সমৃদ্ধি
বঙ্গবন্ধুকন্যা আছেন বলেই দেশে সমৃদ্ধি ঘটছে: আরাফাত
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বলেই দেশে শান্তি বিরাজ করছে, সমৃদ্ধি ঘটছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৭ আসনের কালাচাঁদপুর সরকারি হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তার সম্মানে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের জায়গায় জায়গায় অশান্তি, যুদ্ধ-বিগ্রহের চিত্র আমরা টেলিভিশনে দেখি, খবরের পাতায় পড়ি। আমাদের দেশে গত ১৫ বছর ধরে শান্তি আছে, দেশ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের শান্তি বিনষ্টের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে এমন কি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে নির্মমভাবে নারী-শিশুসহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদেরকে রুখে দিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের দেখানো ভয়-ভীতিতে মানুষ আতঙ্কিত হয়নি। শীতের সকালে ভোট দিতে গেছে।আমরা জরিপ করে দেখেছি, যে কোনো নির্বাচনী এলাকার ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার এলাকায় থাকেন না। অর্থাৎ বাকি ৭৫ শতাংশের মধ্যে হিসাব করলে সারা দেশে গড়ে ৪২ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পড়েছে।’
এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানান ও সুচারু দায়িত্বপালনে তাদের আশীর্বাদ কামনা করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিনসহ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আরও পড়ুন: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
১১ মাস আগে
সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের সমৃদ্ধির পথে যাত্রা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
মন্ত্রিসভার নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করার সময় তিনি লিখেন, ‘আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত 'সোনার বাংলা' গড়ে তোলার অঙ্গীকারও করেন।
তিনি আরও লিখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।
তিনি বলেন, এই জয় জনগণ ও গণতন্ত্রেরও জয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
১১ মাস আগে
ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত: রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা
একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘৬ ডিসেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তারিখ। এটি আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি প্রভাবশালী গুণনীয়ক।’
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে 'ভারত সরকার ও জনগণের অমূল্য অবদান' থেকে উদ্ভূত আবেগময় বন্ধনকে তুলে ধরে উভয় দেশ ৬ ডিসেম্বরকে 'মৈত্রী দিবস' বা 'বন্ধুত্ব দিবস' হিসেবে পালন করে।
মৈত্রী দিবসের আয়োজন ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর ও চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন, যা রক্ত ও অভিন্ন আত্মত্যাগে গড়ে উঠেছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে এই দিনটি অনন্য।
তিনি বলেন, এটি অংশীদারিত্বের সূচনা যা এখন বহুমুখী হিসাবে দেখা হয় এবং সম্পর্কটি কৌশলগত অংশীদারদের ছাড়িয়ে যায়।
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশ কৌশলগত অংশীদারের চেয়েও বেশি কিছু।
তিনি বলেন, এটি আত্মত্যাগকারীদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন।
সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, 'আজ এটি একটি বহুমুখী সম্পর্ক, যা আমাদের সম্পর্কে নতুন গতি যোগ করছে।’
তিনি বলেন, দুই দেশ সব ক্ষেত্রে নতুন সংযোগ গড়ে তুলছে। ‘বৃহত্তর আশা এবং বৃহত্তর আশাবাদের সঙ্গে সুযোগটি সত্যিই অন্তহীন।’
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের ইতিহাস ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে তরুণদের আকৃষ্ট করতে তারা ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি স্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যোগদানের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে আসলে ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।
২০২১ সালে ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি দেশে দিবসটি পালিত হয়।
দেশগুলো হলো- বেলজিয়াম, কানাডা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।
সেলিব্রিটি, সম্পাদক এবং ভারতের বন্ধুরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর কারাগারে ভারতীয় হিন্দু নাগরিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ তার সমর্থন প্রসারিত করতে প্রস্তুত এবং আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং মানব মূলধন উন্নয়নে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের গুরুত্ব স্বীকার করি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসিয়ান কূটনীতিকদের জন্য 'এনহেনসিং এনগেজমেন্ট বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য আসিয়ান রিজিওন' কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য নিবন্ধনের আবেদন করা উচিত: মোমেন
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রযুক্তি, কৃষি, নীল অর্থনীতি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধুপ্রতিম আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ অনুসন্ধানের জন্য আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ এশীয় এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক সংযোগের কেন্দ্র হতে কাজ করছি।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্র ও তাদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
তিনি বলেন, ‘আমাদের আপেক্ষিক শক্তি, প্রাসঙ্গিকতা এবং আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ইচ্ছা প্রদর্শনের জন্য আমরা আসিয়ান সচিবালয়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।’
মোমেন সম্মিলিত নিরাপত্তা, শান্তি ও অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে আসিয়ান প্রক্রিয়া এবং এর কেন্দ্রীয় ধারণার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে আমরা আমাদের জনগণের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি।’
বাংলাদেশের কূটনীতিকরা আগামী দিনগুলোতে এই লক্ষ্য অর্জনে আসিয়ান সহকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং মোকাবিলা করতে প্রস্তুত: মোমেন
১ বছর আগে