক এক্সচেঞ্জে বেশ কিছু সুফলও এসেছে। মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা আলাদা হয়েছে। সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপে নেই। অপারেশনে বোর্ডের কোনো ইনফ্লুয়েশন নেই। তবে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে কী পেলাম এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবে টেকনিক্যাল কিছু প্রস্তাব ছিল। সেই প্রস্তাবের কিছু কাজ ইতোমধ্যে হয়েছে। আরও কিছু বাকি রয়েছে। করোনার কারণে বাস্তবায়নের বিলম্ব হয়েছে। আশা করি, অবশিষ্ট কাজও হবে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বিনিয়োগকারীর সুরক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে লাভ-লোকসান থাকবেই। কারো লোকসান হবে না-এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হয়, বিনিয়োগকারীর টাকা যাতে কেউ আত্মসাৎ করতে না পারে- সে ব্যাপারে আমরা তৎপর আছি।
পুঁজিবাজারে ম্যানুপুলেশন বন্ধে ডিএসই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শেয়ার কারসাজি নিয়ে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অনেক তদন্তই ডিএসই করার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে। কারসাজি নিয়ন্ত্রণের ডিএসইর সার্ভিলেন্স টিম কাজ করছে।
দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিশ্চয়ই দেখেশুনেই আইপিও অনুমোদন করে। আর বিএসইসি অনুমোদন করলে সেটি তালিকাভুক্ত করা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, বাজারের উন্নয়নে আইন-কানুনের কিছু পরিবর্তন ও সংশোধন প্রয়োজন। এগুলো আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তুলে ধরব। বিএসইসি এই বাজারের উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখছে। তাই আইনের পরিবর্তন ও সংশোধনের বিষয়ে তারা ইতিবাচক সাড়া দেবেন বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
১ বছর আগে